সংক্ষিপ্ত

  • হায়দরাবাদের ধর্ষণকাণ্ডের সঙ্গে কালীঘাটের গণধর্ষণের প্রসঙ্গ টানলেন দিলীপ ঘোষ
  • গণধর্ষণের মতো ঘটনা রুখতে সংসদে ব্যক্তিগত উদ্যোগে বিল আনছেন দিলীপ
  • ধর্ষণ রুখতে দওয়াই বাতলালেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি
  • কালীঘাটের গণধর্ষণের জন্য কাঠগড়ায় তুললেন রাজ্য প্রশাসনকে

হায়দরাবাদের ধর্ষণকাণ্ডের সঙ্গে এবার কালীঘাটের গণধর্ষণের প্রসঙ্গ টানলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। দিলীপ ঘোষের দাবি, অন্য রাজ্যে গণধর্ষণের ঘটনা ঘটলে কড়া সাজা হয়। রাজ্যে কড়া ব্যবস্থা না নেওয়ায় বার বার এই ধরনের ঘটনা ঘটছে। গণধর্ষণের মতো ঘটনা রুখতে সংসদে ব্যক্তিগত উদ্যোগে বিল নিয়ে আসার কথা বলেন তিনি।

উপ নির্বাচনে শূন্য় প্রাপ্তিতেও যে তাদের দমানো যাবে না, তা বুঝিয়ে দিলেন বিজেপির সাংসদ। হায়দরাবাদের ধর্ষণকাণ্ডের সঙ্গে রাজ্যের একাধিক রেপ কেসের তুলনা করলেন তিনি। বিজেপির রাজ্য সভাপতির মতে, ধর্ষণ রুখতে দোষীকে কড়া সাজা  দিলে সেই পথে পা বাড়াতো না অন্যরা। অন্য় রাজ্য ধর্ষণে কড়া পদক্ষেপ নিলেও বাংলায় মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের সরকার কিছুই করেনি। সেকারণে প্রশ্রয় পেয়ে গেছে ধর্ষকরা। কালীঘাটের মতো একাধিক গণধর্ষণ কাণ্ড ঘটছে বাংলায়। 

এদিন দিলীপ ঘোষ বলেন, ধর্ষকদের মানসিকতার পরিবর্তন ঘটাতে হবে। এর জন্য এই ধরনের মানুষের মনে ভয় ধরাতে হবে। ধর্ষকদের মৃত্যুদণ্ডের সাজা দিলেই সবার মনে ভয় ধরবে।  ধর্ষণে মৃত্যদণ্ডের সাজার দাবিতে সংসদে দ্রুত একটি বিল আনবেন তিনি। অন্যথায় এই ধরনের পৈশাচিক মানসিকতার পরিবর্তন হবে না।   

শনিবার দলের  সদর দফতরে সাংবাদিক সম্মেলনের পর হারের ময়নাতদন্তে নামছে গেরুয়া শিবির। শীঘ্রই  ৩ উপনির্বাচনে হারের কারণ খুঁজতে তৈরি  হচ্ছে কমিটি। এই বিষয়ে দিলীপ বাবু বলেন, কেন হার খতিয়ে দেখতে কথা বলা হবে সাধারণ ভোটার থেকে দলের কার্যকর্তাদের সাথে। সম্প্রতি করিমপুর, কালিয়াগঞ্জ, খড়গপুর সদর বিধানসভা উপনির্বাচনে ভরাডুবি হয়েছে রাজ্য বিজেপির। হাতছাড়া হয়ে গিয়েছে দিলীপ ঘোষের গড় নামে পরিচিত খড়গপুর বিধানসভাও। 

এই হারের কারণ খোঁজার পাশাপাশি রাজ্যে পৌরসভা নির্বাচনের রণকৌশল তৈরি করছে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন পৌরসভায় তৈরি করা হয়েছে কমিটি, ইস্যু অনুযায়ী সাধারণ ভোটারদের কাছে তুলে ধরা হবে দলের স্ট্যান্ডপয়েন্ট। একই সাথে বিভিন্ন জায়গায় বিজেপির দলীয় কোন্দল মেটাতেও সক্রিয় রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব। নব্য-পুরনো সংঘাতে ইতি টানতে নয়া পরিকল্পনা নিতে চলেছে বিজেপি। সব মিলিয়ে পৌর নির্বাচনের আগে ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া গেরুয়া শিবির।