সংক্ষিপ্ত

আরও শক্তি বাড়িয়ে এই নিম্নচাপই 'সিতরাং' ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নিতে পারে। যদিও এখনও এই ঝড়ের গতিপ্রকৃতি সম্পর্কে মৌসম ভবনের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়েনি। তবে নিম্নচাপের গতিবিধি উপর নজর রাখছে আবহাওয়া দফতর। 
 

কালীপুজোর আগেই চোখ রাঙাচ্ছে ঘূর্ণিঝড়। ‘ফণি’,‘আমপান’,‘ইয়াস’-এর  ভয়াবহ স্মৃতি উস্কে দিয়ে এবার বাংলার উপর ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় 'সিতরাং'। আন্দামান সাগরে ক্রমশই শক্তি ঘনীভূত হচ্ছে ঘূর্ণাবর্ত। যা ক্রমে শক্তি বাড়িয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হতে চলেছে। পরে আরও শক্তি বাড়িয়ে এই নিম্নচাপই 'সিতরাং' ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নিতে পারে। যদিও এখনও এই ঝড়ের গতিপ্রকৃতি সম্পর্কে মৌসম ভবনের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়েনি। তবে নিম্নচাপের গতিবিধি উপর নজর রাখছে আবহাওয়া দফতর। 

এই ঝড়ের পোশাকি নাম দেওয়া হয়েছে 'সিতরাং' বা 'সি-তরাং'। নামটি তাইল্যান্ডের দেওয়া। তাইল্যান্ডের উচ্চারণ অনুযায়ী এই ঝড়ের নাম 'সি-তরাং'। 'সিতরাং' বা 'সি-তরাং' তাইল্যান্ডের একটি পদবি। ভিয়েতনামী ভাষায় এর অর্থ পাতা। এই মৌসম ভবনের পক্ষ থেকে এখনই এই ঝড়ের কোনো পোশাকি নাম আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হয়নি। কারণ নিয়ম অনুযায়ী সাগরে কোনও ঘূর্ণাবর্ত ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার পরই তার নাম ঘোষণা করা হয়। আন্দামান সাগরে তৈরি হওয়া ঘূর্ণাবর্ত শক্তি বাড়িয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা থাকলেও তা এখনও ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নেয়নি। 

প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যে সুপার সাইক্লোন 'সিতরাং'-এর আছড়ে পড়ার খবরে তোলপার বিভিন্ন মহল। কানাডার সাসকাচোয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফ থেকে সুপার সাইক্লোনের বিষয় প্রকাশ্য আসার পর থেকেই তুঙ্গে জল্পনা। কানাডার সাসকাচোয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া ও জলবায়ু গবেষক মোস্তাফা কামাল পলাশ কিছুদিন আগে জানিয়েছেন, ১৭ অক্টোবরের মধ্যেই তৈরি হবে নিম্নচাপ। যা ২৫ অক্টোবর নাগাদ সুপার সাইক্লোন রূপে আছড়ে পড়তে পারে। 

এই সুপার সাইক্লোনের বিষয় আলিপুর আবহাওয়া দফতর বা দিল্লির মৌসম ভবনের পক্ষ থেকে এখনও কোনও সতর্কবার্তা মেলেনি। বরং আলিপুর আবহাওইয়া দফতর জানিয়েছে সুপার সাইক্লোনের কোনও সম্ভাবনা নেই, তবে একটা সাইক্লোন আসার সম্ভাবনা রয়েছে যা ওডিশার উপকূলবর্তী এলাকায় আছড়ে পড়তে পারে। মূলত পুরী, চিলকার মধ্যবর্তী এলাকায় এই ঝড়ের প্রভাব পড়বে। ঝড়ের গতিবেগ ঘন্টায় ৭০ থেকে ৮০ কিলোমিটার থাকতে পারে বলেও জানিয়েছে হাওয়া অফিস। আন্দামান উপকূলে তৈরি হওইয়া এই ঘূর্ণাবর্ত ২৪ তারিখ নাগাদ আছড়ে পড়তে পারে বলে জানাচ্ছে আবহাওয়া দফতর। 

অন্যদিকে আর মাত্র ১-২ দিনের মধ্যেই দক্ষিণবঙ্গ থেকে বিদায় নেবে বর্ষা। প্রায় জুন মাসের শুরু থেকেই বঙ্গে বর্ষার দাপট শুরু হয়েছে। এমনকী পুজোতেও রেহাই মেলেনি বৃষ্টির হাত থেকে। আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, ১৮ অক্টোবর উত্তর আন্দামান সাগরে একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হবে। এই ঘূর্ণাবর্ত উত্তর-পশ্চিম দিকে এগিয়ে পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপে পরিণত হবে। এই  ২০ অক্টোবর নাগাদ এই ঘূর্নাবর্ত নিম্নচাপে পরিণত হবে। যার জেরে টানা বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকছে দক্ষিণবঙ্গে। কালীপুজোতে বৃষ্টি হবে কি না সেই বিষয় যদিও এখনও নিশ্চিতভাবে কিছু জানানো হয়নি। 

আরও পড়ুন -

দুর্গাকে একটি লজ্জাবতীর পাতা অর্পন করে আর্থিক সমস্যা থেকে মুক্তি পান, জানুন কীভাবে সেটি দেবেন

'জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ নীতি সকলের জন্য সমানভাবে প্রযোজ্য হওয়া জরুরি', দশেরায় বললেন RSS প্রধান

সূর্যের দক্ষিণ গোলার্ধে ভয়ঙ্কর বিস্ফোরণ, বিপন্ন হতে পারে পৃথিবীর যোগাযোগ ব্যবস্থা