সংক্ষিপ্ত
- বাঁকুড়ায় হুঁশিয়ারি দিলীপ ঘোষের
- তৃণমূল নেতাদের থেকে কাটমানি আদায়ের নির্দেশ দলের কর্মীদের
- কাটমানি ফেরালে তবেই একুশে জুলাই সমাবেশে যাওয়ার অনুমতি
- পুলিশকেও রেয়াত নয়, হুমকি দিলীপের
আগে কাটমানি ফেরত দিতে হবে। তা না হলে কলকাতায় একুশে জুলাইয়ের সমাবেশে যোগ দেওয়ার অনুমতি পাবেন না তৃণমূল নেতারা। শনিবার বাঁকুড়ার ওন্দায় এমনই হুঁশিয়ারি দিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
শুধু তাই নয়, বিজেপি কর্মীদের উপরে কেউ হামলা চালালে তাকে ছ' মাসের জন্য হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হবে বলেও এ দিন হুঁশিয়ারি দিয়েছেন দিলীপ। তৃণমূলকে সতর্ক করে দিয়ে রীতিমতো হঙ্কারের সুরে তিনি বলেন, 'গোটা দেশে বিজেপি গুন্ডা, বদমাশদের শায়েস্তা করেছে। বাংলাতাকেও কাউকে রেয়াত করা হবে না। এমন পালিশ করব যে ব্যান্ডেজ করার জায়গা থাকবে না।'
আরও পড়ুন- একুশে জুলাই তৃণমূলের জলসা, তীব্র কটাক্ষ মুকুলের, দেখুন ভিডিও
এ দিন ওন্দার সভা থেকে রবিবার ধর্মতলায় তৃণমূলের শহিদ সমাবেশকে কটাক্ষে ভরিয়ে দেন দিলীপ। তিনি বলেন, 'রবিবার কলকাতায় শ্রাবণ মাসের সার্কাস হবে। কিন্তু এবার আর তৃণমূলের বিজয়োৎসব হবে না, এবার শোকসভা হবে। কারণ এবার তৃণমূল হেরে গিয়েছে, তাই এখনও ওদের শোকসভা চলছে।' কটাক্ষের সুরে দিলীপ বলেন, 'এই তো বাঁকুড়ায় এলাম। কোথাও তো একুশে জুলাইয়ের সভার কোনও গেট, ঝান্ডা কিছুই দেখতে পেলাম না। ব্যাপারটা কী, সেটাই তো বুঝতে পারছি না!'
আরও পড়ুন- একুশে জুলাইয়ের থেকেও বড় সভা কলকাতায়, তৃণমূলকে চ্যালেঞ্জ মুকুলের
এর পরেই দলীয় কর্মীদের নির্দেশ দিয়ে দিলীপ বলেন, 'এখান থেকে তৃণমূলের যে নেতারা কলকাতায় যাওয়ার জন্য বেরোবে, রাস্তায় ধরে আগে টাকা আদায় হবে, তার পরে কলকাতা। সাত আট বছর ধরে যে কাটমানি খেয়েছে সব ফেরত দিতে হবে। না হলে কলকাতায় যেতে দেওয়া হবে না। সে সংসদের সদস্য হোক বা পঞ্চায়েতের, কাউকে আমরা ছাড়ব না।' দিলীপবাবুর এহেন বক্তব্যের পরে একুশে জুলাইয়ের সভায় আসা নিয়ে বিজেপি- তৃণমূল সংঘাতের সম্ভাবনা আরও বাড়ল।
এ দিন বাঁকুড়ার সভায় আগাগোড়া আক্রমণাত্মক ছিলেন দিলীপ ঘোষ। বিজেপি কর্মীদের উপরে আক্রমণ হলে পুলিশকেও রেয়াত করা হবে না বলে এ দিন হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। দিলীপবাবুর কথায়, 'আমরা অনেক মার খেয়েছি। এখন আর মার খাওয়ার দিন নেই। এবার উল্টো দিতে হবে। ইট, পাটকেলের বদলা ইট, পাটকেল দিয়েই নিন। যে ঠাকুর যে ফুলে সন্তুষ্ট, তাকে সেটাই দিতে হবে।' বরাবরই গরমাগরম বক্তব্য রাখতে পছন্দ করেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি। কিন্তু রাজ্যের রাজনৈতিক পরিবেশ যে রকম উত্তপ্ত
এ দিন বাঁকুড়ার ওন্দার এই সভায়, তৃণমূল এবং সিপিএম সমর্থক ৩৭৫টি পরিবার বিজেপি-তে যোগদান করে বলে দাবি করেছেন দলীয় নেতৃত্ব।