সংক্ষিপ্ত
মুর্শিদাবাদ জেলায় দুয়ারে সরকারের ৪৪৬টি ক্যাম্প করা হবে। এবার দুয়ারে সরকারের ক্যাম্প থেকে স্বাস্থ্যসাথী, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, ১০০ দিনের কাজ, কন্যাশ্রী, রূপশ্রীর মতো একাধিক প্রকল্পের সুবিধা মিলবে।
নবান্নের (Nabanna) নির্দেশে বাংলাদেশ ঘেঁষা সীমান্তের বাসিন্দাদের জন্য 'ইন্টারেক্টিভ' (Interactive) পদ্ধতিতে মহাসমারোহে মুর্শিদাবাদ জেলায় (Murshidabad District) দুয়ারে সরকারের (Duare Sarkar) কর্মসূচি গ্রহণ করা হল। যা চলবে ১৫ মার্চ পর্যন্ত। বিশেষ পদ্ধতি মেনে একই ছাদের তলায় দুয়ারে সরকারের ক্যাম্পে মোট ২৪টি প্রকল্প ও পরিষেবার জন্য আবেদন নেওয়া হবে বলেই জেলা প্রশাসন সূত্রে জানানো হয়েছে।
এই ইন্টারেক্টিভ পদ্ধতি শুরুর প্রথম সপ্তাহে ৪৪৬টি ক্যাম্প করার টার্গেট নেওয়া হয়েছে। এ প্রসঙ্গে অতিরিক্ত জেলাশাসক (জেলা পরিষদ) অপ্রতিম ঘোষ বলেন, "মুর্শিদাবাদ জেলায় দুয়ারে সরকারের ৪৪৬টি ক্যাম্প করা হবে। এবার দুয়ারে সরকারের ক্যাম্প থেকে স্বাস্থ্যসাথী, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, ১০০ দিনের কাজ, কন্যাশ্রী, রূপশ্রীর মতো একাধিক প্রকল্পের সুবিধা মিলবে। এছাড়াও বেশ কয়েকটি নতুন পরিষেবাও দুয়ারে সরকারের মাধ্যমে পাওয়া যাবে। নতুন পরিষেবার মধ্যে রয়েছে মৎস্য দফতরের মৎস্যজীবী ক্রেডিট কার্ড, তাঁত শিল্পীদের জন্য ক্রেডিট কার্ড, প্রাণীসম্পদ বিকাশ দফতরের ক্রেডিট কার্ড, এমএসএমই দফতরের আর্টিজন ক্রেডিট কার্ড।" অর্থাৎ দুয়ারে সরকারের মাধ্যমে সব পরিষেবাই পাবেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
আরও পড়ুন- 'সোনার বাংলা' গড়তে তৃণমূলের বহিষ্কৃতদের বিজেপিতে আহ্বান সৌমিত্রর
উল্লেখ্য, গত বছর বিধানসভা ভোটের আগে দুয়ারে সরকার প্রকল্পের কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যজুড়ে ক্যাম্পের মাধ্যমে বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের জন্য আবেদন ও সমস্যার সমাধানের ব্যবস্থা করে সরকার। ২০২০ সালে বাঁকুড়াতে দুয়ারে সরকার কর্মসূচির কথা ঘোষণা করেছিলেন মমতা। জানিয়েছিলেন, ১ ডিসেম্বর থেকে চালু হবে রাজ্য সরকারের দুয়ারে দুয়ারে সরকার প্রকল্প। এই প্রকল্পের অধীনে বাড়ি বাড়ি গিয়ে সাধারণ মানুষের অভাব অভিযোগ শুনবেন প্রশাসনের কর্মীরা। সঙ্গে কেউ কোনও সরকারি প্রকল্প থেকে বঞ্চিত হলে তাঁকে সেই প্রকল্পের আওতায় আনার প্রক্রিয়াও শুরু করবেন তাঁরা। আর ভোটের পর লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের ঘোষণা করেছিল রাজ্য। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, দুয়ারে সরকার প্রকল্পে, ‘স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড, স্বাস্থ্য সাথী, খাদ্য সাথী, কৃষক বন্ধু, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের টাকার জন্য আবেদন করা যাবে।'
আরও পড়ুন- কংগ্রেস গড় ভাঙতে তৈরি তৃণমূলের মহিলা টিম, কৌশলী চাল মমতার
রাজ্য সরকারের এই প্রকল্প সাড়া ফেলে দিয়েছে জেলায় জেলায়। প্রতি বছরই কয়েক মাস অন্তর এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। তবে কয়েক মাস আগে করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার ফলে এই প্রকল্পের কাজ বন্ধ রাখতে হয়েছিল। আবার ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে এই প্রকল্প শুরু হয়েছে। জেলার বিভিন্ন প্রান্তে তৈরি হয়েছে শিবির। আর পুরভোটের আগে এই প্রকল্প রাজ্য সরকারকে বাড়তি সুবিধা দেবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।