সংক্ষিপ্ত

উচ্চ মাধ্যমিকে উত্তীর্ণ হওয়ার দিনেই মুম্বইয়ে গিয়ে মৃত্যু দাসপুরের ছাত্রের। ইচ্ছেছিল  মুম্বই ঘুরে দেখার, আর সেখানে গিয়েই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটল পশ্চিম মেদিনীপুরের এক পড়ুয়ার। উদযাপনের বদলে এখন শোকস্তব্ধ মণ্ডল পরিবার।

উচ্চ মাধ্যমিকে উত্তীর্ণ হওয়ার দিনেই মুম্বইয়ে গিয়ে মৃত্যু দাসপুরের ছাত্রের। ইচ্ছেছিল  মুম্বই ঘুরে দেখার, আর সেখানে গিয়েই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটল পশ্চিম মেদিনীপুরের এক পড়ুয়ার। উল্লেখ্য, উচ্চ মাধ্যমিকে বিজ্ঞান বিভাগে ৪৭৭ নম্বর পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছেন দাসপুরের ব্রাক্ষণবসান উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র আকাশ মণ্ডল। রাজ্যের উচ্চ মাধ্যমিকের ফলাফল উত্তীর্ণ হওয়ার দিনেই, প্রাণ হারালেন পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুরের ওই ছাত্র। উদযাপনের বদলে এখন শোকস্তব্ধ মণ্ডল পরিবার।

পরিবার সূত্রে খবর, মুম্বই ঘোরার স্বপ্ন ছিল আকাশের। কিন্তু সেই স্বপ্নই যে কাল হবে, তা বুঝতে পারেনি মণ্ডল পরিবার। বুধবার ৮ জুন মামা শুভেন্দু মণ্ডলের সঙ্গে বিমানে করে মুম্বই পাড়ি দেন আকাশ। রাত প্রায় ২ নাগাদ মুম্বইয়ে মামার বাড়িতে পৌঁছনোর পর তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। স্থানীয় একটি বেসরকারি চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার পরই রাত সাড়ে ৩ টে নাগাদ আকাশের মৃত্যু হয়, বলে জানিয়েছে মণ্ডল পরিবার। মুম্বইয়ের চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, হার্ট ব্লক করেই মৃত্যু হয়েছে আকাশের।শুক্রবার ভোরে দাসপুরের ব্রাক্ষণবসানে আকাশের মৃতদেহ পৌঁছতেই গোটা গ্রামে শোকের ছায়া।  দাসপুরের ব্রাক্ষণবসান উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আশিস মাইতি বলেন, 'আকাশ মণ্ডল খুবই ভাল ছেলে।পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধূলাতেও পারদর্শী ছিল সে। 'উল্লেখ্য, উচ্চ মাধ্যমিকে বিজ্ঞান বিভাগে ৪৭৭ নম্বর পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছেন দাসপুরের ব্রাক্ষণবসান উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র আকাশ মণ্ডল। রাজ্যের উচ্চ মাধ্যমিকের ফলাফল উত্তীর্ণ হওয়ার দিনেই, প্রাণ হারালেন পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুরের ওই ছাত্র।

আরও পড়ুন, 'ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত হও', উচ্চ মাধ্যমিকে কৃতীদের শুভেচ্ছা, অসফলদের অভয় দিলেন মমতা

আরও পড়ুন, পথ শিশুদের প্রতিভাকে সামনে আনতে চান উচ্চমাধ্যমিকের টপার, অঙ্ক নিয়ে পড়ার ইচ্ছে অদিশার

প্রসঙ্গত, শুক্রবার রাজ্যে  প্রকাশিত হয়েছে উচ্চ মাধ্যমিকের ফলপ্রকাশ। শিক্ষা সংসদ জানিয়েছে, চলতি বছরে প্রথম স্থান অধিকার করেছে দিনহাটা সোনিদেবী হাই স্কুলের ছাত্রী  অদিশা দেবশর্মা। তার প্রাপ্ত নম্বর ৪৯৮। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন সায়দীপ সামন্ত এবং তার প্রাপ্ত নম্বর ৪৯৭। তৃতীয় স্থানে রয়েছেন চারজন, প্রাপ্ত নম্বর ৮৯৬। চতুর্থ স্থানে মোট আটজন এবং তাঁদের প্রাপ্ত নম্বর ৪৯৫। পঞ্চম স্থানে ১১জন এবং প্রাপ্ত নম্বর ৪৯৪। ষষ্ঠ স্থানে ৩২ জন, প্রাপ্ত নম্বর ৪৯৩। সপ্তম স্থানে ৩৭ জন এবং প্রাপ্ত নম্বর ৪৯২। অষ্টম স্থানে ৫৫জনের প্রাপ্ত নম্বর হল ৪৯১। নবম স্থানে রয়েছেন রাজ্যের ৫৪জন এবং তাঁদের প্রাপ্ত নম্বর ৪৯০। তবে দশম স্থানও কম অবাক করেনি। একসঙ্গে ৬৯ জন এবার দশম স্থানে রয়েছেন। তাঁদের প্রাপ্ত নম্বর ৪৮৯। এবার মাধ্যমিকের ছায়া উচ্চ মাধ্যমিকেও। এবারেও সেই জেলাতেই জয়জয়কার। চলতিবছরে উচ্চমাধ্যমিকে  পাশের হার ৮৮.৪৪  শতাংশ  বলে জানিয়েছে পর্ষদ। ৯০ শতাংশের উপরে নাম্বার পেয়েছে ৭ জেলা। এবারে প্রথম দিকে সেই জেলাগুলির মধ্য়ে মাথা তুলে দাঁড়িয়ে আছে পূর্ব মেদিনীপুর, পুরুলিয়া। 

আরও পড়ুন, অস্বস্তিকর আবহাওয়া আর কতক্ষণ কলকাতায় ? বৃষ্টি পাবে কি আজ দক্ষিণবঙ্গ