সংক্ষিপ্ত
সকাল থেকেই সেজে উঠেছে শ্রী শ্রী মা সারদার জন্মভূমি বাঁকুড়ার জয়রামবাটি। মা সারদার ১৬৯ তম জন্মতিথি উপলক্ষে এদিন ব্যাপক ভক্ত সমাগম দেখা গিয়েছে জয়রামবাটি মাতৃমন্দিরে।
সারদা মায়ের ১৬৯তম জন্মদিন(Sarada's mother's 189th birthday) উপলক্ষ্যে গোটা রাজ্যজুড়েই যেন সাজসাজ রব। সকাল থেকেই সেজে উঠেছে শ্রী শ্রী মা সারদার জন্মভূমি বাঁকুড়ার জয়রামবাটি(Jayarambati of Bankura)। মা সারদার ১৬৯ তম জন্মতিথি উপলক্ষে এদিন ব্যাপক ভক্ত সমাগম দেখা গিয়েছে জয়রামবাটি মাতৃমন্দিরে। সকাল থেকেই নানান অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে পালিত হচ্ছে এই বিশেষ দিনটি। ভোর মঙ্গল আরতির মধ্য দিয়ে শুরু হয় মূল পূজাপাঠ। এরপর দিনভর বিশেষ পুজো, ভোগ, বেদপাঠ, মায়ের কথা সহ নানান কর্মসুচীর মধ্য দিয়ে পালিত হচ্ছে জগত জননী মা সারদার জন্মতিথি উৎসব। সকাল থেকে মা সারদার দর্শন পেতে হাজির হয়েছেন ভক্তরা। কোভিড বিধি(Covid Norms) পালনেও বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে মাতৃমন্দির কর্তৃপক্ষের তরফে। সীমিত সময়ের জন্য প্রবেশ এবং সীমিত সময়ের মধ্যে দর্শন ও প্রণাম সারতে পারবেন ভক্তরা। এমনটাই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে মন্দির কর্তৃপক্ষের তরফে।
অন্যদিকে জয়রামবাটির পাশাপাশি সারদা মায়ের জন্মতিথি উপলক্ষ্যে সেজে উঠেছে হুগলির পূর্ণভূমি ঠাকুর রামকৃষ্ণ দেবের জন্মস্থান কামারপুকুর মঠ(Kamarpukur Math, the birthplace of Lord Ramakrishna)। সকাল থেকেই ভক্তদের ভিড় ছিল চোখে পরার মতো। বেলা বাড়ার সঙ্গেসঙ্গে ভিড় আরও বাড়ছে। তবে ভিড় নিয়ন্ত্রণে মাঠে নেমেছে পুলিশ প্রশাসন। করোনা বিধি মেনে চলছে মঠে প্রবেশ। তবে ভক্তদের বসে খাওয়ানোর ব্যবস্থা না থাকলেও দূর থেকে আগত ভক্তদের কথা ভেবে প্লেটে প্রসাদ খাওয়ানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে কামারপুকুর রামকৃষ্ণ মঠে। চলছে ঠাকুর রামকৃষ্ণ দেব ও মা সারদার বিশেষ পুজো পাঠ। অন্যদিকে সারদা দেবীর ১৬৯ তম জন্মতিথি উপলক্ষ্যে বেলুড় মঠেও(Belur Math) বিশেষ পুজোর আয়োজন করা হয়েছে। সকাল থেকেই মায়ের মন্দিরে চলছে মঙ্গলারতি। আয়োজনা করা হয়েছে বড়মাপের হোমযজ্ঞের। সেই সঙ্গে বেলুড়ের নাটমন্দিরে এদিন দিনভর মাতৃ সঙ্গীতের আয়োজন করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
আরও পড়ুন- অযোধ্যায় চাঁদা নিয়ে জোরজুলুম, পর্যটকদের উপর হামলার অভিযোগ
তবে ভক্তদের প্রবেশে অবাধ ছাড়পত্র থাকলেও করোনা উদ্বেগের কথা মাথায় রেখে বিধিনিষেধের উপর জোর দেওয়া হচ্ছে। এদিন সকাল ৮-১১ টায় প্রথম দফায় বেলুড় মঠে ভক্তরা প্রবেশাধিকার পান। অন্যদিকে এরপর দুপুর ৩.৩০ থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত রয়েছে প্রবেশাধিকার। নানা ধর্মীয় অনুষ্ঠান, বেদ পাঠ, স্তব গান, ধর্মসভার মধ্য দিয়েই সারদা মায়ের আরাধনায় ব্রতী হয়েছে ভক্তকূল। সব মিলিয়ে সারাদ মায়ের আবির্ভাব দিবসে গোটা রাজ্যজুড়েই যেন বছর শেষের উৎসবের মেজাজ।