সংক্ষিপ্ত
লোকালয়ে ঢুকে পড়া হাতির দলের একটি শিশু সদস্য পড়ে যায় নালায়। সেটিকে উদ্ধার করতে নাজেহাল অবস্থা হয় বনকর্মীদের।
লোকালয়ে ঢুকে পড়া একটি হস্তি শাবককে নিয়ে রীতিমত নাকাল হল বনকর্মীরা। শিশু হাতিটি ডুয়ার্সের বানারহাট ব্লকের কারবালা চা বাগানে ঢুকে পড়ে। চা বাদানের নালা পার হতে গিয়ে সেটি পড়ে যায় নালায়। সেখানেই আটকে যায়। শিশু হাতিটিকে উদ্ধার করতে গিয়ে রীতিমত হিমশিম অবস্থা হয় বনকর্মীরা। তবে নালা থেকে উদ্ধার করে হাতিটিকে জঙ্গলে পাঠাতে সক্ষম হয়েছে বনকর্মীরা।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, শুক্রবার সকালে ডুয়ার্সের কারবালা চা বাগানের ডিভিশন এলাকায় প্রায় ২৫ থেকে ৩০ টি হাতির দল ঢূকে পড়ে।অনুমান করা যাচ্ছে হাতিগুলি রেতীর জঙ্গল থেকে খাবারের খোজে ঐ এলাকায় ঢুকেছিল।সেই সময় দল থেকে একটি শাবক হাতি বাগানের ৩/৭ নং সেকশনের নালার মধ্যে পড়ে যায় ভোর প্রায় ৫ টা নাগাদ।বাগানের লোকজন বিষয়টি বনদফতরকে জানালে রেঞ্জার শুভাশীষ রায়ের নেতৃত্বে বিন্নাগুড়ি ওয়াইল্ড লাইফ স্কোয়াড ঘটনাস্থলে পৌছায়।তারা হাতিটিকে ড্রাইভ করিয়ে নালা থেকে তোলার চেষ্টা করলেও ব্যর্থ হয়ে পড়ছিল। শেষ পর্যন্ত জাল দিয়ে ধরে হাতিটিকে নালা থেকে তুলে জঙ্গলের দিকে পাঠানোর চেষ্টা করা হয়।
তবেকি পাকাপাকিভাবে রাজনীতিতে আসছেন সোনু সুদ, জল্পনা উস্কে দিল কেজরিওয়ালের সঙ্গে বৈঠক
COVID 19 টিকা কর্মসূচিতে বড় মাইলফলক পার করল ভারত, ঘোষণা করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী
দল থেকে আলাদা হয়ে যাওয়া শাবকের জন্য মা হাতি সহ দলটি পাশেই একটি এলাকায় দাঁড়িয়ে ছিল দীর্ঘক্ষন।বনদফতরের পক্ষ থেকে জানা গিয়েছে হাতিটিকে উদ্ধার করে জঙ্গলের দিকে পাঠানো হলে মা হাতিটি শাবকটিকে দলে ফিরিয়ে নেয়।ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌছায় বনদফতরের অনারারি ওয়াইল্ড লাইফ ওয়ার্ডেন সীমা চৌধুরী। জানা যায় ৫ টা থেকে প্রায় সকাল ৯.৩০ টা পর্যন্ত চেষ্টা করে হাতির শাবকটিকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়।হাতির দলটি ফের রেতীর জঙ্গলের দিকে চলে যায় এবং শাবকটি পুরুষ হাতি ছিল বলে বনদফতরের সুত্রে জানা গিয়েছে। তবে একটি আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। বিশারদরা বলেছেন, হাতিকে যদি কোনও মানুষ ছুঁয়ে দেয় তাহলে সেই হাতিটিকে আর দলে ফেরত নেওয়া হয় না। এক্ষেত্রে কী শাবক হাতিটিকে দলের বাকি সদস্যরা ফিরিয়ে নেবে- সেটাই এখন দেখার।