সংক্ষিপ্ত

বাংলায় সরাসরি আঘাত হানছে না সাইক্লোন যশ

তাও অবশ্য মুক্তি নেই বাংলার

তাই ১৪ জেলা থেকে সরানো হল ৮ লক্ষ মানুষ

সারারাত নবান্নেই থাকবেন মমতা

 

গতিপথ বদলেছে ঘূর্ণিঝড় যশ (Cyclone Yaas), তবে এখনও তা আগের মতোই ভয়ঙ্কর। আমফান যেমন কলকাতার বুক চিড়ে গিয়েছিল, যশের ক্ষেত্রে তা হচ্ছে না। কলকাতা থেকে অনেকটা দূর দিয়েই যাবে। তবে শহর কলকাতায় তীব্র ঝড়ের দাপট না দেখা গেলেও ব্যাপক বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। দিল্লির মৌসম ভবন জানিয়েছে, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টায় পারাদ্বীপপ থেকে ২০২ কিমি দক্ষিণ-দক্ষিণ পূর্বে রয়েছে। তবে তারা সতর্ক করে বলেছে, ২৬ তারিখ, অর্থাৎ বুধবার দুপুরে বালাসোরের দক্ষিণে স্থলভাগে প্রবেশের পর ওড়িশা এবং পশ্চিমবঙ্গ উপকূলের উপর দিয়ে কিন্তু যশ অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় হিসাবেই যাবে।

ভারতের আবহাওয়া বিভাগ এদিন জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় যশ, বাংলাতে সরাসরি আঘাত না হানলেও, এর প্রভাব থেকে পুরোপুরি মুক্ত হবে না পশ্চিমবঙ্গ। পুরো গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে ২৫ এবং ২৬ মে তারিখে বিচ্ছিন্নভাবে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া, জোয়ারের জল স্বাভাবিকের থেকে অন্তত ২ মিটার উঁচু হতে পারে। এর ফলে দুই মেদিনীপুর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার অপেক্ষা নিচু এলাকাগুলি জলে ডুবে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

কাজেই, 'আমফানের থেকে কম শক্তিশালী' - এই ধরণের ধারণা মাথায় নিয়ে নিশ্চিন্তে বসে থাকার উপায় নেই। আর বসেও নেই প্রশাসন। ইতিমধ্যেই যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজে নেমে পড়েছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী বা এনডিআরএফ। ১৪টি জেলা থেকে মোট ৮,০৯,৮৩০ জনকে নিরাপদদ আশ্রয়ে স্থানান্তরিত করেছে তারা। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি মানুষকে স্থানান্তরিত করা হয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলায়, প্রায় ৩ লক্ষ। এরপরেই আছে দক্ষিণ ২৪ পরগণা, ২ লক্ষ ৫৮ হাজার এবং পূর্ব মেদিনীপুর, ১ লক্ষ ১০ হাজার। এছাড়া, বাঁকুড়া, বীরভূম, হুগলী, হাওড়া, ঝাড়গ্রাম, কলকাতা, নদিয়া, উত্তর ২৪ পরগণা, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান এবং পুরুলিয়ায় বহু মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

অন্যদিকে, আমফানের মতোই এদিন রাতেও নবান্ন-র কন্ট্রোলরুম থেকেই ঘূর্ণিঝড় যশ-এর পরিস্থিতি পর্যালোচনা করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানিয়েছেন, সংশ্লিষ্ট সমস্ত জেলার জেলাশসকদের সঙ্গে ইতিমধ্য়েই তিনি ফোনে কথা বলেছেন। ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য প্রস্তুতি সম্পর্কে খোঁজখবর নিয়েছেন। নবান্নে যে ঘরে কন্ট্রোল রুম তৈরি হয়েছে, এদিন সেখানকার প্রস্তুতিও খতিয়ে দেখেন মুখ্যমন্ত্রী। সঙ্গে ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়-ও।