সংক্ষিপ্ত
বিধানসভায় তৃণমূল বিধায়কের মন্তব্যের পরই শাসকদলের কয়েকজন কর্মী এই লোগো তৈরি করে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার করে দিয়েছে বলে অভিযোগ দিব্যেন্দুর। ফোন নম্বর দেওয়া এই লোগো প্রকাশ্যে আসার পরই একের পর এক ফোন আসতে শুরু করে শিশিরবাবুর কাছে।
মাঝখানে রয়েছে শিশির অধিকারীর ছবি। আর দু'ধারে বিজেপির প্রতীক। ঠিক ছবির উপরের দিকে লেখা, 'বাবাকে বলো'। আর ছবির নিচের দিকে রয়েছে শিশিরবাবুর ফোন নম্বর। এই ছবি পোস্ট করা হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। এহেন পোস্টের বিরুদ্ধে কাঁথি থানায় অভিযোগ দায়ের করলেন শিশির পুত্র তথা তমলুকের সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী। তাঁর অভিযোগ, এই পোস্টের জেরে একাধিক ফোন আসছে শিশিরবাবুর কাছে। ফোন করে বিরক্ত করা হচ্ছে তাঁকে। এর ঘটনায় পাঁচ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন দিব্যেন্দু।
আরও পড়ুন- মাথার উপর দিয়ে চলে গেল ১০ চাকার গাড়ি, ফের রাতের কলকাতায় দুর্ঘটনায় মৃত্য়ু যুবকের
একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগেই তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন অধিকারী পরিবারের মেজো ছেলে শুভেন্দু অধিকারী। এরপর বিজেপির টিকিটে নন্দীগ্রাম থেকে ভোটে লড়েছিলেন। আর ওই আসনে তাঁর বিপরীতে নন্দীগ্রাম থেকে লড়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। কিন্তু, শুভেন্দুর কাছে হেরে গিয়েছিলেন তিনি। এখন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু। অন্যদিকে, বিধানসভা ভোটের আগে এগরায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর সভায় গিয়েছিলেন শিশির অধিকারী। বিজেপির সভায় যাওয়ায় তাঁর সাংসদ পদ খারিজের দাবি জানিয়েছে তৃণমূল। এরই মধ্যে সামনে এসেছে ওই পোস্ট। যার জেরে রীতিমতো নাজেহাল অবস্থা শিশিরবাবুর।
মঙ্গলবার বিধানসভায় বাজেট নিয়ে আলোচনার সময় শুভেন্দুকে কটাক্ষ করে মন্তব্য করেছিলেন নৈহাটির তৃণমূল বিধায়ক পার্থ ভৌমিক। তিনি বলেছিলেন, "লোকসভা ভোটে ১৮টি আসন হারিয়ে একটি কর্মসূচি নিয়েছিলাম। যেখানে বলা হয়েছিল কোনও প্রকল্পের সুবিধা না পেলে দিদিকে বলো। তাই বলছি, দলত্যাগবিরোধী আইন নিয়ে বিরোধী দলনেতাকে বলব, আপনি 'বাবাকে বলো' কর্মসূচি নিন।"
আরও পড়ুন- কোভিডে মৃত্যু শূন্য় বাংলার ১৭ জেলা, ফের সংক্রমণ বেড়ে ১ হাজার ছুঁইছুঁই
বিধানসভায় তৃণমূল বিধায়কের এই মন্তব্যের পরই শাসকদলের কয়েকজন কর্মী এই লোগো তৈরি করে নেটমাধ্যমে প্রচার করে দিয়েছে বলে অভিযোগ দিব্যেন্দুর। আর এই ফোন নম্বর দেওয়া এই লোগো প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই একের পর এক ফোন আসতে শুরু করে শিশিরবাবুর কাছে। এই ঘটনায় খুবই বিরক্ত হন প্রবীণ এই সাংসদ। কয়েকদিন ধরে তিনি এতটই বিরক্ত হয়ে উঠেছেন যে ফোনই বন্ধ করে রেখেছেন। তারপরই শুক্রবার কাঁথি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন দিব্যেন্দু। সোশ্যাল মিডিয়া থেকে অবিলম্বে ওই লোগো সরিয়ে নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তিনি।