সংক্ষিপ্ত
কলকাতা পুরসভায় ভোটের ফলপ্রকাশের পরই বকেয়া পুরভোটগুলির দাবি আরও জোরাল হয়ে ওঠে। কলকাতা হাই কোর্টের তরফে রাজ্য সরকারকে বলা হয়, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব পুরনিগমের ভোট করা হোক। করোনা পরিস্থিতিতে পিছিয়ে ১২ ফেব্রুয়ারি ৪ টি পুরনিগমে ভোট গ্রহণের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করা হয়।
আর মাত্র কয়েক দিনের অপেক্ষা। আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি বিধাননগর (Bidhannagar), চন্দননগর (Chandannagar), আসানসোল (Asansol) ও শিলিগুড়ি (Siliguri) পুরনিগমে ভোট (। তবে ওই চার পুরনিগমের ভোটের ফলপ্রকাশ কবে হবে, তা নিয়ে একটা ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছিল। সূত্র থেকে পাওয়া খবর মারফত জানা যাচ্ছিল, সম্ভবত ১৫ ফেব্রুয়ারি চার পুরনিগমের ভোটের ফলপ্রকাশ হতে পারে। তবে শুক্রবার সব জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের (Election Comission) তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। আর সেই বিজ্ঞপ্তিতেই জানিয়ে দেওয়া হয় আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি অর্থাৎ সোমবার রাজ্যের চার পুরনিগমের ভোটের ফলপ্রকাশ করা হবে (WB Civic Poll)।
কলকাতা পুরসভায় (Corporation) ভোটের ফলপ্রকাশের (Election Result) পরই বকেয়া পুরভোটগুলির দাবি আরও জোরাল হয়ে ওঠে। কলকাতা হাই কোর্টের তরফে রাজ্য সরকারকে বলা হয়, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব পুরনিগমের ভোট করা হোক। উচ্চ আদালতের নির্দেশ অনুসারে ও রাজ্য এবং রাজ্য নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গত ২২ জানুয়ারি রাজ্যের চার পুরনিগমে ভোটের দিন স্থির করা হয়েছিল। কিন্তু তার মাঝে করোনার প্রকোপ ক্রমশ বাড়তে থাকে। সেই সঙ্গে করোার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনের সংক্রমণের হারও বাড়তে থাকে। সেই জন্যই অর্থাৎ করোনার বাড়বাড়ন্তের জেরেই ভোট কিছুদিন পিছনোর বিষয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরামর্শ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। করোনা পরিস্থিতি জোরালো হওয়ায় শেষ পর্যন্ত ভোট পিছনোরই সিদ্ধান্ত নেয় রাজ্য নির্বাচন কমিশন। তারপর ১২ ফেব্রুয়ারি বিধাননগর, চন্দননগর, আসানসোল এবং শিলিগুড়ি পুরনিগমে ভোট গ্রহণের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করা হয়।
আরও পড়ুন-West Bengal Civic Polls: পিছোতে পারে ৪ পুরসভার ভোট, আদালতের প্রশ্নেই নড়ল টনক
আরও পড়ুন-EC on Municipal Polls: বাংলায় বকেয়া পুরভোট কবে, হাইকোর্টে জানাল রাজ্য কমিশন
আরও পড়ুন-Murshidabad BJP: রদবদলের প্রভাব মুর্শিদাবাদের গেরুয়া শিবিরে,পুরভোটে নয়া সমীকরণ
করোনা পরিস্থিতির বিষয়কে বিশেষভাবে প্রাধান্য দিয়ে ভোটের প্রচারের ক্ষেত্রে একাধিক নির্দেশিকা জারি করেছিল নির্বাচন কমিশন। রাজনৈতিক দলগুলিকে ডিজিটাল প্রচারে জোর দিতে বলা হয়েছে। ভার্চুয়াল মিটিং-এর মাধ্যমে ভোট প্রচারের পরামর্শ দিয়েছিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। সেই সঙ্গে প্রত্যেক পুরনিগম এলাকায় নোডাল হেলথ অফিসার নিয়োগ করার কথাও বলা হয়েছিল। একইসঙ্গে করোনা টিকাকরণের ক্ষেত্রেও কড়া নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গণনার এজেন্ট থেকে শুরু করে পোলিং অফিসার সকলেরই টিকার অন্তত একটি ডোজ নেওয়া অত্যাবশ্যক। করোনাকালে ভোট প্রচাররে জন্য কোনরকম জমায়েত হলে তাঁদের বিষয়ে বিস্তারিত খোঁজ নিয়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। বাইক র্যালিকে পুরোপুরি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ভোটের একদিন আগে পুলিশ মোতায়েন বাধ্যতামূলক বলেছে কমিশন। সিসিটিভি ক্যামেরা জোর করে বন্ধ করে দেওয়া কিংবা মুখ ঘুরিয়ে দেওয়ার মতো ঘটনা যাতে না ঘটে সেই দিকে কড়া নজর রাখতে হবে। রিগিং-র মত ঘটনা ঘটলেও নেওয়া হবে কড়া পদক্ষেপ।