সংক্ষিপ্ত
'কিছু না করে থাকলে ভয়ের কী আছে, আমাদেরও ডাকতে পারে সন্দেহ হলে', অভিষেক পত্নী রুজিরার গ্রেফতারি পরোয়াণা জারি নিয়ে বোঝালেন দিলীপ ঘোষ
অভিষেক পত্নী রুজিরার গ্রেফতারি পরোয়াণা জারি নিয়ে বিস্ফোরক দিলীপ ঘোষ। কয়লা কেলেঙ্কারির টাকা কার অ্যাকাউন্টে যেত, এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়েই তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায়ের স্ত্রী-র নাম উঠে এসেছিল তদন্তকারীদের হাতে। তাঁর বাড়িতে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদও চালিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ইডি আধিকারিকদের তরফে তাঁকে একাধিকবার দিল্লিতে তলব করা হয়েছে। কিন্তু সেভাবে হাজিরা দেননি তিনি। সেই মামলাতেই অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায়ের স্ত্রী রুজিরা বন্দ্য়োপাধ্যায়ের নামে জারি হয়েছে গ্রেফতারি পরোয়ানা। এদিন সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারে চা-যোগে এসে এনিয়ে মুখ খুললেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
রুজিরা বন্দ্য়োপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেছেন, 'এর আগেও ওনাকে ডেকেছেন। ইডির তদন্তে সহযোগিতা করেননি বলেই গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। ওনার উচিৎ গিয়ে দেখা করা। কিছু না করে থাকলে ভয়ের কী আছে। একজনকে ইডি-সিবিআই ডাকছে। আর ইডি ডাকছে মানে কেউ চোর, এমনটা মনে করার কারণ নেই। তবে তিনি এই কাজে যুক্ত কিনা, সেই কারণেই হয়তো ডাকছে। এমনতো যেকোনও লোককেই ডাকতে পারে। আমাদেরও ডাকতে পারে সন্দেহ হলে।'অপরদিকে, রুজিরা বন্দ্য়োপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হতেই তৃণমূলের তরফে বলা হচ্ছে গোটা বিষয়টাই প্রতিহিংসার রাজনীতি। যদিও সেই প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, 'প্রতিহিংসা কোথায় হচ্ছে, সেতো বোঝাই যাচ্ছে। যেখানে সেখানে মৃতদেহ পড়ে রয়েছে। যাকে তাঁকে নমেরে ঝুলি দেওয়া হচ্ছে। কাউকে চিঠি দিলে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা হয়, জানা নেই। তবে যারা প্রতিহিংসা নিয়ে চিন্তা করে, তাঁদের মনে এই সব আসে।'
আরও পড়ুন, কে এই রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়, কেন তাঁর নামে গ্রেফতারি পরোয়াণা, কীভাবে অভিষেকের সঙ্গে পরিচয়
২০২০-র ২৭ নভেম্বর সিবিআই-এর দুর্নীতি দমন শাখা বেআইনি কয়লা পাচার নিয়ে একটি মামলা দায়ের করে। এই মামলা দায়ের হয়েছিল ইস্টার্ন কোলফিল্ডস লিমিটেডের আওতাধীন সমস্ত কয়লা খনিতে। এই মামলায় মূল অভিযুক্ত হিসাবে নাম ওঠে অনুপ মাঝি ওরফে লালার ।এই মামলার তদন্তে নেমে সিবিআই দাবি করে এমন কিছু তথ্য প্রমাণের যাতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম জুড়ে গিয়েছে। সিবিআই-এর দাবি ছিল, লালার কাছে থেকে বেআইনি কয়লা পাচারের মোটা অর্থ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে যাচ্ছে। আর এই টাকা জমা পড়ছে রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে। সিবিআই এমন অভিযোগ করেছিল। এরপর থেকেই এই বেআইনি কয়লাপাচারকাণ্ডে লাগাতার নানা সময়ে অভিষেক ও রুজিরাকে জেরা করেছে সিবিআই। এই কেসের হাত ধরে প্রবেশ করে ইডি। তারা বেআইনিভাবে অর্থ তচ্ছরূপের অভিযোগ নিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জেরার জন্য সমন পাঠায়। আর এবার শেষ অবধি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়াণা জারি করেছে পাতিয়ালা আদালত।
আরও পড়ুন, আত্মহত্যা করেছিলেন অর্জুন ? সামনে এল বিজেপি নেতার ময়নাতদন্তের বিস্ফোরক রিপোর্ট