সংক্ষিপ্ত
হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে স্পেশাল লিভ পিটিশন দায়ের করলেন অজিত মিশ্র। কোনওরকম রিপোর্ট ছাড়াই কীভাবে জানা গেল ওই ভ্যাকসিন ভুয়ো ছিল, এই প্রশ্ন উঠেছে স্পেশাল লিভ পিটিশনে।
কসবার ভুয়ো ভ্য়াকসিন কাণ্ড এবার সুপ্রিম কোর্টে। হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে স্পেশাল লিভ পিটিশন দায়ের করলেন অজিত মিশ্র। কোনওরকম রিপোর্ট ছাড়াই কীভাবে জানা গেল ওই ভ্যাকসিন ভুয়ো ছিল, এই প্রশ্ন উঠেছে স্পেশাল লিভ পিটিশনে।
ভুয়ো আইএএস দেবাঞ্জন দেবের ঘটনার মামলা আগেই উঠেছিল হাইকোর্টে। বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায়ের এজলাসে একই দাবি তোলা হয়েছিল। যদিও ,সেই সময় হাইকোর্ট জানায়, রাজ্যের তরফে ইতিমধ্যেই বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। লালবাজারের তদন্দে সন্তোষপ্রকাশ করা হয়। তাই এখনই সিবিআই তদন্তের প্রয়োজন নেই বলেই জানিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। হাইকোর্টের সেই নির্দেশকেই চ্যালেঞ্জ করে এবার মামলা দায়ের করা হয়েছে। কলকাতা হাইকোর্টেও এই অজিত মিশ্রই ভুয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ড নিয়ে মামলা দায়ের করেছিলেন। মূলত সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েই এই মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আরও পড়ুন, 'কাশ্মীর' নয়, এই প্রথম 'শিক্ষক নিয়োগ' ইস্যু, হিজবুল মুজাহিদিনের হুমকি সিডি আদৌ কতটা সত্যি
মামলাকারীর দাবি, এই ভ্যাকসিনকাণ্ডে আরও অনেক হেভিওয়েটরা জড়িয়ে রয়েছে। হাইকোর্ট যতই বলুক, কলকাতা পুলিশের সিটের তদন্তে আস্থা রেখে এখনই সিবিআই তদন্তের প্রয়োজন নেই, মামলাকারী এই যুক্তি মানতে নারাজ। তিনি পাল্টা প্রশ্ন করেছেন, ফরেন্সিক রিপোর্ট ছাড়াই প্রশাসন জানল যে কীভাবে যে ভ্যাকসিন ভুয়ো। এই মামলার তদন্ত সিবিআই-কে দিয়ে করালে তবেই প্রকৃত দোষীরা সাজা পাবেন বলে মনে করেছেন অজিত মিশ্র।
আরও পড়ুন, JMB প্রধান ঘুরতে আসে ধৃতের বারাসাতের বাড়িতেই, রাহুলের উত্তর শুনে অবাক গোয়েন্দারা
প্রসঙ্গত, ভুয়ো আইএএস সেজে জেনেটিক্সে এমএসসি পাশ করা দেবাঞ্জন দেব কসবায় একটি ভুয়ো ভ্য়াকসিনেশন ক্যাম্পের আয়োজন করেন। যেখানে মূলত তৃতীয় লিঙ্গ সহ প্রতিবন্দি, স্থানীয়দের ভ্যাকসিন দেওয়ার আয়োজন করা হয়। উৎসাহিত করতে আমন্ত্রিত করা হয় অভিনেত্রী-সাংসদ মিমি চক্রবর্তীকে। এসে ভ্যাকসিন নেন এবং প্রমোট করেন পুরো অনুষ্ঠানটি মিমি। এই অবধি ঠিকই ছিল, তবে শেষ অবধি পার পেলেন না। বুদ্ধি করে অপরাধের গুটি সাজিয়েও ধরা পড়ে যান দেবাঞ্জন। ভ্য়াকসিনের সার্টিফিকেট পেতে দেরি হওয়ায় মিমির অফিসের লোক খোঁজ করে কসবার ক্যাম্পে। এরপরেই গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। কলকাতা পুলিশের হাত ধরেই প্রকাশ্য়ে আসে দেবাঞ্জনের অপরাধের পর্দা ফাঁস হয়।