সংক্ষিপ্ত

  • তৃণমূলকে ধন্যবাদ জানালেন দিলীপ
  • ফেসবুকে নম্বর ভাইরাল করার জন্য ধন্যবাদ
  • জনসংযোগ নিয়েও মমতাকে কটাক্ষ বিজেপি রাজ্য সভাপতির

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জয় শ্রীরাম লেখা হাজার হাজার পোস্ট কার্ড পাঠানোর হুমকি দিয়েছিলেন বিজেপি নেতা অর্জুন সিংহ। তার পাল্টা হিসেবে সোশ্যাল মিডিয়ায় তৃণমূল সমর্থকদের পক্ষ থেকে অর্জুন সিংহ ছাড়াও বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়দের মোবাইল নম্বর দিয়ে দেওয়া হচ্ছে। বিজেপি নেতাদের মোবাইল নম্বর জয় হিন্দ, জয় বাংলা, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জিন্দাবাদ লিখে পাঠানোর আবেদন জানানো হচ্ছে। 

বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ অবশ্য এভাবে সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর নম্বর ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য তৃণমূলকেই ধন্যবাদ জানিয়েছেন। খড়্গপুরের সাংসদের দাবি, তৃণমূলের দেওয়া নম্বর পেয়ে অনেকেই তাঁকে ফোন করছেন ঠিকই। কিন্তু তাঁরা উল্টে বিজেপি-তে যোগ দেওয়ার আবেদন জানাচ্ছেন। তিনি বলেন, "আমার নম্বর ভাইরাল করার জন্য তৃণমূলকে ধন্যবাদ জানাই। কারণ পশ্চিমবঙ্গের মানুষ আমার সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করছেন। সবার কাছে তো আমার নম্বর ছিল না। অধিকাংশ মানুষই ফোন করে বলছেন, বিজেপি-তে যোগ দিতে চাই, কীভাবে করব? মানুষের কাছে বিজেপি-কে পৌঁছে দেওয়ার জন্য তৃণমূলের সমর্থকরা যে পরিশ্রম করেছেন, তার জন্য তাঁদের ধন্যবাদ।"

জয় শ্রীরামের পাল্টা হিসেবে জয় হিন্দ স্লোগানকে হাতিয়ার করছে তৃণমূল। দিলীপবাবুর অবশ্য দাবি, জয় হিন্দ স্লোগান নিয়ে তাঁদের কোনও আপত্তি নেই। তৃণমূলকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, "আপত্তির কী আছে, জয় হিন্দ, জয় শ্রীরাম সবই চলবে। আমরা তো মেনে নিয়েছি। তৃণমূলের বরং জয় শ্রীরাম বলতে আপত্তি আছে। সেই জন্য সব জায়গায় লোকে ওদের আওয়াজ দিচ্ছে।" দিলীপের কথায়, যাঁর যেটা পছন্দ হয়, তিনি সেই স্লোগান বেছে নেবেন। 

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকেও জয় হিন্দ স্লোগান লেখা দশ হাজার চিঠি পাঠানোর কর্মসূচি নিয়েছে তৃণমূল। এই পরিকল্পনাকেও কটাক্ষ করে দিলীপবাবু বলেন, "ভোটে হারার পরে তৃণমূল সমর্থকদেরও কাজ নেই, পোস্ট অফিসেও আগের থেকে অনেক কাজ কমেছে। ভালই তো, ওনারা চিঠি লিখুন। কাজ নেই বলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দলের সমর্থকদের নতুন কাজ দিয়েছেন।"

তৃণমূল বিধায়কদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে জনসংযোগ বাড়ানোর জন্য মঙ্গলবারই নির্দেশ দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই নির্দেশকেও এ দিন কটাক্ষ করেছেন দিলীপ। তিনি বলেন, ভোটের আগে লোকের বাড়ি যাননি। মানুষকে চমকেছেন, ধমকেছেন ভয় দেখিয়েছেন। এখন মানুষের বক্তব্য শুনে নেবেন।