সংক্ষিপ্ত
- করোনা ভাইরাস থাবা বসিয়েছে এদেশে
- লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা
- 'করোনা প্রতিষেধক শিবির' বসল আসানসোলের হীরাপুরে
- শোরগোল এলাকায়
করোনা ভাইরাসের আতঙ্কে যখন কাঁপছে গোটা বিশ্ব, তখন এই মারণ ভাইরাসের প্রতিষেধক দেওয়ার কাজ শুরু হল এ রাজ্যে! ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়াল আসানসোলের হীরাপুরে। শেষপর্যন্ত পুলিশ গিয়ে যখন 'করোনা প্রতিষেধক শিবির' ভেঙে দেয়, ততক্ষণে প্রতিষেধক নিয়ে ফেলেছেন হাজারেরও বেশি মানুষ।
আরও পড়ুন: করোনা আতঙ্কে শুনসান ডুয়ার্স, বিপুল ক্ষতির মুখে পর্যটন ব্যবসা
কী ব্য়াপার? করোনা ভাইরাস থাবা বসিয়েছে এদেশে। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। বাংলার এখনও পর্যন্ত এই মারণ রোগে কেউ আক্রান্ত হননি। বরং 'করোনা প্রতিষেধক শিবির' বসল আসানসোলের হীরাপুরে! স্থানীয় ৮ নম্বর বস্তি এলাকায় এই শিবিরের আয়োজন করেছিল স্থানীয় এক সামাজিক সংগঠন। শিবিরে যাঁরা যাচ্ছিলেন, তাঁদের দু'ঢাকনা করে ওষুধ খাইয়ে দিচ্ছিলেন তিনজন হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক! তাঁদের মধ্যে একজন আবার খোদ আসানসোল পুরনিগমের চুক্তিভিত্তিক চিকিৎসক! বাকিদের একজন বিহারের সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক, আর একজন সেখানেই প্রাইভেট প্র্যাক্টিস করেন। ঘটনাটি জানাজানি হতেই রীতিমতো শোরগোল পড়ে যায় এলাকায়। 'করোনার প্রতিষেধক' নেওয়ার জন্য শিবিরে ভিড় জমান বহু মানুষ।
আরও পড়ুন: করোনায় আক্রান্ত গ্রাহক, আতঙ্কে বিছানা বয়কটে নিষিদ্ধপল্লীর মেয়েরা
তাহলে কি সত্যিই করোনার প্রতিষেধক বেরিয়ে গেল? খবর পেয়ে হীরাপুরের ৮ নম্বর বস্তিতে হাজির হয় পুলিশ। শিবিরের উদ্যোক্তাদের কাছে স্বাস্থ্য দপ্তরের অনুমতিপত্র দেখতে চান হীরাপুর থানার আধিকারিকরা। অনুমিতপত্র দেখাতে না পারায় শেষপর্যন্ত শিবিরটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। যাঁরা প্রতিষেধক নিতে এসেছিলেন, তাঁদের বুঝিয়ে-সুঝিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়। শিবিরের উদ্যোক্তা ও চিকিৎসকদের অবশ্য গ্রেফতার করেনি পুলিশ। স্রেফ সতর্ক করে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে তাঁদের। নির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে প্রশাসনের সাহায্য নিয়ে পদক্ষেপ করার আশ্বাস দিয়েছেন পশ্চিম বর্ধমানের ডেপুটি স্বাস্থ্য আধিকারিক অনুরাধা দেব। তিনি জানিয়েছেন, 'করোনা ভাইরাসের কোনও প্রতিষেধক এখনও পর্যন্ত আবিষ্কার হয়নি। আমরা স্রেফ মানুষকে সচেতন করছি।'