সংক্ষিপ্ত
আজ দার্জিলিংয়ের পাহাড়ি দলগুলির প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন মমতা। তারপর তিনি জানান, পাহাড়ের মানুষের জন্য কাজ করতে চান। পাহাড়ের জন্য আরও উন্নয়ন করতে চান। পাশাপাশি তিনি কেন্দ্র নিয়েও সতর্ক করে দিয়েছেন।
এই দার্জিলিংয়ে রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেখান থেকেই মঙ্গলবার নিজের ঘরের এক গোপন কথা জানালেন তিনি। জানান, পাহাড়ি পরিবারের মেয়েকেই বন্দ্যোপাধ্যায় বাড়ির বউ করে নিয়ে আসছেন। দার্জিলিংয়ের সভা থেকেই একথা জানিয়েছেন তিনি।
আজ দার্জিলিংয়ের পাহাড়ি দলগুলির প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন মমতা। তারপর তিনি জানান, পাহাড়ের মানুষের জন্য কাজ করতে চান। পাহাড়ের জন্য আরও উন্নয়ন করতে চান। পাশাপাশি তিনি কেন্দ্র নিয়েও সতর্ক করে দিয়েছেন। পাহাড়ের নেতাদের 'দিল্লি কা লাড্ডু' না খাওয়ারই পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। এছাড়া পাহাড়ে চা বাগান কর্মীদের উন্নয়নে তাঁর সরকার কী কী প্রকল্প করেছে তাও তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী। জানান, ২৫০টি চা বাগানে তিন হাজারের বেশি পরিবারকে ‘চা সুন্দরী’ প্রকল্পে বাড়ি বানিয়ে দেবেন তাঁরা। আগে চা বাগান কর্মীদের দিনে মজুরি ছিল ৬৭ টাকা। আর তৃণমূল সরকার আসার পর তাঁদের মজুরি বেড়ে হয়েছে। ২০২ টাকা। আগে চা বাগান বন্ধ হলে ছ’মাস পর ৫০০ টাকা করে পেতেন কর্মীরা। এখন দু’মাসের মধ্যে দেড় হাজার টাকা পান।
আরও পড়ুন- বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিধবা ভাতা- পাহাড়ে কল্পতরু মমতা, সতর্ক করলেন 'দিল্লির লাড্ডু' নিয়ে
এছাড়া চা বাগান কর্মীদের জন্য তাঁর সরকার আরও অনেক সুবিধা দেয়। তা হল হেল্থ কার্ড, রেশন, বিদ্যুৎ বিনামূল্যে দেওয়া হয়। তিনি আরও জানান, দার্জিলিংয়ে হিল ইউনিভার্সিটি গড়ে তুলবে রাজ্য। পাহাড়ের পড়ুয়াদের উচ্চশিক্ষার জন্য আর দূরে কোথাও যেতে হবে না। ২০ লক্ষ পড়ুয়াকে ক্রিডেট কার্ড দেওয়া হয়। ৩ লক্ষ ৮০ হাজার চাশ্রমিকের জন্য বাড়ি তৈরির প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন- কয়লাকাণ্ডে অভিষেক পত্নী ও শ্যালিকাকে তলব করল ইডি, কেন হাজিরা এড়ালেন তৃণমূলের যুবরাজ
এরপরই পাহাড়ের মানুষের প্রশংসা শোনা যায় মনমতার মুখে। তিনি বলেন, "আমি এখানকার চারটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠক করেছি। আপনারা ঐক্যবদ্ধ হয়ে বলুন ১০ বছর ঝগড়া করব না। দেখবেন কোথায় যায় পাহাড়ের উন্নয়ন। আর আমি চাই মহিলারা এগিয়ে আসুন। যে বাড়িতে মহিলারা খুশি থাকেন সে পরিবার খুশি থাকবে। পাহাড়ের মেয়েদের হাসি কাঞ্চনজঙ্ঘার হাসির মতো। পাহাড়কে বাড়ির মেয়ের মতো আমি সহযোগিতা করব।"
আর দার্জিলিংয়ের প্রশংসা করতে করতে নিজের পরিবারের এক গোপন কথার কথাও জানান মমতা। বলেন, "আমাদের পরিবারের একজনের বিয়ে দিচ্ছি। পাহাড়ের পরিবারের একটি মেয়ের সঙ্গে বিয়ে ঠিক হয়েছে। পাহাড়কে ভালোবাসি, তাই পাহাড়ের মেয়েকে ঘরের বউ করে আনছি। আপনাদের বাড়ি আমার বাড়ি। এখন আমার বাড়ি আপনাদের বাড়ি।" অবশ্য পরিবারের কোন সদস্যের সঙ্গে তিনি পাহাড়ি মেয়ের বিয়ে দিতে চলেছেন তা অবশ্য তিনি স্পষ্টভাবে কিছু জানাননি।