সংক্ষিপ্ত
রবিবার দলের বৈঠক সেরে বাড়িতে ফিরে চেয়ারে বসে থাকা অবস্থাতেই তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হন। তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে চিকিত্সকেরা মৃত বলে ঘোষনা করেন।
হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হলেন গড়বেতার ছোট আঙারিয়া কান্ডের একমাত্র প্রত্যক্ষদর্শী (Eyewitness of Chhota Angaria case) তথা তৃণমূল নেতা বক্তার মন্ডল(৬০)। রবিবার দলের বৈঠক সেরে বাড়িতে ফিরে চেয়ারে বসে থাকা অবস্থাতেই তিনি হৃদরোগে (heart attack) আক্রান্ত হন। তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে চিকিত্সকেরা মৃত বলে ঘোষনা করেন। ঘটনার পরে বক্তার মন্ডলের (Baktar Mandal) বাড়িতে ছুটে যান দলের বিধায়ক থেকে নেতারা।
ঘটনার পরে ছোটোআঙারিয়া গ্রামে তাঁর বাড়িতে হাজির হন স্থানীয় তৃণমূল নেতা সেবাব্রত ঘোষ সহ দলের নেতৃত্বরা। পরে সেখানে হাজির হয়েছিলেন গড়বেতার বিধায়ক উত্তরা সিংহ হাজরা। তিনি সমবেদনা জানান পরিবারের সকলকেই। উত্তরা সিংহ জানান, বক্তার মন্ডল দলের সক্রিয় কর্মী ছিলেন। বর্তমানে গড়বেতার ৩ নং অঞ্চলের নেতা ছাড়াও সংখ্যালঘু সেলও নেতা হিসেবে কাজ করছিলেন। রবিবার সকালে সংখ্যালঘু সেলের বৈঠক সেরে বাড়িতে ফিরে চা পান করছিলেন বক্তার মন্ডল। তখনই চেয়ারে বসে থাকা অবস্থায় তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হন।
হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিতসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষনা করেন। দলের তরফ থেকে জানানো হয় তাঁর পরিবারের পাশে দল রয়েছে। ২০০১ সালের ৪ জানুয়ারি গড়বেতার ছোটো আঙারিয়া গ্রামে বক্তার মন্ডলের মাটির বাড়িতে তৃণমূলের কর্মীরা একটি বৈঠকে বসেছিল সন্ধার সময়ে। বাম আমলে তৃণমূলের সেই বৈঠকের বিষয়ে স্থানীয় সিপিএমের নেতারা জানতে পেরে হামলা করেছিল বলে অভিযোগ। অভিযোগ- সিপিএমের সশস্ত্র বাহিনীর লোকেরা বাড়ির বাইরে থেকে তালা মেরে মাটির বাড়িটিতে আগুন লাগিয়ে দিয়েছিল।
যারা বাইরে বেরোনোর চেষ্টা করেছিল তাদের গুলি করে মেরে ফেলা হয় বলে অভিযোগ ছিল। ঘটনার সময়ে কেবল মাত্র বক্তার মন্ডল কোনো ভাবে বাড়ির পেছনের দরজা দিয়ে বেরিয়ে পালাতে সক্ষম হয়েছিলেন। একমাত্র প্রত্যক্ষদর্শী বক্তার মন্ডল জানিয়েছিলেন- ঘটনায় নাকি ৫ জনকে খুন করে দেহ লোপাট করেছিল সিপিএমের নেতারা। সেই কান্ডের তদন্তে আজও মামলা করে করে তদন্তে রয়েছে সিবিআই।
আরও পড়ুন- ৯ দিনে একবারও আসেনি ফোন, আটলান্টিক মহাসাগরে নিখোঁজ কেরলের যুবক
এই মামলাতে গ্রেফতার হয়ে জেল খেটে পরে বেকসুর খালাসও হয়েছেন গড়বেতার সিপিএমের নেতা তপন ঘোষ, সুকুর আলি সহ একদল গড়বেতার দোর্দন্ডপ্রতাপ নেতা। তবে এই কান্ডে ফেরার থাকা দিল মহম্মদ নামে এক ব্যাক্তিকে গ্রেফতার করে পুনরায় মামলা শুরু করেছে সিবিআই। তার মাঝেই মৃত্যু হল বক্তার মন্ডলের।
ঘটনার বিষয়ে সিপিএমের নেতা সুশান্ত ঘোষ বলেন- যে কোনো মৃত্যুই দুঃখের, তবে এই কান্ডের নামে যাদের গ্রেফতার করা হয়েছিল তারা বেকসুর খালাস পেয়েছে। পুনরায় রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে একজনকে গ্রেফতার করে মামলা শুরু হয়েছে। আদালতে বিষয়টি বিচারাধীন।