সংক্ষিপ্ত
কয়েকদিন ধরেই এই কাণ্ড ঘটাচ্ছে একটি কুকুর ভর সন্ধ্যায় পুরুলিয়া শহরের মূল কেন্দ্র ট্যাক্সি স্ট্যান্ড সহ চকবাজার, মেছো গলি এলাকায় পথ চলতি মানুষকে কুকুরটি আচমকাই কামড়ে দিচ্ছে। এই ভাবে কুকুরটি শহরের বিভিন্ন জায়গায় ১২ জন পথচলতি মানুষকে ইতিমধ্যেই কামড় বসিয়েছে।
সন্ধ্যা নামলেই কুকুরের আতঙ্ক বাড়ছে পুরুলিয়া শহরে(Dog panic is on the rise in Purulia)। ইতিমধ্যে কুকুরের কামড়ে আহত হয়েছেন ১২ জন পথ চলতি মানুষ। স্থানীয়র জানাচ্ছেন গত কয়েকদিন ধরেই এই কাণ্ড ঘটাচ্ছে একটি কুকুর। ভর সন্ধ্যায় পুরুলিয়া শহরের(Purulia town) মূল কেন্দ্র ট্যাক্সি স্ট্যান্ড সহ চকবাজার, মেছো গলি এলাকায় পথ চলতি মানুষকে কুকুরটি আচমকাই কামড়ে দিচ্ছে। এই ভাবে কুকুরটি শহরের বিভিন্ন জায়গায় ১২ জন পথচলতি মানুষকে ইতিমধ্যেই কামড় বসিয়েছে। ফলে আতঙ্ক ছড়িয়েছে শহর জুড়ে। আহত ব্যাক্তিরা সঙ্গে সঙ্গে পুরুলিয়া দেবেন মাহাতো গভর্নমেন্ট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে(Deben Mahato Government Medical College and Hospital) চিকিৎসার জন্যে আসেন বলে জানা যাচ্ছে। তাদের টিটেনাস ইনজেকশন(Tetanus injection) দেওয়া হয়েছে। তাদের প্রত্যেকেই অ্যান্টি রেবিশ ইনজেকশনও দিয়েছেন ডাক্তারেরা।
আরও পড়ুন-
এই ঘটনার পর শহরে কুকুর দেখলেই মানুষের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হচ্ছে। ভয়ে রয়েছে বাচ্চারা। স্থানীয়দের দাবি কুকুরটিকে অবিলম্বে আটক করে সংরক্ষিত স্থানে রাখা হোক। অন্যথায় আরও বাড়বে বিপদের ঝুঁকি। পুরুলিয়া পৌরসভার প্রশাসক নব্যেন্দু মাহালি জানান, “কুকুর কামড়ের খবর পাওয়ার সাথে সাথেই ব্যবস্থা নেওয়া শুরু করেছে পুরুলিয়া পৌরসভা। পুরুলিয়া শহরে যে সমস্ত স্ট্রিট ডগ রয়েছে তাদের দেখা শোনার জন্য আমাদের একজন ১২ মাসের কর্মী রয়েছেন। তাঁকে খবর দেওয়ার সাথে সাথে তিনি কুকুরটির সন্ধান শুরু করে দিয়েছেন। তবে ওই কুকুরটির এখনও কোন খোঁজ পাওয়া যায়নি। খোঁজ পেলেই রেসকিউ করা হবে।” এদিকে কুকুরের ভয়ে সন্ধ্যের পর পুরুলিয়া শহরের মূল কেন্দ্র স্থল ট্যাক্সি স্ট্যান্ড,চক বাজার হাসপাতাল মোড়ের দিকে আর কেউই পা মাড়াতে চাইছেন না। পথচলতি সকলের একটাই ভয় যদি কোন গলি থেকে দৌড়ে এসে কামড় দেয় ওই পাগলা কুকুর। তাই ওই পথগুলি সাধারণত এড়িয়েইউ চলছেন সাধারণ।
আরও পড়ুন-তিন সন্তানকে নিয়ে গঙ্গায় মরণঝাঁপ মহিলার, ব্যাপক চাঞ্চল্য সাগরদিঘিতে
তবে যাদের শরীরে এখনও পর্যন্ত কামড় বসিয়েছে ওই কুকুর তারা প্রাথিমক শুশ্রুষার পর সুস্থ আছেন বলেই জানা যাচ্ছে। তবে কুকুরটির এখনও কোনও খোঁজ না মেলাতেই বাড়ছে দুঃশ্চিন্তা। তবে অনেকে আবার বলছেন কুকুরের সংখ্যা একের অধিক হতে পারে। সেই ক্ষেত্রে আরও বাড়ছে চিন্তা। তবে যারা কামড় খেয়েছেন তাদের থেকে কুকুরটির গায়ের রং, গঠন প্রভৃতি জেনে জোরদার তল্লাশি অভিযান চালানো হচ্ছে পুরসভার তরফে। প্রয়োজনে সাহায্য নেওয়া হতে পারে বন দপ্তরের। তবে সংখ্যা যদি একের অধিক হয় তবে যে আতঙ্কের যখেষ্ট কারণ রয়েছে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।