সংক্ষিপ্ত
বেলা বাড়তেই মুর্শিদাবাদ জুড়ে বিখ্যাত 'ছানাবড়া' 'রসগোল্লা' থেকে সবুজ আবির এর চাহিদা তুঙ্গে। ১ ঘন্টায় ৫০০০ মিষ্টি বিক্রিতেই পড়েছে সাড়া।
গোটা রাজ্যের অন্যান্য জেলার মতো পুরযুদ্ধে কার্যত বিরোধী শূন্য দশা মুর্শিদাবাদেরও। ভেঙে পড়েছে অধীর এদিকে তিনদশক পর বহরমপুর পৌরসভা হাতছাড়া হল কংগ্রেসের। যা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে জেলার রাজনৈতিক মহলে। এদিকে বুধবার সকালে গণনা পর্ব শুরু হতেই ধীরে ধীরে বদলাতে থাকে সামগ্রিক চিত্রটা। বুধবার বেলা গড়িয়ে দুপুর হাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মুর্শিদাবাদের বেলডাঙা সহ বিভিন্ন পৌর এলাকায় তৃণমূল প্রার্থীদের জয় নিশ্চিত হতে শুরু করতেই জেলার বিখ্যাত 'ছানাবড়া়া', 'রসগোল্লা্লা' কেনার হিড়িক পড়ে যায়। কেউ কেনেন সবুজ আবির, কেউ আবার লাইন দেন মিষ্টির দোকানে। অনেকে আবার সবুজ রসগোল্লার অর্ডার দিন বিজয় মিছিলের জন্য।
বেলডাঙ্গার নামী একটি মিষ্টির দোকানে মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ৫০০০ সবুজ রসগোল্লার বিক্রি হয়ে যায়। পটকা, বাজি ও মিষ্টির অর্ডার দিয়েছেন তৃণমূলের বেশ কিছু নেতাও। মিষ্টি বিক্রেতা রতন দাস বলেন, “এমন বিক্রি বাড়াতে হবে তা আমরা স্বপ্নেও ভাবিনি। সারা মাসের মুনাফা একদিন এই উঠে যাবে”।শহরের এক আবির বিক্রেতা বলেন, “সকাল থেকে অনেকে সবুজ আবির নিয়ে গিয়েছেন। অনেকে আবার নিয়ে যাবেন বলে আগাম জানিয়ে গিয়েছেন। তবে হাতে যা আবির আছে তা চাহিদার তুলনায় কম হয়ে যাবে বলে মনে হচ্ছে”।
আরও পড়ুন- শুরু ফলপ্রকাশের কাউন্টডাউন, কার হাতে যাচ্ছে জিয়াগঞ্জ-আজিমগঞ্জ
আরও পড়ুন- কার দখলে কৃষ্ণনগর, রাত পোহালেই ফলপ্রকাশ
আরও পড়ুন- কার দখলে যাচ্ছে নবদ্বীপ পৌরসভা, শুরু কাউন্টডাউন
বিপুল জয়ের স্বপ্নে বিভোর তৃণমূল শিবির ইতিমধ্যেই সমস্ত প্রস্তুতি সেরে রাখছে। সেকারণে এদিন সকাল থেকেই বিভিন্ন মিষ্টির দোকানে হাজার হাজার সবুজ রসগোল্লার অর্ডার দেওয়া হয়েছে। বহরমপুর শহরের টেক্সটাইল মোড়ে এক মিষ্টির বলেন, তৃণমূল পার্টি অফিস থেকে দু’হাজার সবুজ রসগোল্লার অর্ডার দেওয়া হয়েছে। আমের ফ্লেভারের রসগোল্লার চাহিদা তুঙ্গে। রসগোল্লা ছাড়াও সবুজ রংয়ের বিভিন্ন রকমের মিষ্টি তৈরি রাখছs। জেলার বিভিন্ন প্রান্তেই মিষ্টির দোকানে সবুজ রসগোল্লার চাহিদা রয়েছে। কারণ প্রত্যেকেই তৃণমূলের ভালো ফলের ব্যাপারে আশাবাদী। সেকারণেই সবুজ মিষ্টির চাহিদা কয়েক দিনে আরও বাড়বে। মুর্শিদাবাদ লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল সাংসদ আবু তাহের খান বলেন বলেন,"চূড়ান্ত গণনার সরকারি ফলাফল হাতে এলেই আমরা সাংবাদিকদের পুরো বিষয়টি জানাবো। তবে তার আগে এখন যা হাওয়া তাতে চারিদিকে সবুজ সবুজ তৃণমূল আর তৃণমূল"।