সংক্ষিপ্ত
- পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোণার ঘটনা
- মোবাইল ফোন হাতাতে বন্ধুর গলায় ছুরি
- অভিযুক্ত দশম শ্রেণির ছাত্র
মোবাইল হাতাতে বন্ধুর গলায় ছুরি চালালো আরেক বন্ধু। আহত এবং হামলাকারী দুই ছাত্রই দশম শ্রেণির পড়ুয়া। শনিবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোণার ঝাঁকরা এলাকায়। ঘটনার তদন্তে নেমেছে চন্দ্রকোণা থানার পুলিশ।
কেশপুর থানার স্যেঁকাটি গ্রামের বাসিন্দা মলয় মান ও চন্দ্রকোণার আগড়াপাড়া গ্রামের সনাতন দোলই দশম শ্রেণির ছাত্র। একই স্কুলের পড়ুয়া দু' জনেই বন্ধু ছিল। জানা গিয়েছে, শনিবার দুপুর নাগাদ স্কুল ছুটির পর চন্দ্রকোণার ঝাঁকরা লাগোয়া রাস্তার উপর সনাতন ধারালো ছুরির কোপ মারে মলয়ের গলাতে। রক্তাক্ত মলয়ের চিৎকারে ছুটে আসেন স্থানীয়রা। আশঙ্কাজনক অবস্থায় মলয়কে ভর্তি করা হয় মেদিনীপুর ম্যেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে।
ঘটনার লিখিত অভিযোগ না হলেও দুই ছাত্রের সঙ্গে কথা বলেছে চন্দ্রকোণা থানার পুলিশ। আক্রান্ত ছাত্র মলয় মানের দাবি, তার একটি মোবাইল সে সনাতনকে দিয়েছিল। এ দিন সেই মোবাইলটি ফেরত নেওয়ার জন্য সে সনাতনকে ডাকে। কিন্তু মোবাইল ফেরত নিতে আসতেই আচমকা মলয়ের গলায় ছুরি চালিয়ে দেয় বলে অভিযোগ।
আক্রান্ত ছাত্র মলয়ের বাবা নীলু মান বলেন, 'পুলিশ কে বিষটি জানিয়েছি। আমার ছেলের এই বন্ধু বাড়িতেও আসত। কেন এমন কাণ্ড ঘটাল, তা বুঝতে পারছি না।' ঘটনায় লিখিত অভিযোগ দায়ের না হওয়া হামলাকারী ছাত্রকেও গ্রেফতার বা আটক করেনি পুলিশ।