সংক্ষিপ্ত
- দলের হারের জন্য প্রার্থী নির্বাচনকে দায়ী করলেন দিলীপ
- হারের জন্য বাদ গেল না কর্মীদের গাছাড়া মনোভাব
- উপ নির্বাচনে হার তেমন কিছু ক্ষতি করবে না জানালেন
- এনআরসি নিয়ে কোনও কথা বললেন না বিজেপির রাজ্য সভাপতি
এক নয় তিন উপ নির্বাচনেই হারের মুখ দেখতে হয়েছে বিজেপিকে। লোকসভা নির্বাচনের পর দলের এই ধরাশায়ী অবস্থার জন্য তাঁর দিকে আঙুল তুলছে সবাই। অথচ নিজের ঘাড় থেকে সেই অভিযোগ একপ্রকার সরিয়ে দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
এদিন খড়গপুরে হারের কারণ জানতে চাওয়ায় দিলীপবাবু বলেন, চাইলেই যেকেউ হারের জন্য তাঁকে টার্গেট করতেই পারেন। মনে রাখতে হবে লোকসভায় এখান থেকেই তিনি জিতেছেন। রেল শহরে হারের পিছনে প্রার্থী নির্বাচন একটা কারণ হতে পারে বলে জানান বিজেপির সাংসদ। তিনি বলেন, প্রার্থী নিয়ে অনেক অভিযোগ থাকতে পারে। লোকসভা নির্বাচনে যেভাবে প্রচারে নামা হয়েছিল, বিধানসভা নির্বাচনে সেই মনোভাবে প্রচারে নামেননি কর্মীরা। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তাঁরা ভেবেছেন, এখানে তো অনেক লিড আছে জয় নিশ্চিত। কিন্তু শেষমেশ তা হয়নি।
নিজের দলের বাইরে এই হারের জন্য রাজ্য সরকারের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। তিনি বলেন, যে যখন সরকারে থাকে, উপ নির্বাচনে ভয় দেখিয়ে পুলিশকে কাজে লাগিয়ে সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা করে। এখানেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। এ বিষয়ে আগেই আমরা কমিশনের কাছে বলেছি। এদের ক্ষমতায় থাকার পরেও একটা সিট ছিল আমরা সেই সিট হারিয়েছি । এখানে গত নির্বাচনে আমরা যত ভোটে জিতেছিলাম, সেখানে ১০ হাজার ভোট মাইনাস হয়েছে। এই নিয়ে তেমন ভাবনার কিছু নেই। এই আসন তৃণমূল প্রথমবার জিতেছে। ঠিক যেমন আমরা ১৮টা সিট প্রথমবার জিতেছি। আসন জিতলেই হয় না । ধরে রাখতে হয়। বিজেপিও নিজের আসন ধরে রাখার চেষ্টা করবে।
এদিকে দিলীপের পাশাপাশি দলের হার নিয়ে মুখ খুলেছেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়। তিনি বলেন, উপনির্বাচনের রায়ের প্রভাব ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে পড়বে না। এটা সম্পূর্ণ আলাদা প্রেক্ষাপটে ভোট হবে। ওই নির্বাচনে বিজেপিই জিতবে। তৃণমূল আগামী দিনে আর রাজ্যে ক্ষমতায় থাকবে না।