সংক্ষিপ্ত
প্রতিদিন ওই এলাকায় প্রাতঃভ্রমণ করেন কয়েকজন। আজ সকালে সবার প্রথমে ওই দেহ দুটি তাঁদেরই নজরে আসে। রক্তাক্ত অবস্থায় মৃতদেহ দুটি পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা।
মঙ্গলবার সকালে (Tuesday Morning) জোড়া মৃতদেহ (Double Body) উদ্ধার করা হল মালদহের (Malda) ইংরেজবাজারের এয়ারপোর্ট (Malda Airport) এলাকার মাঠ থেকে। মাঠের মধ্যে থেকে এক যুবক ও যুবতীর মৃতদেহ (Boy and Girl Dead Body) উদ্ধার করা হয়েছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে এলাকায়। মৃত যুবকের নাম রনি দাস (২২) আর যুবতীর নাম শাম্বিকা রায় (১৯)। দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের (Post Mortem) জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ (Police)।
প্রতিদিন ওই এলাকায় প্রাতঃভ্রমণ করেন কয়েকজন। আজ সকালে সবার প্রথমে ওই দেহ দুটি তাঁদেরই নজরে আসে। রক্তাক্ত অবস্থায় মৃতদেহ দুটি পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। পাশেই পড়ে ছিল একটি মোটরবাইক। এই খবর দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছায় ইংরেজবাজার থানায় (English Bazar Police Station) পুলিশ। রনির বাড়ি ইংরেজবাজারের বাগবাড়ির দুর্গাপল্লি এলাকায়। স্থানীয় আইটিআই কলেজের পড়ুয়া ছিলেন তিনি। আর শাম্বিকা ইংরেজবাজারের তেলিপুকুর এলাকার বাসিন্দা। মালদহ কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্রী ছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন- 'দিলীপ ঘোষ বুঝতে পারেন না, কারা হাততালি দেয়', চটলেন চন্দ্রিমা
রনির পরিবারের অনুমান, দু'জনকে খুন (Murder) করা হয়েছে। সোমবার রাত থেকেই নিখোঁজ ছিলেন রনি। যদিও ওই যুবতী তাঁদের পরিচিত নয় বলেই জানিয়েছেন তাঁরা। একইভাবে সোমবার রাত থেকে নিখোঁজ ছিলেন শাম্বিকাও। এরপর আজ সকালে তাঁদের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। দু'জনেই সোমবার রাতে বাড়ি থেকে বেড়িয়ে ছিলেন, কিন্তু তারপর আর বাড়ি ফেরেননি।
আরও পড়ুন, Dilip Ghosh-Babul Supriyo: 'বামেরা নয়, প্রকৃত সর্বহারা একজনই, বাবুল সুপ্রিয়', বললেন দিলীপ
যুবতীর পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, মেয়ে সোমবার রাতে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল। তারপর সে আর বাড়ি ফেরেনি। সকালবেলা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে শাম্বিকার মৃতদেহ শনাক্ত করেন তাঁরা। যদিও মৃত যুবককে তাঁরা চেনেন না বলে জানিয়েছেন। অন্যদিকে রনির পরিবারের তরফেও জানানো হয়েছে, সোমবার রাতে রনি বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল। তারপর আর ঘরে ফেরেনি। অস্বাভাবিক মৃত্যুতে খুনের অভিযোগ তুলেছে দুই পরিবার। কে বা কারা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত তা জানতে তদন্তের দাবি তুলেছেন মৃতদের পরিবারের সদস্যরা। সবমিলিয়ে গোটা ঘটনা নিয়ে তীব্র ধন্দ তৈরি হয়েছে।
ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে ইংরেজবাজার থানার পুলিশ। খুন নাকি বাইক দুর্ঘটনার জেরে এই দুই যুবক যুবতীর মৃত্যু হয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে মৃত্যুর কারণ পরিষ্কার হবে। তাই রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করার কথা জানিয়েছেন ডিএসপি (হেড কোয়ার্টার) প্রশান্ত দেবনাথ।