সংক্ষিপ্ত
এই ঘটনায় মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন ওই যুবতী। তাঁর বন্ধু বান্ধব থেকে শুরু করে অফিসের সহকর্মীরা সবার কাছে সুপার ইম্পোজ করে তৈরি করা ওই ছবি মেসেজ হিসেবে পাঠানো হয়।
মোবাইলে (Mobile) আসা একটি লিঙ্কে (Link) ক্লিক করতেই বাধে বিপত্তি। যুবতীর ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social Media) ভাইরাল করে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। এই ঘটনায় টিটাগড় থানায় (Titagarh Police Station) অভিযোগ দায়ের করেন ওই যুবতী। তার ভিত্তিতে তদন্ত (Investigation) শুরু করেছে ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের (Barrackpore Police Commissionerate) সাইবার অপরাধ (Cyber Crime) দমন শাখা। তবে এখনও কেউ গ্রেফতার হয়নি।
ব্যারাকপুরের (Barrackpore) ওই যুবতীর ফোনে একটি লিঙ্ক এসেছিল। আর সেই লিঙ্কে ক্লিক করেন তিনি। লিঙ্ক খুলতেই তাঁর মাথায় হাত পড়ে যায়। অভিযোগ, তাঁর কাছে একাধিক মেসেজ যায়। বলা হয়, তিনি নাকি বিপুল অঙ্কের টাকা ধার করেছেন। আর সেই টাকা তাঁকে ফেরত দিতে হবে। এমনকী, তাঁর ফোনে কটূক্তি করেও একাধিক মেসেজ পাঠানো হয়। এরপর হুমকি দিয়ে বলা হয়, তিনি যদি ধার নেওয়া টাকা ফেরত না দেন তাহলে অবিলম্বে তাঁর ছবি বিকৃত করে তা সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়া হবে। যদিও ওই যুবতীর দাবি, তিনি কোনও টাকা ধার নেননি। কিন্তু, তারপরও তাঁকে টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য চাপ দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। তারপরও টাকা দিতে অস্বীকার করলে তাঁর ছবি বিকৃত করে তার উপরে অশ্লীল কথা লিকে তা যুবতীর ফোনের কনট্যাক্ট লিস্টে থাকা সবার কাছে পাঠিয়ে দেয় অভিযুক্ত। এরপর হুমকি দেওয়া হয় টাকা না দিলে তাঁর ওই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে তা ভাইরাল করে দেওয়া হবে।
এদিকে এই ঘটনায় মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন ওই যুবতী। তাঁর বন্ধু বান্ধব থেকে শুরু করে অফিসের সহকর্মীরা সবার কাছে সুপার ইম্পোজ করে তৈরি করা ওই ছবি মেসেজ হিসেবে পাঠানো হয়। এর ফলে তাঁর সম্মানহানি হচ্ছে বলে তিনি জানিয়েছেন। এরপরই সোজা টিটাগর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। অভিযোগ দায়ের করা হয় ব্যারাকপুর সাইবার ক্রাইমেও। অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। তবে যতক্ষণ না পর্যন্ত অভিযুক্তরা গ্রেফতার হচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত আতঙ্কে রয়েছেন ব্যারাকপুরের ওই যুবতী।
শহরে সবথেকে বেশি মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে সাইবার ক্রাইম। প্রতারণার জন্য প্রতিদিনই নিত্য নতুন উপায় বের করছে প্রতারকরা। আর তাদের সেই জাল বিছিয়ে দিচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে। সাইবার বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, আসলে এই লিঙ্কগুলো ক্লিক করলে একটা এপিকে ফাইল কিংবা একটা অ্যাপ ইনস্টল হয়ে যাচ্ছে। সেই অ্যাপ ইনস্টল হওয়ার পরই মোবাইল থেকে সব তথ্য চলে যাচ্ছে প্রতারকদের কাছে। এরপর প্রতারিতদের নামে ঋণ নিচ্ছে প্রতারকরা। কিন্তু, সেকথা ঘুণাক্ষরেও টের পাচ্ছেন না প্রতারিতরা। তারপর ঋণ পেয়ে যাওয়ার পরই প্রতারিতকে টাকা দেওয়ার জন্য ব্ল্যাকমেল করতে শুরু করছে অভিযুক্তরা। করোনা পরিস্থিতির মধ্যে অনেক বেশি তৎপর হয়ে উঠেছে এই চক্রগুলি।
আরও পড়ুন- হাইকোর্টে স্বস্তি অনুব্রতর, কড়া পদক্ষেপ করতে পারবে না সিবিআই, তদন্ত জারি রাখার নির্দেশ