সংক্ষিপ্ত
বেলঘড়িয়া তৃণমূল কর্মী খুনের ঘটনায় গ্রেফতার কামারহাটি পৌরসভার প্রাক্তন তৃণমূল কাউন্সিলর রুপালী সরকার। 'আইন আইনের পথে চলবে', জানালেন কামারহাটি পৌরসভার তৃণমূল পুরপ্রধান গোপাল সাহা।
বেলঘড়িয়া তৃণমূল কর্মী খুনের ঘটনায় গ্রেফতার কামারহাটি পৌরসভার প্রাক্তন তৃণমূল কাউন্সিলর রুপালী সরকার। কামারহাটি পৌরসভার ২৯ নম্বর ওয়ার্ড বেলঘরিয়া উত্তর বাসুদেবপুর এলাকায় ২০২০ সালের মে মাসে খুন হন তৃণমূল কর্মী সৌমেন দাস। তৃণমূল কর্মী খুনের ঘটনায় শনিবার কামারহাটি পৌরসভা ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন তৃণমূল কাউন্সিলর রুপালী সরকার ব্যারাকপুর আদালতে আত্মসমর্পণ করলে, বিচারক তাকে গ্রেফতারের নির্দেশ দেয়। সেইমতো তাকে গ্রেফাতার করে পুলিশ। রুপালীকে সাত দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সময়টা ছিল ২০২০। তখন কোভিডে বিপর্যস্ত সারা বাংলা। কার্যত ঘরবন্দি সবাই। দুমুঠো খাবারের জন্য হাহাকার। অনেকেই রোজগার হারিয়ে জমামো টাকা শেষ করে বসে পড়েছে। আর সেই ভয়াবহ করোনা পরিস্থিতিতে ত্রাণ বিলি করতে সঙ্গীদের নিয়ে গিয়েছিলেন সৌমেন দাস। সেই সময় তার ওপর হামলা হয়। কামারহাটি পৌরসভার প্রাক্তন তৃণমূল কাউন্সিলর রুপালী সরকারের উপস্থিতিতেই নাকি সৌমেনকে বেধড়ক মারা হয় বলে অভিযোগ। হামলার ঘটনায় গুরুতর জখম হয় সৌমেন। ১৯ মে তার মৃত্যু হয়। এরপরেই তীব্র উত্তেজনা ছড়ায়। আর এবার ওই ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলর কামারহাটি পৌরসভার রুপালী সরকারকে গ্রেফতার করল পুলিশ।
দলীয় কর্মী খুনের ঘটনায় রাজনৈতিক চাপান উতোর তুঙ্গে ওঠে। প্রাক্তন কাউন্সিলরকে গ্রেফতারের দাবিতে সরব হয়ে ছিলেন বিজেপি নের্তৃত্ব। পরবর্তীতে রুপালি সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়েরও হয় বেলঘড়িয়া থানায়। ব্যারাকপুর মহাকুমা আদালত থেকে পরবর্তীতে তিনি জামিনও নিয়েছিলেন। এরপর কলকাতা হাইকোর্টে যান নিহতের পরিবার। আর এবার সেই রুপালি আত্মসমর্পণ করলেন আদালতে। যদিও এই ঘটনায় যদিও কড়া প্রতিক্রিয়া কামারহাটি তৃণমূল কংগ্রেসের। 'আইন আইনের পথে চলবে', জানিয়েছেন কামারহাটি পৌরসভার তৃণমূল পুরপ্রধান গোপাল সাহা।
আরও পড়ুন, কে এই রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়, কেন তাঁর নামে গ্রেফতারি পরোয়াণা, কীভাবে অভিষেকের সঙ্গে পরিচয়
প্রসঙ্গত, রাজ্যে একেই তৃণমূলের অন্দরে নানা ঝামেলা লেগে রয়েছে। বিশেষ করে তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসার পরেই তৃণমূল দলের শক্তি বৃদ্ধি করে ২০২৪ এর লক্ষ্য নিয়েছে। এদিকে একের পর এক নতুন সদস্য যোগদানে পুরোনো ও নতুনদের মধ্যে নানা সমস্যা হচ্ছে। তার উপর চলছে হাঁসখালি, বগটুই, পাণিহাটির মতো একের পর এক ধর্ষণ, রাজনৈতিক খুনের ঘটনা। এহেন পরিস্থিতি সম্প্রতি মমতা রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা নিয়ে কড়া নির্দেশ দিয়েছেন। তবে দলের অন্দরে সমস্যা বারবার প্রকাশ্যে চলে আসছে। সে কুণাল-পার্থই হোক, কিংবা মদন মিত্র। তবে এবার কড়া পদক্ষেপ নেবে, দলের হলেও দোষীদের ছাড়া হবে না বলে সতর্ক করেছেন খোদ মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়।
আরও পড়ুন, আত্মহত্যা করেছিলেন অর্জুন ? সামনে এল বিজেপি নেতার ময়নাতদন্তের বিস্ফোরক রিপোর্ট