সংক্ষিপ্ত

২০১৮ সালে ঢাকঢোল পিটিয়ে কাশ্মীরের ডাল লেকের ধাঁচে শিকারা পয়েন্টের উদ্বোধন করেছিল পুরুলিয়া পৌরসভা। এই স্থানটি দেখভালের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল একটি বেসরকারি সংস্থাকে। 

শীতের মরশুম (Winter Season) পর্যটনের (Tourist) জন্য একেবারেই আদর্শ। এই সময় বহু মানুষ বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরতে যান। পর্যটকদের মাধ্যমে ভরে ওঠে পর্যটন কেন্দ্রগুলি। আর ঠিক এই সময়ই বড় ধাক্কা পুরুলিয়া পৌরসভায় (Puruia Municipality)। পুরুলিয়া শহরের কেন্দ্রস্থলে অন্যতম পর্যটন স্থল সাহেব বাঁধ শিকারা পয়েন্টের লক্ষাধিক টাকার বিদ্যুৎ বিল বকেয়া। আর তাই শিকারা পয়েন্টের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে বিদ্যুৎ দফতর। পৌরসভা নির্বাচনের আগে এই ঘটনায় প্রশ্নের মুখে পুরুলিয়ায় পৌরসভা।

২০১৮ সালে ঢাকঢোল পিটিয়ে কাশ্মীরের ডাল লেকের ধাঁচে শিকারা পয়েন্টের উদ্বোধন করেছিল পুরুলিয়া পৌরসভা। এই স্থানটি দেখভালের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল একটি বেসরকারি সংস্থাকে। এরপর থেকেই পুরুলিয়া শহরের পর্যটন মানচিত্রে জায়গা করে নিয়েছিল এই শিকারা পয়েন্ট। জেলা ছাড়িয়ে ভিন রাজ্য থেকে পর্যটকদের ভিড় থাকে এই পর্যটন স্থলে। শীতের মরশুমে শিকারা বিহার থেকে শুরু করে মনোরম পরিবেশ উপভোগ করে থাকেন পুরুলিয়া শহর ছাড়াও দূরদূরান্তের পর্যটকরা। 

এদিকে পর্যটনের ঠিক ভরা মরশুমেই এই শিকারা পয়েন্টের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ায় ভাটা পড়তে শুরু করেছে পর্যটন ব্যবসায়। ক্ষতির মুখে শিকারা পয়েন্টের দায়িত্বে থাকা সংস্থা। বিষয়টিকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি শহর বিজেপি নেতৃত্ব। শহরের অন্যতম পর্যটন স্থলের বিদ্যুৎ বাকি কেন? তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। আগামীদিনে আবার বিদ্যুৎ সংযোগ হয়, কবে ঘুরে দাঁড়াবে এই স্থান, সেটাই এখন দেখার।

এ প্রসঙ্গে বর্তমান পুরবোর্ডের চেয়ারপার্সন নবেন্দু মাহালি বলেন, "এই শিকারা পয়েন্টের যে বিদ্যুৎ সংযোগ আছে, সেটি পুরসভার নামে নেই। ফলে পুরসভার তহবিল থেকে এই বিদুৎ বিল দেওয়া যাচ্ছে না। এই পয়েন্টে বিদ্যুৎ সংযোগ রয়েছে ভাইস চেয়ারম্যানের নামে। অথচ পুরসভার অন্যান্য যে ১৬টি বিদ্যুৎ সংযোগ রয়েছে সেগুলি পুরসভার চেয়ারম্যানের নামে রয়েছে। এই শিকারা পয়েন্টের ১ লক্ষ ১৭ হাজার টাকা বিদ্যুৎ বিল বকেয়া রয়েছে। যেহেতু এই সংযোগ চেয়ারম্যানের নামে নেই, সেই জন্য এই শিকারা পয়েন্টের বিল বকেয়া পড়ে রয়েছে।"

পুরুলিয়া পুরসভার প্রাক্তন ভাইস চেয়ারম্যান বৈদ্যনাথ মণ্ডল বলেন, "এই শিকারা পয়েন্টের বিদ্যুৎ সংযোগ রয়েছে ভাইস চেয়ারম্যানের নামে। আগে এই বিদুৎ বিল পুরসভা থেকে দেওয়া হয়েছে। চেয়ারম্যানের অনুপস্থিতিতে ভাইস চেয়ারম্যান কাজ চালিয়ে যান। সেই সময় আমি ভাইস চেয়ারম্যান ছিলাম। তাই ভাইস চেয়ারম্যানের নামে রয়েছে।"