সংক্ষিপ্ত
- অকালে স্বামীকে হারিয়ে বিপদে পড়েছিলেন এক গৃহবধূ
- চাকরি পাওয়ার আশায় মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন তিনি
- কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সমস্যার সুরাহা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
- তাঁর মানবিকতায় খুশি সকলেই
অকালে স্বামীকে হারিয়েছেন। দুই সন্তানকে মানুষ করবেন কীভাবে? ভেবেই পাচ্ছিলেন না এক গৃহবধূ। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে চাকরি পেলেন তিনি। বৃহস্পতিবার সকালে বাঁকুড়ার বড়জোড়ার বিডিও-র কাছে গিয়ে কাজে যোগ দিয়েছেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর মানবিক পদক্ষেপে খুশি সকলেই।
আরও পড়ুন: সীমান্ত লাগোয়া মুর্শিদাবাদেও বদলের ছবি, মাদ্রাসা পরীক্ষায় ছেলেদের টেক্কা দিচ্ছে মেয়েরা
ঘটনাটি ঠিক কী? বাঁকুড়ার বেলিয়াতোড়ের কলেজপাড়া এলাকায় থাকেন টুম্পা মণ্ডল। স্বামী ও দুই সন্তানকে নিয়ে ভরা সংসার ছিল তাঁর। স্বামী উদয়ভানু মণ্ডল অধ্যাপনা করতেন সরকারি কলেজে। কিন্তু সুখ বেশিদিন কপালে সইল না! স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, সরকারি কলেজে চাকরিতে যোগ দেওয়ার ১৫ দিনের মধ্যে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান উদয়ভানু। দুই সন্তানকে নিয়ে অকুল পাথারে পড়েন টুম্পা। সাহায্যের আশায় বিভিন্ন জায়গায় গিয়েছেন তিনি। কিন্তু লাভ হয়নি। দিন চলবে কী করে? মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করার সিদ্ধান্ত নেন টুম্পা।
মঙ্গলবার দু'দিনের সফরে বাঁকুড়ায় এসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কর্মিসভার পর রাতে সার্কিট হাউসে ছিলেন তিনি। বুধবার সকালে প্রশাসনিক বৈঠক ছিল রবীন্দ্রভবনে। তার আগে সার্কিট হাউসে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন টুম্পা মণ্ডল, নিজের সমস্যা কথা জানান। মিলও মিলল হাতেনাতে। জানা গিয়েছে, প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী নিজেই ওই গৃহবধূ প্রসঙ্গ তোলেন এবং তাঁর চাকরির ব্যবস্থা করে দেওয়ার জন্য খোদ বাঁকুড়ার জেলাশাসককে নির্দেশ দেন। বৈঠক শেষ হওয়ার পরেই পঞ্চায়েত দপ্তরের চাকরির নিয়োগপত্র নিয়ে টুম্পা মণ্ডলের বাড়িতে হাজির হন জেলাশাসক উমাশঙ্কর এস।