সংক্ষিপ্ত

  • মুর্শিদাবাদের বেলডাঙা থানা এলাকার ঘটনা
  • ছাত্রীকে ধর্ষণ করে বিয়ে করার অভিযোগ
  • ঘটনায় কাঠগড়ায় বেলডাঙা থানার পুলিশ
     

বাড়ির পাশ থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করেছিল প্রতিবেশী যুবক ও তার সঙ্গীরা। ঘটনা ধামাচাপা দিতে মাথায় সিঁদুরও পরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেই অভিযুক্তদেরই নাকি থানা থেকে ছেড়ে দিয়েছে। যে খবর পেয়ে মানসিক অবসাদেই আত্মঘাতী হল দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী। 

পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার এমন অভিযোগেই উত্তেজনা ছড়াল মুর্শিদাবাদের বেলডাঙার মণীন্দ্রনগর গ্রামে। আঠারো বছরের ওই ছাত্রী অপমানেই আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে বলে দাবি পরিবারের। তাঁদের অভিযোগ, পুলিশ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিচ্ছে না দেখেই ভেঙে পড়েছিল ছাত্রী। 

মৃতার পরিবারের অভিযোগ, কয়েকদিন আগে বাড়ির পাশ থেকে ওই ছাত্রীকে তুলে নিয়ে যায় মনু মণ্ডল নামে এক যুবক। তার সঙ্গে ছিল মনুর পরিবারের সদস্য এবং পরিচিত অমর বিশ্বাস, ভোলা বিশ্বাস ও শক্তি মণ্ডল । অভিযোগ, ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করে মূল অভিযুক্ত মনু। এর পরেই সে ছাত্রীকে বিয়ে করেছে বলে তার মাথায় সিঁদুর পরিয়ে দেয় বলে অভিযোগ। ওই ছাত্রীকে জোর করে নিজেদের বাড়িতেও আটকে রাখে মনু এবং তার পরিবার। ওই ছাত্রীর পরিবারের সদস্যরা তাকে সেখান আনতে গিয়ে হেনস্থার মুখে পড়েন বলেও অভিযোগ। 

মেয়েকে ফিরে পাওয়ার আশায় ওই ছাত্রীর পরিবার বেলডাঙা থানায় অভিযোগ জানায়। অভিযোগ পেয়ে মূল অভিযুক্ত মনু মণ্ডল ও তার সঙ্গীদের গ্রেফতার করে পুলিশ। ওই ছাত্রী এবং তার পরিবারকেও থানায় ডেকে পাঠানো হয়। অভিযোগ, এর পরেও কোনও এক অজ্ঞাতকারণে দোষীদের বেলডাঙা থানা থেকে ছেড়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। 

ছাত্রীর পরিবারের দাবি, মূল অভিযুক্ত মনুর শাস্তি হবে না ধরে নিয়েই সেই হতাশা থেকে গলায় ফাঁস লাগিয়ে শনিবার দুপুরে আত্মহত্যা করে নির্যাতিতা। ছাত্রীর আত্মহত্যার খবর ছড়াতেই পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগে বিক্ষোভ দেখান গ্রামবাসীরা। বেলডাঙা থানার পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ অস্বীকার করে পুলিশের অবশ্য দাবি, মূল অভিযুক্ত মনু মণ্ডল তাদের হেফাজতেই রয়েছে।