সংক্ষিপ্ত

কংগ্রেসের একাধিকবারের কাউন্সিলর ও প্রাক্তন মেয়র পারিষদ দেবশঙ্কর সাহা ও তার অনুগামীরা যোগদান করলেন কংগ্রেসে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কর্মযোগ্যে সামিল হতেই তারা দল বদল করলেন বলে জানান।

পুর নির্বাচনের (Siliguri Municipal Election) আগে ভাঙন বিজেপি (BJP) ও কংগ্রেসে (Congress)। বিজেপি ও কংগ্রেসের প্রাক্তন কাউন্সিলররা (Former BJP and Congress councilors) যোগদান করল তৃণমূল কংগ্রেসে (TMC)। ২০১৫ সালে শিলিগুড়ি পুর নিগম নির্বাচনে বিজেপি দুটি আসনে জয়লাভ করেছিল।  সেই দুটি আসনের মধ্যে খুশবু মিত্তাল জয় লাভ করেছিলেন। বর্তমানে তিনি বিজেপির মুখপাত্র হয়ে কাজ করছিলেন। 

অন্যদিকে কংগ্রেসের একাধিকবারের কাউন্সিলর ও প্রাক্তন মেয়র পারিষদ দেবশঙ্কর সাহা ও তার অনুগামীরা যোগদান করলেন কংগ্রেসে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কর্মযোগ্যে সামিল হতেই তারা দল বদল করলেন বলে জানান। তাদের হাতে তৃণমূলের দলীয় পতাকা তুলে দিলেন গৌতম দেব, রঞ্জন সরকার ও অলোক চক্রবর্তী। পুর নির্বাচনের আগের মুহুর্তে বিজেপি ও কংগ্রেস থেকে দুই অভিজ্ঞ নেতা দল বদল করায় যথেষ্ট অস্বস্তিতে রয়েছে দুই শিবির।

এদিকে, শিলিগুড়ির পুরভোটকে পাখির চোখ করে সত্তরোর্ধ্ব অশোক ভট্টাচার্যকে প্রধান মুখ হিসেবে বেছে নিয়ে লড়াইয়ের ময়দানে ঝাঁপাতে চলেছে বামেরা। জানা গিয়েছে, বিগত পুরভোটে জয় পাওয়া ছয় নম্বর ওয়ার্ডেই প্রার্থী হচ্ছেন তিনি। তৃণমূল এবং বিজেপিকে রুখতে আগেই কংগ্রেসের সঙ্গে আসন সমঝোতার পথে হেঁটেছে বামেরা। এবার অশোককে ঢাল করে শিলিগুড়ি পুরনিগম দখলের পথে মরিয়া বামেরা। তবে শেষ হাসি কে হাসবে তা অবশ্য সময় বলবে।

আসন্ন পুরভোটে একদিকে যেমন সত্তরোর্ধ্ব অশোককে মুখ করে লড়াইয়ের ময়দানে ঝাঁপিয়েছে বামেরা ঠিক উলটোদিকে তরুণ-তুর্কীতেও আস্থা রাখা হয়েছে লাল শিবিরের তরফে। অশোক ভট্টাচার্যের কথায়, বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থতির নিরিখে রাজ্য কমিটির নির্দেশ মোতাবেক ভোটে লড়াই করার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করেছেন তিনি। একুশের ভরাডুবির পর স্ত্রীবিয়োগ। স্বাভাবিকভাবেই খানিকটা মুষড়ে পড়েছিলেন সত্তরোর্ধ্ব অশোক। আর তাই আসন্ন পুরভোট থেকে সরে দাঁড়ানোর কথা স্পষ্ট করেছিলেন প্রাক্তন মেয়র।

যদিও শেষ লগ্নে সিদ্ধান্ত বদল করলেন প্রবীণ সিপিএম নেতা অশোক ভট্টাচার্য। সূত্রের খবর, রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের ফোন পাওয়ার পরই সিদ্ধান্ত বদল করেন তিনি। এদিকে, সূত্রের খবর, পুরনিগমের নির্বাচনে শিলিগুড়ি মডেলে ফিরে এসেছে বাম ও কংগ্রেস। সম্প্রতি দুই দলের জেলা নেতৃত্বের আলোচনায় প্রাথমিকভাবে সিদ্ধান্ত হয় শিলিগুড়ির ৪৭টি ওয়ার্ডের মধ্যে ২৩টি আসনে বামেরা লড়াই করবে, কংগ্রেস ১০টি আসনে লড়াই করবে। এছাড়া বাকি ১৪টি আসন নিয়ে আলোচনা চলছে দুই দলের মধ্যে। 

কলকাতা পুরসভার নির্বাচন মিটতেই বকেয়া পুরসভার নির্বাচন সেরে ফেলার দাবি উঠছিল। সেই পরিস্থিতিতে সোমবার সর্বদলীয় বৈঠক করে কমিশন। বৈঠক শেষে চার পুরসভার নির্বাচনের দিন ক্ষণ ঘোষণা করা হয়। কমিশন জানায়, আগামী ২২ জানুয়ারি শিলিগুড়ি পুরসভার ৪৭টি, চন্দননগরে ৩৩টি, বিধাননগরে ৪১টি এবং আসানসোলের ১০৬ ওয়ার্ডে নির্বাচন।