সংক্ষিপ্ত

আনিসুর রহমানের রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে ধোঁয়াশা থাকলেও জেলবন্দি অবস্থায় বহাল তবিয়তে ঘোরাফেরা করা নিয়ে রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়েছে। রবিবার ওই সেলে আনিসুরের একাধিক ভিডিও সামনে আসার পর রীতিমতো হইচই পড়ে গিয়েছে ।

আনিসুর রহমানের রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে ধোঁয়াশা থাকলেও জেলবন্দি অবস্থায় বহাল তবিয়তে ঘোরাফেরা করা নিয়ে রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়েছে। পূর্ব মেদিনীপুর জেলা হাসপাতালের পুলিশ সেলে বহাল তবিয়তে রয়েছেন তৃণমূল নেতা কুরবান শা খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত আনিসুর রহমান। ওই খুনের ঘটনায় ধৃত প্রত্যেককে ছ’মাস আগে মেদিনীপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগার থেকে তমলুক উপসংশোধনাগারে আনা হয়। 

তমলুকে আসার পরই তার  ঠিকানা হয় তমলুক জেলা হাসপাতালের পুলিশ সেল । রবিবার ওই সেলে আনিসুরের একাধিক ভিডিও সামনে আসার পর রীতিমতো হইচই পড়ে গিয়েছে । সেলের ভিতর গদিসাঁটা সোফা। পাশেই একটি চেয়ারে বসে আনিসুরের ঠোঁটের কোণে সিগারেট । হাতে ধরা অ্যান্ড্রয়েড ফোন । কানে ব্লুটুথ হেডফোন।

এখানেই প্রশ্ন উঠছে একজন জেলবন্দি কীভাবে মোবাইল ফোন ব্যবহার করে, চর্চা শুরু হয়েছে। তৃণমূলের মুখপাত্র তাপস মাইতি বলেন,  আমরা জানি পুলিশি নিরাপত্তার মধ্যে রয়েছেন আনিসুর রহমান। আনিসুরের যে ভিডিওটি ভাইরাল হয়েছে সেটির সত্যতা খতিয়ে দেখার আবেদন রইল। 

অপর দিকে বিজেপির তমলুক সাংগঠনিক জেলার সহ সভাপতি তপন বন্দ্যোপাধ্যায় জানান,শাসকদলে যারা থাকবে তারা যেই অপরাধে অভিযুক্ত হোক না কেন, তারা বেহাল তবিয়তেই থাকবে। তা আমরা অনেকবার এই ধরনের দৃশ্য দেখছি। এটা নতুন কিছু নয়।।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে দুর্গা পুজোর সময় পাঁশকুড়ায় খুন হন তৃণমূল নেতা কুরবান শা। ঘটনায় গ্রেফতার হন শাসক দলের অপর নেতা আনিসুর রহমান। খুন, ষড়যন্ত্র সহ একাধিক মামলা রুজু হয় আনিসুরের বিরুদ্ধে।