সংক্ষিপ্ত
'চাঁচলকে পৌরসভায় রুপান্তরিত করে অল্পদিনের মধ্যে উপহার দেব চাঁচলবাসীকে', রবিবার বাস ডিপোর উদ্বোধনে এসে ফের পৌরসভার কথা মুখে টানলেন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। এদিকে একুশের সুর ফের ফিরহাদের কণ্ঠে, প্রতিশ্রুতি ভঙ্গে সরব বিরোধীরা।
মালদহ-তনুজ জৈনঃ- 'চাঁচলকে পৌরসভায় রুপান্তরিত করে অল্পদিনের মধ্যে উপহার দেব চাঁচলবাসীকে', রবিবার বাস ডিপোর উদ্বোধনে এসে ফের পৌরসভার কথা মুখে টানলেন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)। 'মুখ্যমন্ত্রীর নজরে আছে', বলেও সংযোজন করেন পরিবহণ মন্ত্রী (Transport Minister) । এদিকে একুশের সুর ফের ফিরহাদের কণ্ঠে, প্রতিশ্রুতি ভঙ্গে সরব বিরোধীরা।
প্রসঙ্গত, গত বিধানসভা নির্বাচনে পৌরসভার স্বপ্ন দেখিয়ে ভোট চেয়েছিলেন। সাড়াও দিয়েছিল মানুষ। মালদহের চাঁচলে পৌরসভা হবে আবার সেই ভাষন শোনা গেল মন্ত্রীর গলায়। উল্লেখ্য,রবিবার মালদহের চাঁচল থানার কলিগ্রামে এনবিএসটিসির নবনির্মিত বাস ডিপোর উদ্ধোধনে আসেন রাজ্য পরিবহন ও আবাসন দপ্তরের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। প্রদীপ প্রজ্বলনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের শুভ উদ্ধোধন করেন মন্ত্রী সহ জেলার আট বিধায়ক।উদ্ধোধন শেষ চালকের ভূমিকায় দেখা গেল রাজ্যের পরিবহন মন্ত্রীকে।এছাড়াও দুটি রুটের দুটি বাস চালিয়ে সূচনা করেন তিনি।এদিন ডিপো উদ্ধোধনী অনুষ্ঠানে মন্ত্রীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য সভার সাংসদ মৌসম নূর,চাঁচলের বিধায়ক নীহার রঞ্জন ঘোষ সহ জেলার বেশ কয়েকজন বিধায়ক ও প্রশাসনিক আধিকারিকেরা।
আরও পড়ুন, Murder: ভগবানপুরে ফের খুন BJP কর্মী, 'সুকান্ত-দিলীপের লড়াই'-কে দায়ী করলেন কুণাল ঘোষ
উদ্ধোধনী অনুষ্ঠানের মঞ্চে বক্তব্য রাখতে গিয়ে চাঁচলকে পৌরসভা করার আশ্বাসবানী শোনান মন্ত্রী। চাঁচলে পৌরসভা করে দেওয়ার স্বপ্ন দেখিয়ে দলীয় প্রার্থীর হয়েছে ভোট প্রার্থনা করেছিলেন মন্ত্রী ফিরহাদ। বলা হয়েছিল চাঁচলকে পৌরসভার করার জন্য রাজ্য পালের অনুমোদন মিলেছে। সেই প্রতিশ্রতিতে সাড়াও দিয়েছিল এলাকার মানুষ।বিপুল পরিমাণে ভোট পেয়ে জয়ী হয় তৃণমূল প্রার্থী।রাজ্যে তৃতীয়বারের সরকার গঠন করে তৃণমূল।সরকার গঠনের পরে উত্তরবঙ্গের ময়নাগুড়ি ও ফালাকাটায় এই দুটি পৌরসভা চালু হয়।চাঁচল বঞ্চিত হওয়ায় এলাকার মানুষ সরব হয়েছে। এনিয়ে মন্ত্রী সফরে আসার আগে বিক্ষোভ প্রদর্শনও করে বিরোধীরা। নির্বাচনের আগে যা বলেছিল তার ধরনটা একটু অন্যভাবে শোনা গেল মন্ত্রীর গলায়।
এদিন মন্ত্রী ফিরহাদ বলেন, 'আমাদের প্রতিশ্রুতি ছিল,চাঁচলকে পৌরসভায় রুপান্তরিত করা।সেটাও অল্পদিনের মধ্যে উপহার দেব চাঁচলবাসীকে।চাঁচলবাসীর দাবি মুখ্যমন্ত্রীর নজরে আছে। পাশাপাশি মন্ত্রী এদিন বিরোধীদেরও খোঁচা দেন।তিনি বলেন,বিরোধীরা কুৎসা রটিয়েছেন চাঁচল-৮১ নং জাতীয় সড়কের ধারে থাকা পুরোনো বাস ডিপোর জমি নাকি প্রোমাটারের কাছে বিক্রি করে দেওয়া হবে।মমতা বন্ধোপাধ্যায়ের আমলে কোনও সরকারি জমি বেসরকারীদের হাতে যায়নি, যাবেনা।এদিন মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন মালদা জেলা শাসক রাজর্ষি মিত্র। কলিগ্রামে বাস ডিপোর রাস্তা আটোসোটো। যেকোনও সময় পথচারীরা দুর্ঘটনার শিকার হতে পারে।অবিলম্বে ওই পিডব্লুডির রাস্তা যেন চওড়া করা হয়।সেই আবদার জেলাশাসকের কাছে রাখেন মন্ত্রী।
আরও দেখুন, বিরিয়ানি থেকে তন্দুরি, রইল কলকাতার সেরা খাবারের ঠিকানার হদিশ
আরও দেখুন, কলকাতার কাছেই সেরা ৫ ঘুরতে যাওয়ার জায়গা, থাকল ছবি সহ ঠিকানা
আরও দেখুন, মাছ ধরতে ভালবাসেন, বেরিয়ে পড়ুন কলকাতার কাছেই এই ঠিকানায়
আরও পড়ুন, ভাইরাসের ভয় নেই তেমন এখানে, ঘুরে আসুন ভুটানে