সংক্ষিপ্ত
অবৈধভাবে বাংলাদেশে যাওয়ার চেষ্টা
সীমান্তরক্ষী বাহিনীর হাতে ধরা পড়েছিল সে
পায়ুপথে তল্লাশি চালাতেই বের হল ট্যাবলেট
প্রায় ৬ লক্ষ টাকার
সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে যাওয়ার চেষ্টা করেছিল সে। যতই কাঁটাতারের বেড়া আলগা থাক, সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কড়া নজরদারি রয়েছে। তাদের হাতে ধরা পড়ে সে বলেছিল, ওইপারে কৃষিকাজ করতে যাচ্ছে। কিন্তু, তাঁর রকম-সকম দেখে সন্দেহ হয়েছিল বিএসএফের ১৪১ নম্বর ব্যাটেলিয়ানের জওয়ানদের। শুরু হয় তল্লাশি। জামা-কাপড় সব ভাল করে দেখেও কিছু মেলেনি। শেষে কী মনে হতে করা হয় বডি ক্যাভিটি সার্চ, অর্থাৎ, পায়ুপথে তল্লাশি। আর তাতেই ধরা পড়ে গেল সে। উদ্ধার হল কয়েক লক্ষ টাকার মাদক।
ধৃত পাচারকারীর নাম মিঠুন সরকার। বিএসএফ সূত্রে জানানো হয়েছে, বৃহস্পতিবার মুর্শিদাবাদ জেলার ঠাকুরনগর এলাকা সংলগ্ন ভারত-বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সীমান্ত দিয়ে ওই ব্যক্তি পায়ুপথে লুকিয়ে মাদক পাচারের চেষ্টা করেছিল। তল্লাশিতে তার পায়ু থেকে পলিথিনে মোড়া অবস্থায় ৯৯০ টি 'ইয়াবা' ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়। এই পরিমাণ মাদরকের বাজার মূল্য ৬ লক্ষ টাকারও বেশি। এই ড্রাগ বাংলাদেশে নিশিদ্ধ হলেও অত্যন্ত জনপ্রিয়। মিঠুন সরকারের পায়ু থেকে মাদক মিলতেই তাকে গ্রেফতার করা হয়।
বিএসএফের জেরায় মুখে মিঠুন জানিয়েছে, তার বাড়ি স্থানীয় ঠাকুরনগর এলাকায়। কে বা কারা তাকে ওই মাদক বাংলাদেশে পাচার করতে দিয়েছিল, তা জানতে তাকে ধারাবাহিক জেরা করা হচ্ছে। সীমান্তরক্ষী বাহিনীর আধিকারিকরা জানিয়েছেন, এই মাদক পাচারের পিছনে কোনও বড় কোনও চক্র কাজ করছে বলে অনুমান করছেন তাঁরা। মিঠুন নেহাতই চুনোপুটি। পায়ুপথে সোনা বা মাদক পাচারের মতো ঘটনা গল্প-উপন্যাসে পড়া যায়, সিনেমায় দেখা যায়। অনেক সময় বিমান বন্দরেও এই কৌশলে অবৈধ জিনিস পাচার করার চেষ্টা করতে দেখা যায়। তাই মিঠুন সরকারের পিছনে কোনও বড় মাথা জড়িত আছে বলে মনে করা হচ্ছে। তাকে জেরা করে সেই সব রাঘব বোয়ালদের হদিশ পাওয়ার চেষ্টা চলছে।