সংক্ষিপ্ত

বামেদের মিছিল ঘিরে রণক্ষেত্র হয়ে উঠল পূর্ব বর্ধমান। রাস্তায় ফেলে লাঠি মারা হল বাম সমর্থকদের। পালটা মিছিল থেকে ছোড়া ইটের ঘায়ে জখম পুলিশ কর্মীরাও।

পূর্ব বর্ধমান জেলা সি পি আই এমের ডাকে জেলাশাসকের কাছে আইন অমান্য কর্মসূচি। বুধবার এই কর্মসূচি ঘিরে রণক্ষেত্র হয়ে উঠল এলাকা। এদিন দুটি বড় সমাবেশের মধ্য দিয়ে কর্মসূচি শুরু হয়। বড়নীলপুর মোড় এবং স্টেশনে দুটি সভায় দলের নেতা কর্মীরা অংশ নেন।

বড়নীলপুরে বামপন্থীদের সভায় বক্তব্য রাখেন দলের পলিটব্যুরো সদস্য মহঃ সেলিম। দুটি মিছিল শহরের দুই প্রান্ত থেকে কার্জনগেটে পৌঁছে সমবেত হয়। বিধায়ক সহায়তা কেন্দ্রের সামনে এসে জড়ো হয় বিপুল পরিমাণ দলীয় সমর্থক। তাঁদেরকে পুলিশ বাধা দিলে পুলিশের সাথে শুরু হয় ব্যাপক খণ্ডযুদ্ধ। পুলিশ এবং বাম গোষ্ঠী, উভয়ের হাতেই দেখা যায় লাঠিসোটা। 

বাম মিছিলে অংশগ্রহণকারীদের দিকে পুলিশ টিয়ার গ্যাস ছুড়তে থাকে, পালটা দলীয় সমর্থকরাও পুলিশের দিকে ইট পাটকেল ছুড়তে থাকে, এলাকার পরিস্থিতি ক্রমশ উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। পুলিশের লাঠির ঘায়ে বহু মানুষ জখম হন।  পরিস্থিতি সামাল দিতে বাধ্য হয়ে র‍্যাফ নামাতে হয়। 
  
এদিন মহম্মদ সেলিম বলেন, “লুঠ হলে, ধর্ষণ হলে, এ রাজ্যের পুলিশকে খুঁজে পাওয়া যায়না। ১৯৫৯ সালে হাজার হাজার মানুষ খাদ্যের দাবিতে সমবেত হন। পুলিশ লাঠি পিটিয়ে ৮৪ জন মানুষকে খুন করে। প্রত্যেক বছর এই লড়াই শহীদদের স্মরণ করি আমরা। জীবন-জীবিকার এই লড়াই। একসময় সব কিছু নিষিদ্ধ করে, গুন্ডা পুলিশ নামিয়েও আমাদের দমাতে পারেনি। শুভেন্দু অধিকারী কম দুর্নীতিগ্রস্ত নন। মুখ্যমন্ত্রী লিস্ট করে নাম বলে দিয়েছেন। লাল ঝান্ডা শেষ হয়েছে, এমন কথা হিটলার ভেবেছিল। হিটলার, মুসোলিনী সব মুছে গেছে।


বাম নেতা আরও বলেন, “হক কথা সোচ্চারে বলার দাবিতে, চোরদের ধরার দাবিতে মানুষ রাস্তায় নেমেছেন। সব জেলাতেই। যতই বিশ্ববাংলার ঢাক পেটান, ওই ঢাক ফেটে গেছে। কেন বেকাররা কাজ পাবে না, কেন মজুরেরা সঠিক মজুরি পাবেন না। লাল হটেছে, কিন্তু রাজ্য বাঁচেনি। আজ রাজ্যকে বাঁচাতে লাল ঝান্ডা আবার রাস্তায় নেমেছে। চোর ধরো জেলে ভরো, এটা কি ছাত্র যুবদের কাজ? এটা কি পুলিশের কাজ নয়? পুলিশ এখানে চোরেদের মাল পাহারা দেয়। এ লড়াই পুলিশকে জাগিয়ে তোলার। আনিস খুন হলেও আমরা বিচার চাই, পুলিশ খুন হলেও বিচার চাই। বিজেপির চোর আলাদা কিছু নয়। দুই চোরের বিচার চাই।” 


সেলিম এদিন সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন।  এরপর স্টেশন ও নীলপুর থেকে বাম সমর্থকদের দুটি মিছিল শুরু হয়ে জেলাশাসকের দপ্তরের সামনে আসে। দুপুর থেকেই বিরাট পুলিশবাহিনী মোতায়েন ছিল গোটা এলাকা জুড়ে।

আরও পড়ুন-
‘কলঙ্কিত নায়ক’ নাকি ‘গণতন্ত্রের পূজারী’, কে এই মিখাইল গর্বাচেভ?
যার ঘরই নেই, সে কোথায় পতাকা লাগাবে: প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে প্রশ্ন বিমান বসুর 
ঐক্যের মধ্যে ফাটল সৃষ্টি করার জন্য ধর্ম বর্ণ জাতের প্রশ্ন নিয়ে আসা হয়: স্বাধীনতা দিবসে সরব বিমান বসু