সংক্ষিপ্ত
বিশাল নেশার জগতে প্রতিমুহূর্তে বদলে যাচ্ছে কারবারের কৌশল। তারই নানান ছকের খোঁজ উঠে এলো এশিয়ানেট বাংলার কাছে।
ইন্দো-বাংলা সীমান্তের মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) মাদক নেটওয়ার্কের (Drug Network) রমরমা ছড়িয়ে রয়েছে সুদূর মুম্বই, দিল্লি থেকে শুরু করে আন্তর্জাতিক স্তরে (International Level)। তাই এহেন বিশাল নেশার জগতে প্রতিমুহূর্তে বদলে যাচ্ছে কারবারের কৌশল। তারই নানান ছকের খোঁজ উঠে এলো এশিয়ানেট বাংলার কাছে।
যার মধ্যে এই অতিমারী পরিস্থিতিতে জেলার বিভিন্ন প্রত্যন্ত এলাকার গ্রামীণ পরিবেশে গজিয়ে ওঠা কলেজে চত্বরে পড়ুয়াদের (College Students) 'সফট টার্গেট'(Soft Target) করতে বেছে নিয়েছে মাদক মাফিয়ারা। কারণ একটাই এই বিশাল নেশার সাম্রাজ্যের বিস্তৃতি ঘটানো আরোও গভীরে।
পাশাপাশি পুলিশ ও সীমান্তরক্ষী বাহিনীর জওয়ানেরা তাদের সোর্স ইনপুটকে কাজে লাগিয়ে সদা সতর্ক থাকছে নানানভাবে এই সকল মাদক কারবারীদের পরিকল্পনাকে বাজিমাত করার জন্য। বিশেষ সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, কলেজ চত্বরে এক কলেজ ছাত্রকে মাদক বিক্রি করতে যাওয়ার পথে এক মাদক কারবারিকে পাকড়াও করে এরকম নানান অজানা তথ্য উঠে আসছে এখন সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্তাদের হাতে।
যদিও তা নিয়ে সংবাদমাধ্যমের কাছে খোলসা করে এখনই জানাতে নারাজ সীমান্তরক্ষী বাহিনীর জওয়ানদের কর্তারা। বিভিন্ন সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, এই মুহূর্তে মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুর মহাকুমা সহ নিমতিতার এলাকার কলেজের পাশে সক্রিয় হয়ে রয়েছে মাদক কারবারীদের একটি দল। ইতিমধ্যে কামারুজ্জমান শেখ ওরফে ফিতু নামে এক কারবারিকে পাকড়াও করা হয়েছে। তাকে বিভিন্ন সময়ে জেরা করা হচ্ছে। মাদক নেটওয়ার্কের কারবারিরা এই মারণ ব্যবসার বিস্তৃতির জন্য বেশ কিছুদিন ধরেই স্কুল ও কলেজের পড়ুয়াদের কাছে মাদক বিক্রি করছে।
এই পাঁচ বলিউড সেলিব্রিটির কেরিয়ার প্রায় নষ্ট করে দিয়েছিলেন সলমন খান
গোয়েন্দাদের কাছে থেকে এমন তথ্য পাওয়ার পরে তারাও জেলাজুড়ে ফাঁদ পাতা শুরু করে দিয়েছে। এমনকি এই জেলার মধ্য দিয়ে মালদার একটি লিংকের হদিসও মিলেছে বলে স্বীকার করেন বিএসএফের এক নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কর্তা। তিনি জানান, নিমতিতা জুড়ে ব্লুপ্রিন্ট বানিয়ে চলছে এই নয়া কৌশলে কারবার।
বাংলার উন্নয়ন নিয়ে মোদীর সঙ্গে কথা অধীর চৌধুরির, নতুন স্থল বন্দর তৈরির প্রস্তাব
ইতিমধ্যেই বেশ কিছু নাম, মোবাইল নাম্বার জোগাড় করে নজরদারি চালাচ্ছে সীমান্তরক্ষী বাহিনীর। ঠিক কোন পথে সীমান্তের নয়া জাল বিস্তার করতে চাইছে কারবারিরা তা জানতেই এখন মরিয়া হয়ে উঠেছে সীমান্তরক্ষী বাহিনী থেকে শুরু করে পুলিশের একাংশ। অগাষ্ট মাসের শেষের দিকে গ্রেফতার করা হয় মুর্শিদাবাদের কুখ্যাত পাচারকারী আসাদুর রহমানকে। তাকে মুর্শিদাবাদের রাজ্য সড়ক লাগোয়া ইঁট ভাঁটা সংলগ্ন এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার কাছ থেকে ৫০০০ হাজার মিলি লিটার কেমিক্যাল কোডাইন ফসপেট মিক্সচার উদ্ধার করা হয়।
Bank holidays November 2021- নভেম্বরে ১৭ দিন বন্ধ থাকবে ব্যাঙ্ক, দেখে নিন বাংলায় কবে
উন্নত মানের মাদক হেরোইন তৈরির উদ্দেশ্যেই ওই মিক্সচার নিয়ে যাচ্ছিল ওই পাচারকারী। বিশেষ সুত্রে জানা গিয়েছে, বেশ কয়েক বছর থেকে আসাদুর হেরোইন কারবারের সঙ্গে যুক্ত। এক সময় উত্তর প্রদেশ থেকে হেরোইন নিয়ে এসে বাংলাদেশে হেরোইন পাচার করত। কিন্তু কয়েক বছর থেকে সে তার আদি বাড়ি উত্তর লতিবের পাড়াতে হেরোইন তৈরির কারখানা গড়ে তোলে।