সংক্ষিপ্ত
বগটুইহত্যাকাণ্ডের পর নিহতদের পরিবারের ১০ জনকে চাকরির নিয়োগপত্র দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। কাজে যোগ দিতে এই দশ জনের যাতে কোনও সমস্যা না হয়, জেলা শাসককে তা দেখার নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
বগটুইহত্যাকাণ্ডের পর নিহতদের পরিবারের ১০ জনকে চাকরির নিয়োগপত্র দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। কাজে যোগ দিতে এই দশ জনের যাতে কোনও সমস্যা না হয়, জেলা শাসককে তা দেখার নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সোমবার দুপুরে নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। সেখান থেকেই ভারচুয়ালি নিহতদের পরিবারকে চাকরির নিয়োগ পত্র তুলে দেন তিনি।
বগটুইগ্রামের নিহতদের পরিবারের মিহিলাল শেখ, হাসিনারা খাতুন-সহ ১০ জনকে চাকরির নিয়োগপত্র তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী। কাজে যোগ দিতে এই দশ জনের যাতে কোনও সমস্যা না হয়, জেলা শাসককে তা দেখার নির্দেশ দিলেন মমতা। মুখ্যমন্ত্রী বলেন,'আগুনের কারণে অনেকের কাগজপত্র হারিয়ে গিয়েছে। জেলা শাসককে তাঁদের সাহায্য করতে হবে।' মমতা আরও বলেন, চাকরি দিয়ে আর্থিক সাহায্য করলে, কখনও মানুষ ফিরে আসে না।কিন্তু বেঁচে থাকার প্রয়োজনে প্রত্য়েককে এগিয়ে যেতে হয়। যারা রয়েছেন, তাঁরা যাতে, সম্মানের সঙ্গে বাঁচতে পারেন, সেই জন্যই এই পদক্ষেপ।'
প্রসঙ্গত, ২১ মার্চ সোমবার রাত সাড়ে ১০ নাগাদ রামপুরহাট ১ নং ব্লকের বরশাল গ্রামের বাসিন্দা উপপ্রধান ভাদু শেখকে বোমা মেরে খুন করা হয়।এরপরেই রাত বাড়লেই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে গ্রামে। তিন চারটে বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। সেখানেই আগুন পুড়ে মহিলা-শিশু- সহ ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবারই ঘটনাস্থলে যান মমতা। এদিন নিহতদের পাশে থাকার কথা বলেন মুুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, নিহতদের জীবনের বিকল্প টাকা বা চাকরি নয়। তবে সংসার চালাতে টাকার প্রয়োজন। নিহতদের পরিবারের পাশে দাঁড়ানো মানবিক দায়িত্ব।'
স্বজনহারাদের পাশে দাঁড়াতে তাই অগ্নিদগ্ধ বাড়ি মেরামতির জন্য প্রথমে ১ লক্ষ টাকা ঘোষণা করা হয়। পরে যদিও তা বাড়িয়ে ২ লক্ষ টাকা করে দেওয়া হয়। এছাড়া নিহতদের পরিবার পিছু ৫ লক্ষটাকা অর্থ সাহায্যের কথাও ঘোষণা করেন মমতা। পাশাপাশি নিহতদের পরিবার পিছু একটি করে সরকারি চাকরির কথাও ঘোষণা করেন সেই দিনই। তবে এভাবে কাউকে স্থায়ী চাকরি দেওয়া সম্ভব নয়। তাই আপাতত মুখ্যমন্ত্রীর কোটা থেকে চাকরি দেওয়া হবে। গ্রুপ ডি অ্যাটেন্টডেন্ট হিসেবে কাজ করতে হবে তাঁদের। প্রথম একবছর তাঁরা ১০ হাজার টাকা করে বেতন পাবেন। পরের বছর স্থায়ী চাকরি পাবেন। প্রত্যেকের পোস্টিং নিজের এলাকাতেই করার চেষ্টা হবে।ইতিমধ্যেই স্বজনহারাদের মধ্য়ে চেকও তুলে দেওয়া হয়েছে।