সংক্ষিপ্ত

কলকাতা বিমানবন্দরে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, "বিরোধীদের বৈঠক কে ডাকবে, তা নিয়েই ঝগড়া। কংগ্রেস ডাকবে, নাকি তৃণমূল ডাকবে, না অন্য দল ডাকবে? কে কংগ্রেস, কে তৃণমূল, কে নির্মূল! আমাদের মাথা ব্যথা নেই।" 

আজ থেকে শীতকালীন অধিবেশন (Winter Session) শুরু হচ্ছে সংসদে (Parliament)। প্রথম দিনই কৃষি আইন প্রত্যাহার বিল (Farm Laws Repeal Bill) পেশ করা হবে কেন্দ্রের তরফে। আর তার আগেই বিরোধীদের নিয়ে বৈঠকে বসতে চলেছে কংগ্রেস (Congress)। যদিও সেই বৈঠকে যোগ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তৃণমূল (TMC)। কংগ্রেস আর তৃণমূলের এই দ্বন্দ্ব একেবারে প্রকাশ্যে চলে এসেছে। আর তা নিয়েই এবার মুখ খুললেন বিজেপি সাংসদ তথা দলের সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। অধিবেশনে যোগ দিতে আজ সকালের বিমানেই দিল্লি রওনা (Delhi) দিয়েছেন তিনি। আর তার আগে কলকাতা বিমানবন্দরে (Kolkata Airport) সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, "বিরোধীদের বৈঠক কে ডাকবে, তা নিয়েই ঝগড়া। কংগ্রেস ডাকবে, নাকি তৃণমূল ডাকবে, না অন্য দল ডাকবে? কে কংগ্রেস, কে তৃণমূল, কে নির্মূল! আমাদের মাথা ব্যথা নেই।" 

তৃণমূলের নাম না করে কটাক্ষ করেন দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, "কখনও কংগ্রেসের সঙ্গে, কখনও কংগ্রেসকে বাদ দিয়ে চলছে তারা। যখন বিজেপি বিরোধী দল ছিল, তখন এই দলগুলোই একবার বিজেপির সঙ্গে, একবার বিজেপিকে বাদ দিয়ে চলত। এইসব ড্রামা (Drama) অনেক পুরনো হয়ে গিয়েছে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, বিরোধীদের বৈঠক কে ডাকবে তা নিয়ে ঝগড়া হচ্ছে। কংগ্রেস ডাকবে, নাকি তৃণমূল ডাকবে, না অন্য দল ডাকবে? তাহলে ওরা ঠিক করে নিক যে নেতা কে হবে? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) নেতা হতে চাইছেন.সোনিয়া গান্ধীর (Sonia Gandhi) দিন চলে গিয়েছে। এইসব করতে করতেই এই সিজন পার হয়ে যাবে।"

বিরোধীদের এই দ্বন্দ্বকে একেবারেই গুরুত্ব দিতে নারাজ দিলীপ ঘোষ। সংসদে অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়েই আলোচনা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। বলেন, "সংসদে শীতকালীন অধিবেশন শুরু হচ্ছে আর সেখানে সবথেকে বড় বিষয় হল কৃষি বিল প্রত্যাহার করা। এ ছাড়াও অনেক গুরুত্বপূর্ণ আর্থিক বিল আছে, সেগুলোও পাস হবে। করোনা পরিস্থিতির (Corona Situation) জন্য আটকে থাকা অনেক কাজও সম্পন্ন করার প্রস্তুতি নেবে কেন্দ্র। আমাদের সরকার সবাইকে নিয়ে কাজ করতে চায়। দেশের স্বার্থে গঠনমূলক হোক বিরোধীরা। যদি বিরোধিতা করার মতো কোনও বিষয় থাকে, নিশ্চয়ই বিরোধিতা করা উচিত। তবেই তো সফল হবে গণতন্ত্র। আমরা তার জন্য প্রস্তুত আছি। আমরা চাই রাষ্ট্রীয় স্বার্থে কাজ হোক, আমরা সবাই মিলে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাব।"

উল্লেখ্য, সোমবার কংগ্রেসের ডাকে বিরোধীদের বৈঠকে তৃণমূল হাজির থাকছে না বলেই জানা গিয়েছে। তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, কংগ্রেসের মল্লিকার্জুন খাড়গের ডাকা বিরোধী দলগুলির বৈঠকে তৃণমূল উপস্থিত থাকবে না সোমবার। যদিও এই বিষয়টি নিয়ে অত্যন্ত তৎপর সোনিয়া গান্ধী। মল্লিকার্জুন খাড়গেকে তিনি বিষয়টি খতিয়ে দেখতে বলেছেন। পাশাপাশি তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে আলাদা করেও বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তাঁকে।