সংক্ষিপ্ত
- প্রবল বর্ষণে কলকাতা সহ রাজ্যের ভয়াবহ পরিস্থিতি
- অধিকাংশ জায়গাতেই জমেছে হাটু সমান জল
- কোথাও আবার নদীর জলস্ফীতিতে ভেসে গিয়েছে সেতু
- বেহালার বেহাল দশায় মুখ খুললেন ফিরহাদ হাকিম
প্রবল বর্ষণে কলকাতা সহ রাজ্যের ভয়াবহ পরিস্থিতি। অধিকাংশ জায়গাতেই জমেছে হাটু সমান জল। কোথাও আবার নদীর জলস্ফীতির জেরে ভেসে গিয়েছে সেতু। ইতিমধ্য়েই নৌকা নেমেছে ঘাটালে। দক্ষিণ কলকাতাতেও বেহাল অবস্থা বেহালায়। এদিন এবিষয়ে ফের কথা বললেন ফিরহাদ হাকিম।
আরও পড়ুন, আগামী ২- ৩ ঘন্টার মধ্য়ে বজ্রবিদ্যুৎ সহ প্রবল বর্ষণ, ভাসতে চলেছে বাংলার এই জেলাগুলি
এদিন ফিরহাদ হাকিম বলেছেন,' কিছু পকেটে হাজার চেষ্টা করেও জল নামেনি। আমি আগেও বেহালার মানুষের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিয়েছিলাম জল জমার কারণে। এভাবে মানুষকে নিয়ে খেলা করা যায় না। কেআইপি কে টাইম বেধে দিয়েছি। কাজ শেষ করতে হবে। পাশাপাশি ফিরহাদ হাকিম আরও বললেন, যেটা মন্ত্রীকে ৩ বছর বলা সত্ত্বেও কিছু হয়নি। কিছু জায়গায় আমাদের গাফিলতি আছে। নাম না করে শুভেন্দু অধিকারী ও রাজীব বন্দোপাধ্যায়কে এদিন কটাক্ষ করলেন তিনি।
আরও পড়ুন, প্রবল বর্ষণে চোপড়া ফ্লাইওভারে ফাটল, নদীর জলে তছনছ ঘাটালের সেতু, বন্যা হতে পারে কি
এদিকে ঘাটালে শহরের ভেতরে রাস্তায় শুরু হল নৌকা চলাচল। ১০ ওয়ার্ড জলপ্লাবনে ছিন্ন ,সাপের উপদ্রবে আতঙ্ক। ঘাটাল শহরের রাস্তায় এবার শুরু হল নৌকা যাতায়াত ৷ এক ঝলকে দেখলে মনে হবে কাশ্মীরের চিত্র ৷ কিন্তু ঝুমি ও শিলাবতী নদীর জলস্ফিতীর কারনে এই চিত্র ঘাটাল শহর সংলগ্ন এলাকার ৷ ঘাটাল পৌর এলাকার ১৭ টি ওয়ার্ডের ১৩টি তেই প্রবেশ করেছে জল ৷ ঘাটালের আড়াগোড়া এলাকাতে রাজ্য সড়কের ওপরে জলের স্রোত ৷ পরিস্থিতির অবনতি হল শনিবারও ৷ গত তিনদিন ধরেই পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটালে জলস্ফিতি দেখা দিয়েছে ৷ ঝুমি ও শিলাবতী নদীতে জলস্ফিতীর কারনে প্রায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরী হয়েছে ৷
আরও পড়ুন, প্রবল বর্ষণে ধ্বস পুরুলিয়ার পাহাড়ে, ভাঙল মন্দিরের সিঁড়ি, আতঙ্কে পূজারী থেকে স্থানীয়রা
তিনদিনে বেশ কিছু বাঁশ ও কাঠের সেতু ভেঙে গিয়েছে জলের স্রোতে ৷ সংযোগ ছিন্ন হয়েছে বহু গ্রাম ৷ শনিবার নতুন করে ঘাটালের আড়াগোড়া এলাকাতে রাজ্য সড়কের ওপরে জল উঠতে শুরু করেছে ৷ স্রোত বইছে সড়কের ওপরে ৷ ফলে স্বাভাবিক যাতায়াত বন্ধ হওয়ার পথে ওই রাস্তায় ৷ ঘাটাল পৌরসভা এলাকার ১৭ টি ওয়ার্ডের ১৩টি ওয়ার্ডেই জল প্রবেশ করে সমস্যা তৈরী করেছে ৷ একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রেও জল ঢুকে কাজ বন্ধ হয়েছে ৷ শনিবার সকাল থেকে ঘাটাল পৌরসভা এলাকা ও শহর সংলগ্ন এলাকাতে পীচ রাস্তার ওপরে চলছে নৌকা ৷ সড়কের ওপরে বেশিরভাগ এলাকাতে নৌকা ও ডিঙি দ্বারা যাতায়াত করতে হচ্ছে ৷
আরও পড়ুন, ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে উদ্ধার মা-বাবা-বোন-ঠাকুমার দেহ, ভোটের আগেই খুন করে একমাত্র ছেলে
ঘাটালের স্থানীয় বাসিন্দা হারাধন সানকি বলেন- জল বেড়ে যাতায়ত ছিন্ন হয়েছে ৷ কারও নিজস্ব ডিঙি বা নৌকা থাকলে তাতে যাতায়াত করতে পারছে ৷ অনেকেই বাড়ার নৌকাতে যাতায়াত করছি ৷ তাতে যাতায়াত নিশ্চয়তা নেই ৷ অনেকেই জলে নেমে যাতায়াত করতে গেলেও সাপের ভয় দেখা দিয়েছে ৷ উল্লেখ্য, গতবারের বন্যা গুলিতে ঘাটাল ও দাসপুর এলাকাতে বহু মানুষ বিষধর সাপের দ্বারা আক্রান্ত হয়েছিলেন ৷ অনেকেই মারা গিয়েছেন সাপের কামড়ে ৷ পুনরায় সেই আতঙ্ক দেখা দিয়েছে বন্য পরিস্থিতি দেখে ৷ শনিবার ঘাটাল পৌরসভা এলাকার ১৩ টি জলমগ্ন ওয়ার্ডের ১০ টিই জলে ডুবে গিয়েছে বলে জানান ঘাটাল পুরসভার পুর প্রশাসক বিভাস চন্দ্র ঘোষ ৷ তিনি বলেন- জল বেড়ে বন্যার আকার ধারন করেছে ৷ আমরা জেলা শাসক ও রাজ্য সরকারের কাছে জানিয়েছি ৷ মহকুমা শাসকের কাছে তারপলিন, চাল ও গরুর খাওয়ার সরবরাহের জন্য আবেদন করা হয়েছে ৷
আরও পড়ুন, ৭ বছর পর সারদা মামলায় জামিন পেলেন দেবযানী মুখোপাধ্যায়, তবুও ঝুলেই রইল ভিন রাজ্যে ভাগ্য