পুলিশি বাধার মুখে দিলীপ ঘোষশনিবারের পর ফের রবিবারএবার পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি সভাপতিকে আটকানো হল পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দকুমারেতিনি গেলে আইনশৃঙ্খলা ভেঙে পড়বে বলে আটকে দেওয়া হয় 

করোনাভাইরাস মহামারির মধ্য়েই দক্ষিণবঙ্গের কলকাতা-সহ চার জেলা তছনছ করে দিয়ে গিয়েছে ঘূর্ণিঝড় আমফান। উপকূলবর্তী অন্যান্য জেলার মতো ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত পূর্ব মেদিনীপুর জেলাও। রবিবার সকালে এই জেলার ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলিই পরিদর্শন করতে যাচ্ছিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি তথা মেদিনীপুরের সাংসদ দিলীপ ঘোষ। কিন্তু নন্দকুমার থানার শ্রীকৃষ্ণপুর বাসস্ট্যান্ডের কাছে তাঁর গাড়ি আটকে দেয় নন্দকুমার থানার পুলিশ। তাঁকে বলা হয়, তিনি গেলে উপদ্রুত এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে।

'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় করোনা-কে ভয় পাচ্ছেন না, আমফান-কে ভয় পাচ্ছেন না একা দিলীপ ঘোষ-কে ভয় পাচ্ছেন'। শনিবারের পর রবিবারও, ঘূর্ণিঝড় আমফানের দাপটে ক্ষচিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনে যেতে গিয়ে পুলিশি বাধার মুখে পড়ে এমনটাই দাবি করলেন পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি সভাপতি।

করোনাভাইরাস মহামারির মধ্য়েই দক্ষিণবঙ্গের কলকাতা-সহ চার জেলা তছনছ করে দিয়ে গিয়েছে ঘূর্ণিঝড় আমফান। উপকূলবর্তী অন্যান্য জেলার মতো ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত পূর্ব মেদিনীপুর জেলাও। রবিবার সকালে এই জেলার ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলিই পরিদর্শন করতে যাচ্ছিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি তথা মেদিনীপুরের সাংসদ দিলীপ ঘোষ। কিন্তু নন্দকুমার থানার শ্রীকৃষ্ণপুর বাসস্ট্যান্ডের কাছে তাঁর গাড়ি আটকে দেয় নন্দকুমার থানার পুলিশ। তাঁকে বলা হয়, তিনি গেলে উপদ্রুত এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে।

Scroll to load tweet…

তাঁকে আটকানোর পর ওই এলাকাতেই নেমে পড়েন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। তাঁকে দেখতে বিড় জমান গ্রামবাসীরাও। দিলীপ ঘোষের সঙ্গে বেশ কিছু কমলা রঙের এবং বিজেপির প্রতীক দেওয়া কাপড়ের মাস্ক ছিল। এক যুবককে নিজে হাতে সেই মাস্ক পরিয়ে দেন মেদিনীপুরের সাংসদ। বাকি মাস্কগুলি সেখানকার বিজেপির এক কার্যকর্তার হাতে তুলে সেগুলি গ্রামবাসীদের মধ্যে বিলি করে দেওয়ার নির্দেশ দেন তিনি। তারপর জাতীয় সড়ক ধরে তমলুক থেকে এগরার পথে যেতে দেখা গিয়েছে তাঁকে।

পরে তিনি জানান, 'তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রী-সাংসদরা ঘুরে বেড়াচ্ছেন। নিজের নিজের এলাকায় কাজ করছেন। আপনারা করোনাকে ভয় পেলেন না, আমফানকে ভয় পেলেন না, একা দিলীপ ঘোষকে ভয় পাচ্ছেন! আমি সেখানে গেলেই সরকার পাল্টে যাবে নাকি? এত নীচ রাজনীতি ভারতে আগে দেখা যায়নি। শাসকদল ভয় পাচ্ছে, আমি যে এলাকা দিয়ে যাব সেকানকার সব বিজেপি হয়ে যাবে। আপনাদের অত্যাচারে, অমানবিক ব্যবহারে এমনিই মানুষ বিজেপি হয়ে যাবে। দিলীপ ঘোষকে আটকে বিজেপিকে আটকানো যাবে না। পরিবর্তন হবেই।'

Scroll to load tweet…

শনিবার একইভাবে গড়িয়া ঢালাই ব্রিজের কাছে আটকে দেওয়া হয়েছিল দিলীপ ঘোষকে। দমকল মন্ত্রী তথা তৃণমূল নেতা সুজিত বসু বলেছিলেন, 'ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় প্রশাসন তার কাজ করছে। দিলীপবাবু সেখানে যাচ্ছেন কাজে বাধা সৃষ্টি করতে'। আর নবান্ন থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট বার্তা দিয়েছিলেন, 'এটা ক্ষুদ্র রাজনীতির সময় নয়'।