সংক্ষিপ্ত

বৃষ্টির তান্ডবে গোসাবার নদী বাঁধ ভেঙে নোনা জল ঢুকে মাঠ ঘাট ডুবে গিয়েছে। রাঙাবেলিয়া, গোসাবা অঞ্চলের বিস্তীর্ণ অঞ্চল জলমগ্ন।

প্রথমে ঘূর্ণিঝড় ইয়াস, তারপর অতিবৃষ্টি। মাথায় হাত পড়েছে চাষী (farmers) থেকে মৎস্যজীবীদের (Fishermen)। বৃষ্টির তান্ডবে গোসাবার (Gosaba region) নদী বাঁধ ভেঙে নোনা জল ঢুকে মাঠ ঘাট ডুবে গিয়েছে। রাঙাবেলিয়া, গোসাবা অঞ্চলের বিস্তীর্ণ অঞ্চল জলমগ্ন। ফলে দারুণ ক্ষতির (flood damage) মুখে মৎস্যজীবী ও কৃষকরা। 

এই এলাকার বেশির ভাগ মানুষ কৃষিজীবী ও মাছ চাষের ওপর নির্ভরশীল।  আর এই বৃষ্টিতে কৃষক মৎস্যজীবীদের মাথায় হাত। পুকুর, খাল, বিল, মাছের ভেরী থেকে চাষের জমি সমস্ত মিষ্টি জলের বন্যায় ভেসে গেছে। ক্ষতি হয়েছে বিঘার পর বিঘা চাষের জমি। পুকুর, ঘাট থেকে শুরু করে মাছের ভেরী ডুবে রয়েছে। একদিকে যেমন সবজি ক্ষেত জলে ডুবে সবজি পচে নষ্ট হয়েছে, তেমনি ধান চাষের জন্য যে বীজতলা ছিল সেগুলি বেশির ভাগ নষ্ট হয়ে গিয়েছে। 

স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি মাছ সব ভেসে গিয়েছে। গোসাবার রাঙাবেলিয়া, গোসাবা, কচুখালী ও বিভিন্ন পঞ্চায়েত এলাকার মানুষের এখন মাথায় হাত। এই সমস্ত এলাকার মানুষজন চাষ ও মাছের উপর নির্ভর করে কোন রকমে জীবন,জীবিকা নির্বাহ করতো। কিন্তু এই মিষ্টি জলের বন্যায় আগামী দিন কি ভাবে জীবন-জীবিকা চলবে তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় প্রহর গুনছেন তাঁরা। 

এখানকার বাসিন্দাদের বর্তমান ভরসা সরকারি সাহায্য। এছাড়া প্রবল বর্ষণের ফলে জল জমে থাকায় কিছু মানুষ এখনো পর্যন্ত বাড়িতে ফিরতে পারেনি। তাঁদের বর্তমান ঠিকানা বহুমুখী ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র। এই আশ্রয় কেন্দ্রে থাকা মানুষজনের অভিযোগ প্রথম কয়েকদিন সরকারি ভাবে খেতে দিলেও বর্তমানে সেটি বন্ধ হয়ে গিয়েছে। তাঁদেরকে সরকারি ভাবে কোন সাহায্যও করা হচ্ছে না। 

যদিও গোসাবার বিডিও সৌরভ মিত্র জানান প্রথম চারদিন মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রে তুলে নিয়ে গিয়ে খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছিলো। তারপরে জল অনেকটা নেমে যাওয়ায় মানুষজন বাড়ি ফিরে গিয়েছে। তবে আগামী দিনে সরকারি যতটুকু সাহায্য পাওয়া যাবে তাঁদেরকে দেওয়া হবে। এখনো পর্যন্ত কারা আশ্রয় কেন্দ্রে রয়েছে তা জানা নেই তাঁর। তবে বিষয়টি খোঁজ নিয়ে তিনি দেখবেন বলে আশ্বাস দেন।