সংক্ষিপ্ত

  • মুর্শিদাবাদের প্রাথমকি স্কুলের ঘটনা
  • ক্লাসরুমের চাঙড় খসে আহত চার পড়ুয়া
  • স্কুল শিক্ষকদের দায়িত্ববোধ নিয়ে উঠছে প্রশ্ন


দুর্বল হয়ে পড়েছিল ক্লাসরুমের ছাদ। মাঝেমধ্যে ছোটখাটো চাঙর, সিমেন্ট- বালি ঝরেও পড়ছিল। কিন্তু তাতেও হুঁশ ফেরেনি স্কুল কর্তৃপক্ষের। বিপজ্জনক ওই ক্লাসরুমের মধ্যেই প্রতিদিন কয়েক ঘণ্টা কাটাত খুদে পড়ুয়ারা। শেষ পর্যন্ত সোমবার ক্লাস চলাকালীনই হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল ছাদের একাংশের চাঙর। তার জেরে গুরুতর আহত হল চার পড়ুয়া। 

আরও পড়ুন- 'সরকার কি দয়া করছে', শিক্ষকদের অনশন মঞ্চে গিয়ে প্রশ্ন কৌশিক সেনের, দেখুন ভিডিও

মঙ্গলবার এমনই ঘটনা ঘটেছে মুর্শিদাবাদের হরিহরপাড়ার একটি প্রাথমিক স্কুলের। হরিহরপাড়ার বাড়ুইপাড়া এলাকার ১২ নম্বর খিদিরপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এই ঘটনায় তিন পড়ুয়ার মাথা ফাটে। কোমরে আঘাত পায় আরও একজন। দুর্ঘটনার পরে ক্লাসরুম থেকে হুড়োহুড়ি  করে বেরোতে গিয়ে আহত হয় আরও কয়েকজন। 

আরও পড়ুন- ছাত্রীদের সঙ্গে অশালীন আচরণ, শিক্ষককে অর্ধনগ্ন করে মার বাঁকুড়ায়, দেখুন ভিডিও

ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই স্থানীয় বাসিন্দা এবং অভিভাবকরা পড়ুয়াদের উদ্ধার করতে ছুটে আসেন। দ্রুত তাদের হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়। ঘটনার খবর পেয়ে হরিহরপাড়ার বিডিও  এবং প্রশাসনিক কর্তারাও স্কুল পরিদর্শনে যান। স্কুলেরর অবস্থা এমন বিপজ্জনক হওয়া সত্ত্বেও স্কুল কর্তৃপক্ষ কেন কোনও ব্যবস্থা নেননি, সেই প্রশ্ন তোলেন তাঁরাও। বিষয়টি স্কুলের তরফে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছিল কি না, তা নিয়েও তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। বিষয়টি এড়িয়ে গিয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষক বলেন, 'এমন ঘটনা কাম্য নয়। আহত শিশুদের চিকিৎসার জন্য  হাসপাতালে পাঠিয়েছি।'

স্কুলের শিক্ষকদের বিরুদ্ধে দায়িত্বজ্ঞানহীনতার অভিযোগ তুলেছেন অভিভাবকরাও।  মিন্টু মণ্ডল নামে এক অভিভাবক বলেন, 'আমরা ভাবতেই পারছি না স্কুলের মধ্যে এই ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে। অল্পের জন্য চারটি শিশু আজ প্রাণে বাঁচল। তবে এই ঘটনার তদন্ত করে যার গাফিলতি প্রমাণিত হবে, তাঁর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া দরকার।'