সংক্ষিপ্ত

পূর্ব বর্ধমানের একাধিক এলাকায় দাপট চালিয়ে চলেছে দামাল হাতির দল। নষ্ট হচ্ছে বিঘের পর বিঘে জমির ফসল। হুলা পার্টির ঠেলায় বর্তমানে বেকায়দায় পড়েছে হাতির পাল। সোমবারই ফিরতে পারে জঙ্গলে

গত কয়েকদিন ধরে বাঁকুড়া সহ পূর্ব বর্ধমানের (Purba Badhaman) একাধিক এলাকায় দাপট চালিয়ে চলেছে দামাল হাতির দল (elephant attack)। নষ্ট হচ্ছে বিঘের পর বিঘে জমির ফসল। আর তাতেই চাষিদের পাশাপাশি মাথায় হাত পড়েছে বনকর্মীদের(forest workers)। অন্যদিকে বাঁকুড়ার জঙ্গল ছেড়ে কী করে হাতির পাল লোকলয়ে ঢুকে পড়েছিল সেই প্রশ্নও ঘোরাফেরা করছিল বিভিন্ন মহলে। অনেকেই বন দপ্তরের কর্তব্যে গাফিলতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী রবিবার রাতের মধ্যেই হাতির পালকে দামোদর পার করে বাঁকুড়ার দিকে ফেরত পাঠানো হাতে।

এই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে খানিক আশার কথা শোনান বর্ধমানের বনাধিকারিক নিশা গোস্বামী। তাঁর দাবি, তাদের কাছে যা খবর আছে তাতে জানা যাচ্ছে হাতির দলটি বর্তমানে দুটি ভাগে ভাগ হয়ে গিয়েছে। একটি দল সামনে থাকলেও অন্য একটি দল খানিক পিছিয়ে আছে। দুটি দলকে এক করার চেষ্টা করছেন বন দপ্তরের কর্মীরা। প্রথম দলটিতে অনেক বাচ্চা হাতি থাকায় সেই হাতির পালটি খুব ধীরে ধীরে এগোচ্ছে। অন্যদিকে অন্য হাতির পালটি আউশগ্রামের(aushgram) ভাল্কি মাচান এলাকার কাছাকাছি রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।

আরও পড়ুন - হাওড়ায় বিজেপি কর্মীকে মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে

এদিকে একটানা কয়েকদিন ধরে হাতির তাণ্ডবে পূর্ব বর্ধমানের গলসি, আউশগ্রাম সহ একাধিক এলাকায় ধানের জমির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিপূরণের দাবি করেছেন কৃষকরা। এদিকে বন দপ্তরের সূত্রে জানা গিয়েছে  বর্তমানে একশো দশ জনের হুলা পার্টির সদস্য হাতি তাড়ানোর কাজ করছে। শনিবার সন্ধ্যায় বৃষ্টি মাথায় নিয়ে হুল্লাপার্টি মশাল নিয়ে হাতির দলটিকে প্রতাপপুরের জঙ্গল থেকে গলসির দিকে নিয়ে যাওয়া চেষ্টা করে। কিন্তু পারাজের কাছে গিয়ে রেললাইন পার করা যায়নি। আর তাতেই বাঁধে বিপত্তি।

আরও পড়ুন - ক্যাম্পাস খুললেও এখনই কলেজে আসতে পারবেন না প্রথম বর্ষের পড়ুয়ারা

রবিবার সকাল থেকে ফের শুরু হয় হাতি তাড়ানোর কাজ। যদিও শনিবার রাতেই ফের শাবক সহ হাতির পাল ফের ফিরে যায় আউশগ্রামের জঙ্গলে। রবিবার হাতির দলটি সারাদিন সেখানেই রয়েছে বলে খবর। বৃষ্টির জেরে কাজও খানিক থমকেছে। বৃষ্টিতে মশালের বারবার নিভে যাওয়ায় হুলা পার্টির কাজেও বিস্তর অসুবিধা হচ্ছে। তবে হাতির আক্রমণে যে সমস্ত চাষিদের জমির ফসল নষ্ট হয়ে গিয়েছে তাদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে বনাধিকারিক নিশা গোস্বামী। এর জন্য বনদপ্তরের তরফে কয়েকদিনের মধ্যে বিজ্ঞপ্তি জারি করে যাবতীয় বিষয় জানানো হবে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে।