সংক্ষিপ্ত

গত বিধানসভা নির্বাচনের আগে হাওড়া থেকে যে কয়েকজন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন তিনি ছিলেন অন্যতম। 

বিজেপির  (BJP) পক্ষ থেকে হাওড়া পুরসভা নির্বাচনের (Howrah Municipal election) জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটির মাথা করা হয়েছে হাওড়া পুরসভার প্রাক্তন মেয়র রথীন চক্রবর্তীকে। এই কমিটিতে রাখা হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) ফাউন্ডার মেম্বার ও হাওড়া পুরসভার প্রাক্তন মেয়র পরিষদ সদস্য বাণী সিংহ রায়কে (Bani Singh Roy)। বুধবার এই নাম ঘোষণা হতেই কার্যত বিজেপির বিরুদ্ধে জেহাদ ঘোষণা করেছেন বিধানসভা ভোটের আগে তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যাওয়া নেতা বানী সিংহরায়।  তিনি বলেন তার কোন অনুমতি ছাড়াই বিজেপি কমিটিতে তার নাম রেখেছে। এটা অন্যায়। প্রয়োজন হলে বিজেপির বিরুদ্ধে আইনী পদক্ষেপ নেওয়া হুঁশিয়ারি দেন। তিনি আরও বলেন বিজেপি নেতা রথীন চক্রবর্তী সঙ্গে এ ব্যাপারে তার কোন কথা হয়নি। পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন তিনি এখনও তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে রয়েছেন।

গত বিধানসভা নির্বাচনের আগে হাওড়া থেকে যে কয়েকজন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন তিনি ছিলেন অন্যতম। তার বাড়িতে শুভেন্দু অধিকারী এসেছিলেন। তিনি বলেন শুভেন্দু সেদিন দলের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে বলেছিলেন। তাই তিনি মুখ খুলেছিলেন। কিন্তু তিনি কোনও দিনই তৃণমূল কংগ্রেস ছাড়েননি।  তিনি দাবি করেন পূর্ব মেদিনীপুরে অমিত শাহের সভায় তার নাম ঘোষণা করা হলেও তিনি যাননি। তবে পরে হাওড়ার ডুমুরজলা স্টেডিয়ামে স্মৃতি ইরানির সভায় তিনি গিয়েছিলেন। সেখানে তাঁকে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল বলেও জানিয়েছেন তিনি। তবে তাঁর আরও দাবি  সেদিন মঞ্চে উপস্থিত হলেও তিনি বিজেপির পতাকা হাতে তুলে নেন নি। তিনি দাবি করেছেন দফতরের প্রয়োজনেই তিনি কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সভায় উপস্থিত হয়েছিল। 

Raiganj fire: রায়গঞ্জের বহুতলে আগুন, প্রশ্নের মুখে স্থানীয় বাসিন্দাদের নিরাপত্তা

Kulbhushan Jadhav: বিল পাশ পাক সংসদে, মৃত্যুদণ্ডের বিরুদ্ধে আবেদন করতে পারবেন কুলভূষণ যাদব

বানী সিংহরায় আরও বলেন নিজেকে আদতে তৃণমূল কংগ্রেস পরিবারের লোক হিসাবে দেখতে চান। আসন্ন হাওড়া পুরসভা নির্বাচনেও তিনি সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করতে চান। তবে নিজেকে তিনি প্রার্থী হিসাবে চান না। তিনি আরও বলেন অরূপ রায়, তাপস রায় সহ দলের বেশ কয়েকজন নেতার সঙ্গে তার কথা হয়েছে। তিনি এদিন দাবি করেন তিনি বিজেপিতে যোগদান করেননি। ভোটের আগে বিজেপির কোন মিছিল-মিটিংয়ে তিনি যাননি। তিনি দলের মধ্যে পদ না পাওয়ার ক্ষোভ থেকে তিনি দলের বিরুদ্ধে মুখ খোলেন। তিনি আরও বলেন তিনি অসুস্থ ছিলেন। অসুস্থ ছিলেন তাঁর স্ত্রীও। সেই সময় তৃমণূল নেতারা সক্রিয়ভাবে তাঁকে সাহায্য করেছিল। তিনি অসুস্থ থাকাকালীন তাঁর খোঁজ খবর নিয়েছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ তথা চিকিৎসক শান্তনু সেন। 

Threat Call: কারখানার কর্মীদের হুমকি ফোন, কাঠগড়ায় আবারও কয়লাকাণ্ডের পাণ্ডা লালা

তবে এখনও তিনি নিজের বক্তব্যে অনড় রয়েছেন। তিনি ভোটের আগে বলেছিলেন দক্ষিণ কলকাতার কতগুলি মানুষ তৃণমূল চালাচ্ছে। এই বক্তব্যে তিনি এখনও অনড় থেকে জানিয়ে দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারীকে ডেকে যদি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কথা বললেন তাহলে এই অবস্থা হত না। পরিস্থিতি অনেক শান্ত থাকতে। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখনও তাঁর নেত্রী বলেও জানিয়েছেন তিনি। আমৃত্যু তিনি তৃণমূলের হয়ে কাজ করে যাবেন বলেও এদিন জানিয়েছেন বানী সিংহ রায়।