সংক্ষিপ্ত

ময়নাতদন্তের পর রিপোর্টের ভিত্তিতে পুলিশের তরফে জানানো হয়, বাইক দুর্ঘটনার জেরেই তাঁদের মৃত্যু হয়েছে। যদিও পরিবারের দাবি, তাঁদের খুন করা হয়েছে। আর সেই কারণে এই ঘটনায় সিআইডি তদন্তের দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। 

২২ নভেম্বর (22 November) বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর আর তাঁদের কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। তার ঠিক পরদিন সকালেই মালদহের (Malda) জাহাজ ফিল্ড (Jahaj Field) এলাকা থেকে যুবক-যুবতীর জোড়া মৃতদেহ (Double Recover) উদ্ধার করা হয়। তাঁদের মৃত্যুকে (Death) কেন্দ্র করে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। ময়নাতদন্তের (Post Mortem) পর রিপোর্টের (Report) ভিত্তিতে পুলিশের (Police) তরফে জানানো হয়, বাইক দুর্ঘটনার জেরেই তাঁদের মৃত্যু (Death) হয়েছে। যদিও পরিবারের দাবি, তাঁদের খুন করা হয়েছে। আর সেই কারণে এই ঘটনায় সিআইডি তদন্তের (CID Investigation) দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।

মঙ্গলবার সকালে (Tuesday Morning) জোড়া মৃতদেহ (Double Body) উদ্ধার করা হয় জাহাজ ফিল্ড এলাকা থেকে। মাঠের মধ্যে থেকে এক যুবক ও যুবতীর মৃতদেহ (Boy and Girl Dead Body) উদ্ধার করা হয়। মৃত যুবকের নাম রনি দাস (২২) আর যুবতীর নাম শাম্বিকা রায় (১৯)। প্রতিদিনের মতো ওই এলাকায় প্রাতঃভ্রমণে গিয়ে দেহ দুটি পড়ে থাকতে দেখেছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। রক্তাক্ত অবস্থায় দেহগুলিকে উদ্ধার করা হয়েছিল। আর ঠিক তাঁদের দেহের পাশ থেকেই উদ্ধার করা হয়েছিল একটি বাইক। জানা যায়, রনির বাড়ি ইংরেজবাজারের বাগবাড়ির দুর্গাপল্লি এলাকায়। স্থানীয় আইটিআই কলেজের পড়ুয়া ছিলেন তিনি। আর শাম্বিকা ইংরেজবাজারের তেলিপুকুর এলাকার বাসিন্দা। মালদহ কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্রী ছিলেন তিনি। এরপর ইংরেজবাজার থানায় (English Bazar Police Station) পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেহ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছিল। সেই রিপোর্টের ভিত্তিতে পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, বাইক দুর্ঘটনার জেরেই রনি ও শাম্বিকার মৃত্যু হয়েছে। 

আরও পড়ুন- নিখোঁজ ছিলেন রাত থেকে, সকালেই মাঠ থেকে উদ্ধার যুবক-যুবতীর রক্তাক্ত দেহ

এদিকে পুলিশের বক্তব্য মানতে নারাজ মৃতদের পরিবারের সদস্যরা। তাঁদের দাবি, রনি ও শাম্বিকাকে খুন করা হয়েছে। শাম্বিকার বাবা বাপ্পা রায় বলেন, "আমি পেশায় একজন বাস চালক। জীবনে বহু দুর্ঘটনা দেখেছি। কিন্তু, এই মৃত্যু দুর্ঘটনা নয়। তাই মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আর্জি জানাচ্ছি যেন এই ঘটনায় সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়।" পাশাপাশি রনির বাবা নিবাস দাস বলেন, "কে বা কারা ছেলেকে খুন করেছে তার সঠিক তদন্ত করে শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক। প্রশাসনের কাছে আমি সিআইডি তদন্তের দাবি জানাচ্ছি।" মৃতদের পরিবারের পাসাপাশি প্রতিবেশীরাও এই মৃত্যুর কিনারা করতে সিআইডি তদন্তের দাবি তোলেন। এমনকী, বৃহস্পতিবার সকাল এগারোটা নাগাদ রনি ও শাম্বিকার পরিবারের সদস্য ও প্রতিবেশীরা জাহাজ ফিল্ড এলাকা পরিদর্শন করেন। যেখান থেকে ওই জোড়া দেহ উদ্ধার করা হয়েছিল সেই এলাকা খতিয়ে দেখন তাঁরা।