সংক্ষিপ্ত
- বাড়ি ফেরার পথে দুর্ঘটনার কবলে পরিযায়ী শ্রমিকরা
- উত্তরপ্রদেশে প্রাণ হারালেন পুরুলিয়ার ৬ জন
- তাঁদের মৃতদেহ পৌঁছল গ্রামের বাড়িতে
- এলাকায় শোকের ছায়া
বুদ্ধদেব পাত্র, পুরুলিয়া: লকডাউনের মাঝেই অবশেষে ফিরলেন বাড়িতে। পা-এ হেঁটে নয়, অ্যাম্বুল্যান্সে চেপে। উত্তরপ্রদেশে ভয়াবহ পথ দুর্ঘটনায় মৃত ছ'জন পরিযায়ী শ্রমিকের দেহ সোমবার পৌঁছল পুরুলিয়ায়।
আরও পড়ুন: করোনা সংক্রমণের শিকার ১১ মাসের শিশু, আতঙ্ক ছড়াল উস্তিতে
অভাবের সংসার নুন আনতে পান্তা ফুরনোর দশা। বাড়তি রোজগারের আশায় ভিনরাজ্যে কাজ করতে যেতে হয় তাঁদের। কিন্তু লকডাউনের জেরে ঘটল বিপত্তি। কাজকর্ম শিকেয় উঠেছে, রোজগারও বন্ধ। পরিযায়ী শ্রমিকদের দুর্ভোগের শেষ নেই। যে যেমনভাবে পারছেন, বাড়ি ফিরে আসছেন।
বাড়তি রোজগারের আশায় পুরুলিয়া থেকে রাজস্থানে কাজ করতে গিয়েছিলেন ৬ জন। একটি ট্রাকে চেপে বাড়ি ফিরছিলেন সকলেই। দুর্ঘটনা ঘটে শুক্রবার শেষরাতে। উত্তরপ্রদেশের আউরিয়া জেলায় মিহৌলি এলাকায় জাতীয় সড়কে পরিযায়ী শ্রমিক বোঝাই ট্রাকের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয় অন্য একটি ট্রাকের। ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান কমপক্ষে ২৪ জন পরিযায়ী শ্রমিক। মারা যান পুরুলিয়ার চন্দন রাজোয়ার, মিলন বাদ্যকার, অজিত মাহাতো, গণেশ রাজোয়ার, বীরেন মাহাতো ও স্বপন রাজোয়ারও। রবিবার মৃতদের বাড়িতে গিয়ে পরিবারের হাতে দু'লক্ষ টাকার চেক তুলে দেন পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়নমন্ত্রী শান্তিরাম মাহাতো ও জেলাশাসক রাহুল মজুমদার। উত্তরপ্রদেশের মোগলসরাই স্টেশন থেকে মৃতদের নিথর দেহ বিশেষ কনভয়ে চাপিয়ে ফিরিয়ে আনারও ব্যবস্থা করা হয়।
আরও পড়ুন: ধেয়ে আসছে ঘুর্ণিঝড় 'আমফান', দিঘায় প্রশাসনের তৎপরতা তুঙ্গে
জানা গিয়েছে, সোমবার সকালে দেহগুলি প্রথমে আনা হয় পুরুলিয়া মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। সেখানে অ্যাম্বুল্য়ান্স রওনা দেয় পুরুলিয়া মফঃস্বল থানার দুমদুমি গ্রাম, জয়পুর থানার ঝাল মামরা গ্রাম ও কোটশিলা থানা বাটারি গ্রামের উদ্দেশ্যে। দুর্ঘটনার দু'দিন পর প্রিয়জনদের মৃতদেহ পেলেন পরিবারের লোকেরা।