সংক্ষিপ্ত

  • উপনির্বাচনের দাবি তুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় 
  • রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বলে দাবি করেন 
  • পজিটিভিটি রেটও অনেকটাই কম 
  • সেক্ষেত্রে নির্বাচনে কোনও সমস্যা নেই বলেও দাবি 
     

রাজ্যের করোনাভাইরাসের সংক্রমণ কিছুটা নিয়ন্ত্রণে। সেক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন চাইলে এখনই রাজ্যে উপনির্বাচন সেরে ফেলতে পারে। বুধবার  সাংবাদিক বৈঠকে তেমনই জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেছেন'এখন পরিস্থিতি অনেকটাই ভালো। কমিশন চাইলে এখনই ভোট নিতে পারে।' তারপরেই তিনি যোগ করেন, তিনি জানেন যে প্রধানমন্ত্রী বললেই নির্বাচন এখনও উপনির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করবে। আর সেক্ষেত্রে এই বিষয়ে তিনি প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করবেন বলেও জানিয়েছেন। 


মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন বিধানসভা নির্বাচনে সপ্তম ও অষ্টম দফার মধ্যবর্তী সময়ে রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়তে শুরু করেছিল। সেইকারণে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে একাধিকবার একসঙ্গে দুটি দফার ভোটগ্রহণের দাবি জানান হয়েছিল। কিন্তু তাঁদের কথা শোনা হয়নি।  বর্তমানে রাজ্যে পজিটিভিটি রেট যথেষ্ট সন্তোষজনক। রাজ্যের পজিটিভিটি রেট ৩.৬১ শতাংশ। সেক্ষেত্র এখন উপনির্বাচন হলে কোনও সমস্যা থাকবে না বলেও জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল সূত্রের খবর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অবিলম্বে উপনির্বাচন করার পক্ষপাতী। সেই কারণেই উপনির্বাচনের দাবি তুলেছেন তিনি। যদিও এখনও পর্যন্ত বিষয়টি নিয়ে কোনও মন্তব্য করেনি নির্বাচন কমিশন। 

এই রাজ্যে দুটি আসনে সাধারণ নির্বাচন আর চারটি আসনে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। করোনা আক্রান্ত হয়ে প্রার্থীর মৃত্যুর কারণে মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জ আর জঙ্গিপুরে বিধানসভা নির্বাচন হয়নি। এই দুটি আসনে সাধারণ নির্বাচবন হবে। আর ভবানীপুর,খড়দহ, দিনহাটা আর শান্তিপুর উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ভবানীপুরের বিধায়ক শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় কৃষি মন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেও এই বিধায়ক পজথেকে পদত্যাগ করেছেন। এই কেন্দ্রে প্রার্থী হওয়ার কথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের। নন্দীগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারীর কাছে তিনি পরাজিত হয়েছিলেবন। সেক্ষেত্র সংবিধানের নিয়ম অনুযায়ী তাঁকে ৬ মাসের মধ্যে কোনও বিধানসভা কেন্দ্র থেকে জিতে আসতে হবে। ৬ মাসের মেয়াদ শেষ হচ্ছে চলতি নভেম্বরে।

অন্যদিকে খরদা বিধানসভা কেন্দ্রের জয়ী তৃণমূল প্রার্থী সিংহের মৃত্যুর পর ওই আসনটি ফাঁকা হয়ে যায়। তৃণমূল কংগ্রেস সূত্রের খবর ওই কেন্দ্রে প্রার্থী হতে পারে শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। তাঁকেও ৬ মাসের মধ্যে জিতে আসতে হবে। ভোটে না লড়াই করেও অর্থমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করেছেন অমিত মিত্র। আইন অনুযায়ী তাঁকেও ৬ মাসের মধ্যে বিধায়ক হিসেবে জিতে আসতে হবে। অন্যদিকে দিনহাটা ও শান্তিপুর আসন থেকে জিতে আসা বিধায়ক নিশীথ প্রামাণিক আর জগন্নাথ সরকার পদত্যাগ করেছেন। বিজেপির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাঁরা সাংসদ থেকে যাবেন। সেই কারণে এই দুটি আসনেও উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।