সংক্ষিপ্ত
- রায়গঞ্জ পুর এলাকায় গরু ধরতে অভিযান
- গরু ধরতে গিয়ে নাজেহাল পুরকর্মীরা
- মরার ভান করে পুরকর্মীদের বোকা বানালো গরুরা
গরু বলে তারা মোটেই গরু নয়। গরু ধরতে গিয়ে বুধবার সেটা হাড়ে হাড়ে টের পেলেন রায়গঞ্জ পুরসভার কর্মীরা। গরু ধরতে গিয়ে কৃষ্ণের বাহনদের বুদ্ধির কাছে রণভঙ্গ দিতে হল পুরকর্মীদের। রীতিমতো মরার ভান করে পুরকর্মীদের হাত থেকে নিস্তার পেল গরুরা। গরুদের এই কীর্তি দেখে দেখে তাজ্জব বনে গেলেন পুরসভার চেয়ারম্যান থেকে কর্মীরা।
একদিকে যানজট, পথচারীদের সমস্যা, অন্যদিকে রাস্তায় যত্রতত্র ঘুরে বেড়ানো গরুদের দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা করা। এই সমস্যা বন্ধ করতেই বুধবার সকাল থেকে রায়গঞ্জ শহরের রাস্তা থেকে ভবঘুরে গরুদের ধরতে যান পুরকর্মীরা। দাবিদারহীন গরুগুলিকে নিজেদের হেফাজতে রাখার সিদ্ধান্ত নেয় পুরকর্তৃপক্ষ। গরুদের রাখার জন্য সুবন্দোবস্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন রায়গঞ্জ পুরসভার চেয়ারম্যান সন্দীপ বিশ্বাস। সেখানে খাওয়া দাওয়ার ব্যবস্থা থেকে শুরু করে সবসময়ের চিকিৎসক, সব ব্যবস্থাই রয়েছে।
কিন্তু ভবঘুরে গরুদের যেন রাজপথই বেশি প্রিয়। তাই বুধবার গরু ধরার অভিযান শুরু হতেই বেঁকে বসে তারা। গলায় দড়ি পরাতেই গরুগুলি মরার ভান করে মাটিতে শুয়ে পড়ে। হাজার চেষ্টা করেও তাদেরকে ওঠানো যায়নি। বেগতিক দেখে পুরকর্মীরা গরুগুলিকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়। গরুদের বুদ্ধির কাছে বেশ কয়েকবার এইভাবে ঠকে গিয়ে পুর কর্তৃপক্ষ কার্যত রণে ভঙ্গ দেয়। পুরপ্রধান সন্দীপ বিশ্বাস বলেন, 'গরুগুলি মানুষের মতোই বুদ্ধিমান। গলায় দড়ি পরালেই শুয়ে পড়ছিল। আমরা তাদের রাখার সুবন্দোবস্ত করেছিলাম। কিন্তু যেভাবে ওরা রাস্তায় শুয়ে পড়ছিল, তাতে অমানবিকভাবে আমরা তাদেরকে ধরতে চাইনি। পরে আবার তাদের ধরার চেষ্টা করা হবে।'