শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে দায়ের এফআইআর এফআইআর দায়ের সৌমেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধেও ত্রাণ সামগ্রী চুরির অভিযোগ তাঁদের বিরুদ্ধে কাঁথি পুর প্রশাসকমন্ডলীর সদস্য রত্নদীপ মান্নার অভিযোগ

বিজেপি নেতা ও বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে দায়ের হল এফআইআর। এফআইআর দায়ের হয়েছে শুভেন্দুর ভাই সৌমেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধেও। সাইক্লোন ইয়স পরবর্তী পরিস্থিতিতে তাঁরা ত্রাণ সামগ্রী চুরি করেছেন বলে অভিযোগ উঠছে। কাঁথি পুরসভা থেকে এই ত্রাণ সামগ্রী চুরি করেছেন তাঁরা বলে অভিযোগ। সংবাদ সংস্থা এএনআই জানাচ্ছে, কাঁথি পুর প্রশাসকমন্ডলীর সদস্য রত্নদীপ মান্না এফআইআর দায়ের করেছেন এই মর্মে যে অধিকারী পরিবারের এই দুই ভাই সরাসরি ত্রাণ চুরির কাজে জড়িত। 

Scroll to load tweet…

পয়লা জুন কাঁথি থানায় বিজেপি নেতার নামে এফআইআর দায়ের করা হয়। উল্লেখ্য সৌমেন্দু অধিকারী কাঁথি পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান ছিলেন। অভিযোগে বলা হয়েছে, শুভেন্দু অধিকারী ও তাঁর ভাই সৌমেন্দু অধিকারীর নির্দেশে কাঁথি পুরসভার থেকে ত্রাণের জিনিসপত্র সরানো হয়েছে। রাজ্য সরকারের তরফ থেকে যে ত্রিপল দেওয়া হয়েছিল, যার আনুমানিক মূল্য প্রায় লক্ষাধিক টাকা, পুরসভার গোডাউন থেকে সরিয়ে ফেলা হয় এই দুই ভাইয়ের নির্দেশে। অবৈধ ভাবে ও জোরজবরদস্তি করে ত্রিপল সরিয়ে ফেলা হয় বলে অভিযোগে জানানো হয়েছে।

Scroll to load tweet…

এদিকে, শনিবারই সেচ দফতরে চাকরি দেওয়ার নাম করে প্রতারণার অভিযোগে শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ রাখাল বেরাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। অন্তত ৬০ জনের কাছ থেকে তিনি কয়েক কোটি টাকা চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে তোলেন বলে অভিযোগ। কলকাতা পুলিশ জানিয়েছে, শুভেন্দু অধিকারী যখন রাজ্যের সেচমন্ত্রী ছিলেন, সেই ২০১৯ সালে সেচ দফতরে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে এক ব্যক্তির থেকে দু লক্ষ টাকা নেন রাখাল বেরা। উত্তর ২৪ পরগণার অশোকনগরের বাসিন্দা সুজিত দের অভিযোগের ভিত্তিতেই মানিকতলা থানার পুলিশ রাখাল বেরাকে গ্রেফতার করে। 

সুজিত দেকে রাখাল বেরা জানিয়ে ছি্লেন, প্রথমে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ হবে তাঁর। পরে স্থায়ী কর্মী হিসাবে তাঁকে দফতরে নিয়োগ করা হবে। কিন্তু তার পরেও কোনও চাকরির নিয়োগপত্র তাঁর হাতে আসেনি বলে দাবি সুজিতের। পরে রাখাল বেরার নামে অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। 

রাখাল বেরার সঙ্গে এই প্রতারণা চক্রে আরও বেশ কয়েকজন জড়িত বলে মনে করছে কলকাতা পুলিশ। ২০১৯ সালের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কলকাতায় এই চক্র সক্রিয় ছিল। এই চক্রেই রাখাল বেরার অন্যতম সহযোগী চঞ্চল নন্দী কাজ করত। তার বিরুদ্ধেও তল্লাশি জারি রেখেছে কলকাতা পুলিশ।