সংক্ষিপ্ত

আনিস হত্যা নিয়ে গত কয়েকদিন ধরেই দফায় দফায় উত্তপ্ত হয়েছে বাংলার রাজ্য-রাজনীতি। এদিকে ছাত্রনেতার মৃত্যুর তদন্তে ইতিমধ্যেই সিট গঠন করে তদন্ত শুরু করেছে রাজ্য সরকার।

মাথা পচে যাওয়া কুকুরের সঙ্গে সিপিএমের তুলনা টেনে কয়েকদিন আগেই সমালোচিত হয়েছিলেন অশোকনগরের তৃণমূল বিধায়ক নারায়ন গোস্বামী(Ashoknagar Trinamool MLA Narayan Goswami)। বৃহস্পতিবার অশোকনগরের বাম প্রার্থীদের সমর্থনে একটি জনসভায় এসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তার কড়া জবাব দিলেন বামফ্রন্ট নেতা বিমান বসু (Left Front leader Biman Basu)। তিনি বলেন, ”বিকৃত মানসিকতার রুচির মানুষের কোনও কথার উত্তর দেওয়ার পক্ষে আমি না। আমি মানুষের মতো দেখতে হলেই সবাইকে মানুষ মনে করি না, অমানুষ অনেক আছেন, তিনি অমানুষ কিনা আপনারাই বিচার করবেন”। বৃহস্পতিবার এই ভাষাতেই নারায়ণের মন্তব্যের পাল্টা দিলেন বিমান বসু । পাশাপাশি 'আনিস হত্যাকাণ্ড রহস্যঘেরা' বলে জানান বিমান বসু ,তবে আনিস হত্যার ব্যাপারের সঙ্গে নির্বাচনের কোনো সম্পর্ক নেই' বলে জানান এই বর্ষীয়ান বাম নেতা।

এদিনের সভা শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিমান বলেন, “আনিস হত্যাকাণ্ড সত্যিকারের রহস্য ঘেরা। কারা হত্যাটা করল? বারেবারে চারদিক থেকে কথা হচ্ছে, আনিসের বাবাও বলছে যে পুলিশের উর্দি পরা ছেলেরা এসেছিল, হাতে আগ্নেয়াস্ত্র ছিল, আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকিয়ে আটকে রেখে তিনজন চলে গেল, উপরে উঠে গেল, ব্যাপারটা রহস্যাবৃত নয়? অথচ এখন দেখা যাচ্ছে পুলিশের একজন হোমগার্ড একজন সিভিক ভলেন্টিয়ারকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের বাড়ির লোকেরা বলছে সিবিআই হওয়া উচিত। কেন ? তারা বলছে, বিশেষজ্ঞরাও বলছে কখনওই কোনও হোমগার্ডকে কখনও কোনও নির্দেশ না দিলে সে কথাও যেতে পারে না। সিভিক ভলেন্টিয়ার কোথাও যেতে পারে না তাকে নির্দেশ না দিলে, নির্দেশটা কে দিল?”

আরও পড়ুন- রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার বিশেষজ্ঞদের দাবি ভিত্তিহীন, রানা আইয়ুবকে ‘হেনস্থার’ অভিযোগে মুখ খুলল ভারত

আরও পড়ুন- সুইস ব্যাঙ্কেই গচ্ছিত পাক অধিকর্তা হাজার হাজার কোটির ‘কালো’ টাকা, তীব্র চাঞ্চল্য বিশ্বজুড়ে

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, আনিস হত্যা নিয়ে গত কয়েকদিন ধরেই দফায় দফায় উত্তপ্ত হয়েছে বাংলার রাজ্য-রাজনীতি। এদিকে ছাত্রনেতার মৃত্যুর তদন্তে ইতিমধ্যেই সিট গঠন করে তদন্ত শুরু করেছে রাজ্য সরকার। এদিকে গত শুক্রবার রাতেই মূলত মূল ঘটনার সূত্রপাত। আনিসের বাড়িতে সেদিন রাতে গিয়েছিলেন চার জন। তাদের মধ্যে একজন পুলিশের পোশাক পরিহিত ছিল বলে জানা যায়। প্রাথমিক কথাবার্তা বলার পর তিনজন ছাদে উঠে যায় বলে জানা যায়। এরপরই ছাত্রনেতা আনিস খানকে  ছাদ থেকে ধাক্কা মেরে ফেলে খুন করা হয় বলে অভিযোগ তাঁর পরিবারের। এই ঘটনার কথা প্রকাশ্যে আসতেই তুমুল ছাত্র বিক্ষোভ শুরু হয় গোটা রাজ্যজুড়ে। এমনকী ছাত্র ধর্মঘটেরও ডাক দেয় সিপিএমের ছাত্র সংগঠন এসএফআই। উঠেছে সিবিআই তদন্তের দাবি। সিবিআই তদন্তের দাবিতে সরব হয়েছে আনিসের পরিবারও।