সংক্ষিপ্ত

রোগীকে শ্লীলতাহানি করার অভিযোগ উঠল খোদ নাসিংহোমের এক কর্মীর বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে বর্ধমানের বোরহাট এলাকায়।

বেসরকারি নার্সিংহোমে (nursing home) ভর্তি থাকা রোগীকে শ্লীলতাহানি (molestation) করার অভিযোগ উঠল খোদ নার্সিংহোমের এক কর্মীর (Employee of a nursing home) বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে বর্ধমানের (Burdwan) বোরহাট এলাকায়।রোগীর আত্মীয় পরিজন ও স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযুক্ত নার্সিংহোমের কর্মী বাপ্পা সরকারকে নার্সিহোমের সামনে মারধর করে। অভিযুক্ত বাপ্পা সরকার নিজের দোষ স্বীকার করে নেয়। পুলিশকে সে জানায় তার ভুলের কথা। 

গত বুধবার শ্বাসকষ্ট নিয়ে পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামের এক তরুণী বোরহাটের একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে ভর্তি হন। অভিযোগ রাতে অভিযুক্ত কর্মী বাপ্পা সরকার তার সঙ্গে খারাপ আচরণ করে। তাকে  জেনারেল ওয়ার্ড থেকে কেবিনে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। অশ্লীল ভাবে গায়ে হাত দেয়। কার্যত ওই অসুস্থ তরুণীর শ্লীলতাহানি করে ওই ব্যক্তি। 

আরও পড়ুন- আগে ভেড়া ছিল,এখন ছাগল এসেছে', বিজেপির নতুন রাজ্য সভাপতিকে নিয়ে মুখ খুললেন অনুব্রত মণ্ডল

অসুস্থ তরুণী ভয়ে বৃহস্পতিবার চিকিৎসকের অমতেই কার্যত ছুটি নিয়ে বাড়ি চলে যান। তারপর বাড়ি গিয়ে গোটা বিষয়টি জানান। ঘটনা শুনে পরিবার পরিজনরা ক্ষুব্ধ হয়ে শুক্রবার বোরহাটের ওই বেসরকারি নার্সিংহোমে জড়ো হয় ও বিক্ষোভ দেখায়। উত্তেজিত রোগীর আত্মীয় পরিজন ও স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযুক্ত বাপ্পা সরকারকে মারধর করে। খবর পেয়ে বর্ধমান থানার পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। পাশাপাশি অভিযুক্তকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।

এদিকে, জুলাই মাসেই খোদ কলকাতায় এসএসকেএম হাসপাতালে এক মহিলা চিকিৎসককে শ্লীলতাহানির অভিযোগ ওঠে একই বিভাগের দুই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়ায় হাসপাতালে। অভিযুক্ত দুই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করে স্বাস্থ্য ভবন। তাঁদের দু'জনকেই বদলির নির্দেশ দেওয়া হয়। 

আরও পড়ুন-  Indian Railway Job -ভারতীয় রেলে চাকরির দারুণ সুযোগ, দিতে হবে না কোনও লিখিত পরীক্ষা

ওই মহিলা চিকিৎসক এসএসকেএম কর্তৃপক্ষকে করা অভিযোগে জানিয়েছিলেন, ২০২০ থেকেই যৌন হেনস্থার শিকার তিনি। নানা অছিলায় তাঁকে হেনস্থা করা হত বলে অভিযোগ করেন। পাশাপাশি ২৭ মে ভবানীপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। অভিযোগ, এরপর থেকে তাঁকে হুমকি দেওয়া শুরু হয়েছিল। 

আরও পড়ুন- শাঁখ কেন তিনবার বাজানো হয় জানেন, রয়েছে অদ্ভুত কারণ

এরপর ওই চিকিৎসকের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে ১০ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছিল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। অভিযুক্ত ও অভিযোগকারিণী দু'জনের বক্তব্যই শুনেছিল সেই কমিটি। দু'পক্ষের বক্তব্যের প্রেক্ষিতে স্বাস্থ্য ভবনকে একটি রিপোর্ট জমা দেয় কমিটি। সেই রিপোর্টেই উল্লেখ করা হয় যে মহিলা চিকিৎসকের অভিযোগ সত্যি। আর তার পরই পদক্ষেপ করে স্বাস্থ্য ভবন।