সংক্ষিপ্ত

  • হুগলির বৈদ্যবাটির ঘটনা
  • বাবার সঙ্গেই তড়িদাহত ছেলে
  • বাড়ির মধ্যেই বিদ্যুস্পৃষ্ট দু' জনে
     

আনন্দের নবি দিবসেই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। বাড়ির মধ্যেই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে প্রাণ হারালেন বাবা এবং ছেলে। ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে হুগলির বৈদ্যবাটির কাজিপাড়ায়। মৃতদের নামে পীর মহম্মদ (৬৫) এবং রহমান আলি (২৫)। 

বৈদ্যবাটির কাজিপাড়ায় দুই ছেলে, পুত্রবধূ এবং স্ত্রীকে নিয়ে থাকতেন পেশায় রাজমিস্ত্রি পীর মহম্মদ নামে ওই বৃদ্ধ। এ দিন সকালে স্নান করে নবি দিবসের মিছিলে বেরনোর জন্য তৈরি হচ্ছিলেন তিনি। স্নান ককরে লোহার তারে ভিজে লুঙ্গি মেলতে গিয়েই ঘটে যায় দুর্ঘটনা। ঝড় বৃষ্টিতে বাইরের লোহার তারে যে শর্ট সার্কিট হয়ে গিয়েছে, সেটা ঘুণাক্ষরেও টের পাননি পীর মহম্মদ বা তাঁর পরিবারের সদস্যরা। বাড়ির বাইরের চত্বরেও বৃষ্টির জল জমেছিল। ওই বৃদ্ধ সেই জলের মধ্যে দাঁড়িয়ে লোহার তারে হাত দিতেই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। 

বাবাকে তড়িদাহত হতে দেখে ছোট ছেলে রহমান তাঁকে বাঁচাতে যান। সঙ্গে সঙ্গে তিনিও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। পরিবারের অন্যান্যদের চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা ছুটে আসেন। তাঁরা দেখেন, বাবা এবং ছেলে দু' জনেই তারের সঙ্গে আটকে আছেন । এর পরই বাঁশ জোগাড় করে বাবা এবং ছেলেকে অলাদা করার চেষ্টা হয়। কিন্তু সেই চেষ্টাও বিফলে যায়। এর পরই স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে একজন গিয়ে বাড়ির মেন সুইচ অফ করে দেন। সঙ্গে সঙ্গে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় পীর মহম্মদ এবং তাঁর ছেলে রহমান মাটিতে ছিটকে পড়েন।

দু' জনকে উদ্ধার করে দ্রুত চন্দননগর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই  চিকিৎসক তাঁদের মৃত বলে ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন বিদ্যুৎ দফতরের কর্মীরা। তাঁরা পরীক্ষা করে দেখেন, গোটা বাড়িটিই তড়িদাহত ছড়িয়ে পড়েছে। দ্রুত ব্যবস্থা নিয়ে বাড়িটি বিপন্মুক্ত করেন বিদ্যুৎ দফতরের কর্মীরা।