সংক্ষিপ্ত
শুরু থেকেই কৃষকদের আন্দোলনে পাশে থেকেছে কংগ্রেস। তাদের পার্লামেন্ট বসিয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা বক্তৃতা শুনেছেন রাহুল গান্ধী। সেই সময় দিল্লিতে ছিলেন মমতা। একবারও জাননি কৃষকদের মঞ্চে। তাহলে এখন কৃতিত্ব নিতে উঠে পড়ে লেগেছেন কেন? প্রশ্ন অধীরের
কৃষি আইন বাতিলের(Agriculture Act Repealed) পর থেকেই দেশজুড়ে নানা প্রতিক্রিয়া দিতে শুরু করেছেন রাজনৈতিক নেতারা। আপ থেকে শুরু করে তৃণমূল পিছিয়ে নেই কেউই। এমনকী কমবেশি সব দলই কৃষকদের জয়ে নিজেদের কৃতিত্ব নিতে উঠে পড়ে লেগেছে। এমতাবস্থায় কৃষকদের জয় নিয়ে করা মমতার(Mamata Bandopadhyay) মন্তব্যকে চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ শানাতে দেখা গেল কংগ্রেস(congress)নেতা অধীররঞ্জন চৌধুরীকে(Adhir Chowdhury)। কোনও কাজ না করেই বর্তমানে মমতা কৃতিত্ব নিতে উঠে পড়ে লেগেছে বলেও কটাক্ষবান ছুঁড়তে দেখা যায় অধীরকে।
এই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে তিনি বলেন, “ শুরু থেকেই কৃষকদের আন্দোলনে পাশে থেকেছে কংগ্রেস। তাদের পার্লামেন্ট বসিয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা বক্তৃতা শুনেছেন রাহুল গান্ধী। সেই সময় দিল্লিতে ছিলেন মমতা। একবারও জাননি কৃষকদের মঞ্চে। তাহলে এখন কৃতিত্ব নিতে উঠে পড়ে লেগেছেন কেন?” অধীরের তোলা এই প্রশ্নেই নতুন করে শোরগোল শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক মহলে। “কৃষক আন্দোলন তৃণমূলের জয়।” এটাই বছরের সেরা কৌতূক বলেও বিঁধালেন অধীর। এদিকে শুক্রবার কৃষি আইন বাতিল নিয়ে মোদীর ঘোষণার পরেই উচ্ছ্বসিত টুইট করতে দেখা যায় মমতাকে।
আরও পড়ুন-বাদামী শোষক পোকার আক্রমণে দিশাহীন কৃষকেরা, ধানের ফলন নিয়ে বাড়ছে আশঙ্কা
ওই টুইটেই মমতা লেখেন, ‘বিজেপি আপনাদের সঙ্গে নিষ্ঠুর ব্যবহার করেছে। কিন্তু তার বিরুদ্ধে যে সমস্ত কৃষক আপ্রাণ লড়াই চালিয়ে গিয়েছেন, তাঁদের প্রত্যেককে আমার হার্দিক অভিনন্দন। এটা আপনাদের জয়। এই লড়াইয়ে যাঁরা প্রাণ হারিয়েছেন তাঁদের প্রতি আমার শ্রদ্ধা।’ তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়েন ছাড়াও একাধিক ছোটবড় তৃণমূল নেতাকে টুইট করতে দেখা যায় জয় নিয়ে। আর তা নিয়েই বর্তমানে কটাক্ষ শানাচ্ছে কংগ্রেস। যা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানৌতর। এদিকে কৃষি আইন প্রত্যাহারের পরেই সোশ্যাল পাড়ায় ভাইরাল হয় রাহুল গান্ধীর একটি পুরনো ভিডিও।
আরও পড়ুন -লটারির টাকায় রাতারাতি কোটিপতি হয়ে গেল রাজমিস্ত্রী, প্রাণভয়ে আশ্রয় থানায়
ওই ভিডিওতে রাহুলের স্পষ্ট দাবি ছিল কৃষকদের চাপেই এই কালা আইন বাতিল করতে বাধ্য হবে কেন্দ্র সরকার। কংগ্রেস পুরোদস্তর কৃষকদের পাশে রয়েছে। সেই বক্তব্যের রেশ টেনেও এদিন কথা বলেন অধীর। রাহুলের কথা যে অক্ষরে অক্ষরে মিলে গিয়েছে তাই জোরের সঙ্গে বলতে শোনা যায় এই বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতাকে। অন্যদিকে দিল্লিতে মমতা-সোনিয়া সৌজন্য বিনিময় হলেও বিধানসভা ভোটের আগেই কংগ্রেস-তৃণমূল সম্পর্কটা ভালো যাচ্ছে না বাংলার বুকে। এমনকী পুরভোটের হাওড়া উঠতেই দুই শিবিরের মধ্যে সংঘর্ষও বেঁধেছে মুর্শিদাবাদে। সম্প্রতি তাতে গুরুতর আহত হয়েছেন অধীর ঘনিষ্ট এক কংগ্রেস নেতা। আর তারপরেই অধীরের এই মন্তব্য বিশেষ ভাবে তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।