সংক্ষিপ্ত
আজই জহর সরকারের হাতে জয়ের সার্টিফিকেট তুলে দেওয়া হয়। বিধানসভায় সার্টিফিকেট নেওয়ার সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন বিধানসভার শাসকদলের মুখ্য সচেতক নির্মল ঘোষ ও উপ মুখ্যসচেতক তাপস রায়।
সোমবার ছিল রাজ্যসভার মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন। কিন্তু, তৃণমূল প্রার্থী হিসেবে জহর সরকারের মনোনয়ন ছাড়া আর কোনও মনোনয়ন পত্রই জমা পড়েনি। আর সেই কারণে কার্যত বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রাজ্যসভার সাংসদ নির্বাচিত হলেন প্রাক্তন এই আমলা। আজই তাঁর হাতে জয়ের সার্টিফিকেট তুলে দেওয়া হয়। বিধানসভায় সার্টিফিকেট নেওয়ার সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন বিধানসভার শাসকদলের মুখ্য সচেতক নির্মল ঘোষ ও উপ মুখ্যসচেতক তাপস রায়। আজ রাতেই দিল্লি যাচ্ছেন জহর সরকার।
রাজ্যসভার সাংসদ নির্বাচিত হওয়ার পর তিনি বলেন, "আমি আরও একটি সুযোগ পেলাম। যেভাবে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে লিখে এবং নানা মঞ্চ থেকে প্রতিবাদ করেছি, এবারও সেই প্রতিবাদ করব। রাজনীতির জন্য অনেক ব্যাটসম্যান আছে, ওরা যেখানে আমাকে কাজে লাগাবে সেখানেই কাজ করব। কেন্দ্র সরকারের ত্রুটি সমালোচনার আরও একটি সুবর্ণ সুযোগ পেলাম। যাঁকে নিয়ে এত সমস্যা এবার তাঁকে সামনে পাব।" এছাড়া ত্রিপুরায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কনভয়ে হামলার নিন্দাও করেছেন তিনি। তবে তিনি কবে শপথ নেবেন তা অবশ্য এখনও জানা যায়নি।
আরও পড়ুন- ত্রিপুরায় অভিষেকের গাড়িতে হামলা, সংসদে সরব ডেরেক, টুইটারে ক্ষোভপ্রকাশ দলীয় নেতাদের
"
রাজনীতির ইনিংস শুরু নিয়ে জহর সরকার বলেছেন, "এই বয়সে গিয়ে কি আর রাজনীতি শিখব? চাকরি জীবনে যেভাবে শিখতে শিখতে কাজ করেছি, সেভাবেই একের পর এক ইস্যু নিয়ে সরব হব।"
আরও পড়ুন- উচ্চমাধ্যমিকে সবাই পাশ, রিভিউয়ের পর বড় ঘোষণা সংসদের
উল্লেখ্যে, চলতি বছরের ১২ ফেব্রুয়ারি রাজ্যসভার সদস্য পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন দীনেশ ত্রিবেদী। এরপর সেই পদে কাকে মনোনীত করা হবে তা নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই জল্পনা চলছিল। অনেকেই ভেবেছিলেন দীনেশের জায়গায় মুকুল রায় বা যশবন্ত সিনহার মতো কোনও পোড়খাওয়া রাজনীতিবিদকে প্রার্থী করবেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই দৌড়ে এগিয়ে ছিলেন যশবন্ত সিনহা। বিধানসভা নির্বাচনের আগেই তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। তারপর ভোট মিটতেই ঘর ওয়াপসি হয় মুকুলের। এরপরই শুরু হয় জল্পনা। তাহলে কি মুকুলকেই ওই পদের জন্য মনোনীত করা হবে। কিন্তু, তারপরই সবাইকে চমকে দিয়ে দীনেশ ত্রিবেদীর ছেড়ে যাওয়া ওই পদের জন্য তৃণমূলের তরফে মনোনীত করা হয় জহর সরকারকে। আর বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রাজ্যসভার সাংসদ হলেন তিনি।
আরও পড়ুন- 'আমি তো তৃণমূল থেকে পদত্যাগ করিনি', BJP ছেড়ে ঘাসফুলে ফিরতেই অন্য সুর সুনীল মন্ডলের